ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিশ্বের সবচেয়ে সুখি দেশ ফিনল্যান্ড, বাংলাদেশ ১২৯, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি নেই শীর্ষ কুড়িতে

বিশ্বের সবচেয়ে সুখি দেশ ফিনল্যান্ড। এ নিয়ে টানা সপ্তম বারের মতো তারা এই খেতাব ধরে রেখেছে। জাতিসংঘের স্পন্সর করা ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। বুধবার প্রকাশিত এই রিপোর্টে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম। ৩০ বছর বয়সীদের সুখি হওয়ার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৮তম।

অন্যদিকে প্রবীণ- যাদের বয়স ৬০ বছর বা তারও বেশি তাদের ক্যাটেগরিতে সুখি দেশের সূচকে বাংলাদেশ আছে ১২০ নম্বরে। এর একধাপ নিচে রয়েছে ভারত। মিয়ানমার ১০২ নম্বরে। পাকিস্তান ১২২ নম্বরে। নিম্ন মধ্য বয়সীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯। উচ্চ মধ্যবয়সীদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থানে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে সবচেয়ে সুখি হলো যুবশ্রেণি। সবচেয়ে কম সুখি উচ্চ মধ্যবয়সীরা।  কমপক্ষে এক দশক আগে এই রিপোর্ট প্রকাশ শুরু হয়। তখন থেকে এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি নেই বিশ্বের সবচেয়ে সুখি ২০টি দেশের ভিতরে। যথাক্রমে এ দুটি দেশের অবস্থান ২৩তম ও ২৪তম। পক্ষান্তরে শীর্ষ ২০ সুখি দেশের মধ্যে উঠে এসেছে কোস্টারিকা ও কুয়েত। তাদের অবস্থান যথাক্রমে ১২ ও ১৩।

অন্যদিকে ভারতের অবস্থান ১২৬তম। আগের বছরও তাদের অবস্থান এই সূচকে একই ছিল। নরডিক দেশগুলো সবচেয়ে সুখি ১০টি দেশের মধ্যে অবস্থান ধরে রেখেছে। এর মধ্যে ফিনল্যান্ডের পর আছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন। ২০২০ সাল থেকে আফগানিস্তান রয়েছে তালেবানদের দখলে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এই দেশটি রয়েছে সবচেয়ে নিচে। মোট ১৪৩টি দেশের ওপর এই সূচক করা হয়েছে। তার শেষ অবস্থান অর্থাৎ ১৪৩ নম্বরে অবস্থান করছে আফগানিস্তান। সবচেয়ে সুখি দেশগুলোর মধ্যে এখন আর বিশ্বের কোনো বৃহৎ দেশের অবস্থান নেই। এতে বলা হয়েছে, শীর্ষ ১০ সুখি দেশের মধ্যে শুধু নেদারল্যান্ডস এবং অস্ট্রেলিয়ার আছে কমপক্ষে দেড় কোটি জনসংখ্যা। শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে শুধু কানাডা ও বৃটেনের জনসংখ্যা কমপক্ষে তিন কোটি।

২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল সময়কালের পর সবচেয়ে দ্রুতগতিতে সুখ কমেছে আফগানিস্তানে। সবচেয়ে দ্রুতগতিতে তা বৃদ্ধি পেয়েছে লেবানন, জর্ডান, ইউরোপিয়ান দেশ সার্বিয়া, বুলগেরিয়া ও লাতভিয়ায়। ব্যক্তিবিশেষের জীবন সম্পর্কে সন্তুষ্টির মূল্যায়ন, মাথাপিছু জাতীয় প্রবৃদ্ধি, সামাজিক সাপোর্ট, সুস্থ জীবনের প্রত্যাশা, স্বাধীনতা, উদারতা ও দুর্নীতির ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে এই সূচক।

ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কির সংশ্লিষ্ট গবেষক জেনিফার ডি পাওলা বলেছেন, প্রকৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, কর্মজীবনে সুস্থ সমতা হলো ফিনল্যান্ডের মানুষের সুখি জীবনের মূলে। তাছাড়া দেশটির নাগরিকদের একটি সফল জীবন সম্পর্কে অধিক অর্জনযোগ্য অনুধাবন আছে। ফিনল্যান্ডের নাগরিকদের মধ্যে আছে শক্তিশালী কল্যাণমূলক সমাজ, রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের ওপর আস্থা, কম মাত্রায় দুর্নীতি, ফ্রি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা। তিনি আরও বলেন, ফিনিশ সমাজ বিশ্বাস, স্বাধীনতা ও উচ্চ মাত্রায় স্বায়ত্তশাসনের অনুভূতি দ্বারা পরিবেষ্টিত।

বিশ্ব জুড়ে বেশির ভাগ অঞ্চলে এবার দেখা গেছে বয়স্ক সিনিয়রদের চেয়ে তরুণ প্রজন্ম বেশি সুখি। তবে তারা সবাই নয়। ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের পর নাটকীয়ভাবে ৩০ বছরের কম বয়সী উত্তর আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান এবং নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের গ্রুপের মধ্যে কমে গেছে সুখ। এসব স্থানে তরুণদের চেয়ে প্রবীণ প্রজন্ম বেশি সুখি। পক্ষান্তরে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে একই সময়ে সব বয়সীদের মধ্যে সুখ বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিম ইউরোপের লোকজনের সব বয়সী একই পরিমাণ সুখি। ইউরোপ বাদে প্রতিটি অঞ্চলে সুখি হওয়ার ক্ষেত্রে অসমতা দেখা দিয়েছে। একে এই রিপোর্টের লেখকরা উদ্বেগজনক প্রবণতা বলে বর্ণনা করেছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বিশ্বের সবচেয়ে সুখি দেশ ফিনল্যান্ড, বাংলাদেশ ১২৯, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি নেই শীর্ষ কুড়িতে

