ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ও শরীরের নিরাপত্তা নিজেকেই নিতে বললেন পুলিশ কর্মকর্তা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৮:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩
  • ১১২৮ বার পড়া হয়েছে

ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ও শরীরের নিরাপত্তা নিজেকেই নিতে বললেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খ. মহিদ উদ্দিন। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘আমাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে, পার্সোনাল বিলংগিংস বা ব্যক্তিগত ছোটখাটো জিনিসপত্র ও নিজের শরীরের নিরাপত্তা প্রত্যেককে তার নিতে হবে। রাষ্ট্রের অবশ্যই নিরাপত্তার দায়িত্ব আছে। কিন্তু কেউ যদি রাতের বেলায় মোবাইল ফোনে কথা বলে… অনেকে গাড়ির মধ্যে বসে কথা বলে কিন্তু মোবাইল ফোনটি বাইরে রাখেন। এতে টান দিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।’

ফার্মগেটে কনস্টেবল মনিরুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডিএমপির তেজগাঁও থানা–পুলিশ প্রথমে রাব্বিকে (২১) গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ধারালো ছুরি জব্দ ও ছিনতাই করা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লিটন (২১) নামের অপর এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।

একই ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ কামরুল নামের আরও একজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনিও হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, গ্রামের বাড়ি শেরপুর থেকে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান দুই দিনের ছুটি কাটিয়ে শনিবার ভোররাতে বাসে ঢাকার ফার্মগেটে আসেন। ফার্মগেটে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময় তিন ছিনতাইকারী তাঁর গতি রোধ করেন। এক ছিনতাইকারী তাঁর মানিব্যাগ নিতে গেলে তিনি বাধা দেন।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এ সময় পেছন থেকে একজন ছিনতাইকারী তাকে ছুরিকাঘাত করেন।আরেকজন তার বাহুতে ছুরিকাঘাত করেন। এরপর মনিরুজ্জামানের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে ছিনতাইকারীরা মোহাম্মদপুরের দিকে চলে যান।

এ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঈদের আগে ও পরে মহানগরীতে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটার পর রাজধানীজুড়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৪৫ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঈদের আগে ১ হাজার ৭৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ঈদের দিন রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিককে রাজধানীর হাতিরঝিলে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ও শরীরের নিরাপত্তা নিজেকেই নিতে বললেন পুলিশ কর্মকর্তা

আপডেট সময় ০৮:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩

ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ও শরীরের নিরাপত্তা নিজেকেই নিতে বললেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খ. মহিদ উদ্দিন। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘আমাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে, পার্সোনাল বিলংগিংস বা ব্যক্তিগত ছোটখাটো জিনিসপত্র ও নিজের শরীরের নিরাপত্তা প্রত্যেককে তার নিতে হবে। রাষ্ট্রের অবশ্যই নিরাপত্তার দায়িত্ব আছে। কিন্তু কেউ যদি রাতের বেলায় মোবাইল ফোনে কথা বলে… অনেকে গাড়ির মধ্যে বসে কথা বলে কিন্তু মোবাইল ফোনটি বাইরে রাখেন। এতে টান দিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।’

ফার্মগেটে কনস্টেবল মনিরুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডিএমপির তেজগাঁও থানা–পুলিশ প্রথমে রাব্বিকে (২১) গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ধারালো ছুরি জব্দ ও ছিনতাই করা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লিটন (২১) নামের অপর এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।

একই ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ কামরুল নামের আরও একজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনিও হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, গ্রামের বাড়ি শেরপুর থেকে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান দুই দিনের ছুটি কাটিয়ে শনিবার ভোররাতে বাসে ঢাকার ফার্মগেটে আসেন। ফার্মগেটে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময় তিন ছিনতাইকারী তাঁর গতি রোধ করেন। এক ছিনতাইকারী তাঁর মানিব্যাগ নিতে গেলে তিনি বাধা দেন।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এ সময় পেছন থেকে একজন ছিনতাইকারী তাকে ছুরিকাঘাত করেন।আরেকজন তার বাহুতে ছুরিকাঘাত করেন। এরপর মনিরুজ্জামানের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে ছিনতাইকারীরা মোহাম্মদপুরের দিকে চলে যান।

এ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঈদের আগে ও পরে মহানগরীতে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটার পর রাজধানীজুড়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৪৫ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঈদের আগে ১ হাজার ৭৬৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ঈদের দিন রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিককে রাজধানীর হাতিরঝিলে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।