তিস্তা নদীর বাঁধ রক্ষায় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বুড়িরহাট স্পার বাঁধ নির্মিত হলেও ভাঙন দেখা দিয়েছে বাঁধটিতে। যেকোনো মুহূর্তে মূল বাঁধসহ ক্রস বাঁধটি ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষা করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এদিকে বাঁধ ধসে যাওয়ায় আশঙ্কায় নদীর পাড়ের মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানান, গতকাল বুধবার ভোরে পানির স্রোতে বুড়িরহাট স্পার বাঁধটির একাংশ ধসে গিয়ে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে পুরো স্পার বাঁধসহ ক্রসবাঁধটি বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্রসবাঁধটিতে বালুভর্তি বস্তা দিয়ে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু প্রবল স্রোতে এসব বস্তা থাকবে কী না তা নিয়েও সংশয় করছে এলাকাবাসী। প্রতি মুহূর্তে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্রসবাঁধটি ভেঙে গেলে বাঁধের পূর্বপাশে অবস্থিত বড় দারগা খিতাবখা পাঁচ শতাধিক পরিবারের ভিটে মাটিসহ আবাদী জমি দ্রুত নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয় মজিবর রহমান, আ. জলিল, হোসেন আলী, ফজলু মিয়াসহ অনেকে বলেন, ‘ক্রসবাঁধটি ধসে যাওয়ায় এলাকার সকলে আতঙ্কে রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে গ্রামে ভাঙন দেখা দিতে পারে।’
রাজারহাটের ইউপি সদস্য হিরা বলেন, ‘হঠাৎ করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঁধের এক অংশ ধসে গেছে।’
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. কুদ্দুস প্রামাণিক বলেন, ‘খবর শুনে এলাকায় গিয়েছি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত বালুভর্তি বস্তা ফেলার নির্দেশ দিয়েছি। এখন ভাঙন কমে গেছে। আশা করা হচ্ছে আর ভাঙবে না।’