আপডেট সময় ০২:১৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

বিশ্বের সবচেয়ে সুখি দেশ ফিনল্যান্ড। এ নিয়ে টানা সপ্তম বারের মতো তারা এই খেতাব ধরে রেখেছে। জাতিসংঘের স্পন্সর করা ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। বুধবার প্রকাশিত এই রিপোর্টে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম। ৩০ বছর বয়সীদের সুখি হওয়ার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৮তম।

অন্যদিকে প্রবীণ- যাদের বয়স ৬০ বছর বা তারও বেশি তাদের ক্যাটেগরিতে সুখি দেশের সূচকে বাংলাদেশ আছে ১২০ নম্বরে। এর একধাপ নিচে রয়েছে ভারত। মিয়ানমার ১০২ নম্বরে। পাকিস্তান ১২২ নম্বরে। নিম্ন মধ্য বয়সীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯। উচ্চ মধ্যবয়সীদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থানে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে সবচেয়ে সুখি হলো যুবশ্রেণি। সবচেয়ে কম সুখি উচ্চ মধ্যবয়সীরা।  কমপক্ষে এক দশক আগে এই রিপোর্ট প্রকাশ শুরু হয়। তখন থেকে এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি নেই বিশ্বের সবচেয়ে সুখি ২০টি দেশের ভিতরে। যথাক্রমে এ দুটি দেশের অবস্থান ২৩তম ও ২৪তম। পক্ষান্তরে শীর্ষ ২০ সুখি দেশের মধ্যে উঠে এসেছে কোস্টারিকা ও কুয়েত। তাদের অবস্থান যথাক্রমে ১২ ও ১৩।

অন্যদিকে ভারতের অবস্থান ১২৬তম। আগের বছরও তাদের অবস্থান এই সূচকে একই ছিল। নরডিক দেশগুলো সবচেয়ে সুখি ১০টি দেশের মধ্যে অবস্থান ধরে রেখেছে। এর মধ্যে ফিনল্যান্ডের পর আছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন। ২০২০ সাল থেকে আফগানিস্তান রয়েছে তালেবানদের দখলে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এই দেশটি রয়েছে সবচেয়ে নিচে। মোট ১৪৩টি দেশের ওপর এই সূচক করা হয়েছে। তার শেষ অবস্থান অর্থাৎ ১৪৩ নম্বরে অবস্থান করছে আফগানিস্তান। সবচেয়ে সুখি দেশগুলোর মধ্যে এখন আর বিশ্বের কোনো বৃহৎ দেশের অবস্থান নেই। এতে বলা হয়েছে, শীর্ষ ১০ সুখি দেশের মধ্যে শুধু নেদারল্যান্ডস এবং অস্ট্রেলিয়ার আছে কমপক্ষে দেড় কোটি জনসংখ্যা। শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে শুধু কানাডা ও বৃটেনের জনসংখ্যা কমপক্ষে তিন কোটি।

২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল সময়কালের পর সবচেয়ে দ্রুতগতিতে সুখ কমেছে আফগানিস্তানে। সবচেয়ে দ্রুতগতিতে তা বৃদ্ধি পেয়েছে লেবানন, জর্ডান, ইউরোপিয়ান দেশ সার্বিয়া, বুলগেরিয়া ও লাতভিয়ায়। ব্যক্তিবিশেষের জীবন সম্পর্কে সন্তুষ্টির মূল্যায়ন, মাথাপিছু জাতীয় প্রবৃদ্ধি, সামাজিক সাপোর্ট, সুস্থ জীবনের প্রত্যাশা, স্বাধীনতা, উদারতা ও দুর্নীতির ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে এই সূচক।

ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হেলসিঙ্কির সংশ্লিষ্ট গবেষক জেনিফার ডি পাওলা বলেছেন, প্রকৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, কর্মজীবনে সুস্থ সমতা হলো ফিনল্যান্ডের মানুষের সুখি জীবনের মূলে। তাছাড়া দেশটির নাগরিকদের একটি সফল জীবন সম্পর্কে অধিক অর্জনযোগ্য অনুধাবন আছে। ফিনল্যান্ডের নাগরিকদের মধ্যে আছে শক্তিশালী কল্যাণমূলক সমাজ, রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের ওপর আস্থা, কম মাত্রায় দুর্নীতি, ফ্রি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা। তিনি আরও বলেন, ফিনিশ সমাজ বিশ্বাস, স্বাধীনতা ও উচ্চ মাত্রায় স্বায়ত্তশাসনের অনুভূতি দ্বারা পরিবেষ্টিত।

বিশ্ব জুড়ে বেশির ভাগ অঞ্চলে এবার দেখা গেছে বয়স্ক সিনিয়রদের চেয়ে তরুণ প্রজন্ম বেশি সুখি। তবে তারা সবাই নয়। ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের পর নাটকীয়ভাবে ৩০ বছরের কম বয়সী উত্তর আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান এবং নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের গ্রুপের মধ্যে কমে গেছে সুখ। এসব স্থানে তরুণদের চেয়ে প্রবীণ প্রজন্ম বেশি সুখি। পক্ষান্তরে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে একই সময়ে সব বয়সীদের মধ্যে সুখ বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিম ইউরোপের লোকজনের সব বয়সী একই পরিমাণ সুখি। ইউরোপ বাদে প্রতিটি অঞ্চলে সুখি হওয়ার ক্ষেত্রে অসমতা দেখা দিয়েছে। একে এই রিপোর্টের লেখকরা উদ্বেগজনক প্রবণতা বলে বর্ণনা করেছেন।