ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ভারতের উচিত বাংলাদেশের মানুষের পাল্স বোঝা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:১৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০৮৭ বার পড়া হয়েছে

ভারতকে এই দেশের মানুষের পালস বোঝার চেষ্টা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত বুধবার ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই মির্জা ফখরুলের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে, যেখানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এএনআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে বলে বিশ্বাস করে বিএনপি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক সব সময়ই খুব ভালো ছিল। কিন্তু বিএনপি ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমি মনে করি, বরফ গলতে শুরু করেছে। আশা করি, এই সম্পর্ক আরও ভালো হবে। এবার তারা (ভারত) আমাদের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করবে। বিশেষ করে ভারতকে এই দেশের মানুষের পালস বোঝার চেষ্টা করা উচিত। তাদের সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখা উচিত নয়। তাদের উচিত (উভয় দেশের) জনগণের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলা।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে আমাদের (বিএনপি) সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তবে এবার আমাদের অফিসে হাইকমিশনার আসায় অবশ্যই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আমাদের মধ্যকার বরফ গলতে শুরু করেছে। অবশ্যই এটিও ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের একটি টার্নিং পয়েন্ট। উল্লেখ্য, বিএনপি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সংসদ নির্বাচন বয়কট করেছিল।

এর আগে গত রবিবার সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বিএনপির কার্যালয়ে বৈঠক

করেছিলেন মির্জা ফখরুল। ওই বৈঠকের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছি। পানি ভাগাভাগি সমস্যা, সীমান্ত হত্যা, বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার কথা বলেছি। ভারতের প্রধান ইস্যু ছিল নিরাপত্তা সমস্যা। ভারতকে আশ্বস্ত করেছি, আমরা ক্ষমতায় থাকলে এই ভূখ- বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ব্যবহার করতে পারবে না।

অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি এখনও জানি না যে, সরকার তাকে (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছে কি না। তবে আমি মনে করি, তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফিরে আসা উচিত এবং তার জবাবদিহি করা উচিত।

বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে- এমন ভুল বর্ণনা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি না, কোনো গুরুতর সমস্যা আছে। প্রতিটি পরিবর্তনের পর কিছু সমস্যা থাকে, যা পুরোটাই রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক নয়। কিন্তু আমরা আমাদের দেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য খুবই সজাগ। বিশেষ করে, পূজার আগে আমরা ইতোমধ্যে সারা দেশে আমাদের ইউনিটগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছি। সবশেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে- বাংলাদেশে শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকার থেকে গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ভারতের উচিত বাংলাদেশের মানুষের পাল্স বোঝা

আপডেট সময় ১১:১৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতকে এই দেশের মানুষের পালস বোঝার চেষ্টা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত বুধবার ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই মির্জা ফখরুলের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে, যেখানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এএনআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে বলে বিশ্বাস করে বিএনপি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক সব সময়ই খুব ভালো ছিল। কিন্তু বিএনপি ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমি মনে করি, বরফ গলতে শুরু করেছে। আশা করি, এই সম্পর্ক আরও ভালো হবে। এবার তারা (ভারত) আমাদের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করবে। বিশেষ করে ভারতকে এই দেশের মানুষের পালস বোঝার চেষ্টা করা উচিত। তাদের সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখা উচিত নয়। তাদের উচিত (উভয় দেশের) জনগণের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলা।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে আমাদের (বিএনপি) সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তবে এবার আমাদের অফিসে হাইকমিশনার আসায় অবশ্যই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আমাদের মধ্যকার বরফ গলতে শুরু করেছে। অবশ্যই এটিও ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের একটি টার্নিং পয়েন্ট। উল্লেখ্য, বিএনপি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সংসদ নির্বাচন বয়কট করেছিল।

এর আগে গত রবিবার সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বিএনপির কার্যালয়ে বৈঠক

করেছিলেন মির্জা ফখরুল। ওই বৈঠকের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছি। পানি ভাগাভাগি সমস্যা, সীমান্ত হত্যা, বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার কথা বলেছি। ভারতের প্রধান ইস্যু ছিল নিরাপত্তা সমস্যা। ভারতকে আশ্বস্ত করেছি, আমরা ক্ষমতায় থাকলে এই ভূখ- বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ব্যবহার করতে পারবে না।

অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি এখনও জানি না যে, সরকার তাকে (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছে কি না। তবে আমি মনে করি, তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফিরে আসা উচিত এবং তার জবাবদিহি করা উচিত।

বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে- এমন ভুল বর্ণনা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি না, কোনো গুরুতর সমস্যা আছে। প্রতিটি পরিবর্তনের পর কিছু সমস্যা থাকে, যা পুরোটাই রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক নয়। কিন্তু আমরা আমাদের দেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য খুবই সজাগ। বিশেষ করে, পূজার আগে আমরা ইতোমধ্যে সারা দেশে আমাদের ইউনিটগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছি। সবশেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে- বাংলাদেশে শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকার থেকে গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।