ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ভারতের ৬০ কিমি এলাকা দখল করে ফেলেছে চীন?

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৯:০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০৮৬ বার পড়া হয়েছে

ভারত ভূখণ্ডের ৬০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে চীনা সেনাবাহিনী? এমনটাই দাবি করছেন অরুণাচলের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, অরুণাচলের অঞ্জো জেলায় নাকি চীনা সেনাবাহিনীর ক্যাম্প দেখা গিয়েছে। এর পর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা।

স্থানীয়েরা বলছেন, অঞ্জো জেলার কাপাপু এলাকায় চীনা ক্যাম্পের খোঁজ মিলেছে। ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদনেও দাবি করা হচ্ছে, সপ্তাহখানেক আগে থেকেই নাকি ওই অঞ্চলে ডেরা বেঁধেছে চীনা সেনাসদস্যরা! ভারতীয় সেনাবাহিনীর মালবাহকেরাও এমনটাই জানাচ্ছেন। চীনা ক্যাম্পটি ম্যাকমোহন লাইন থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে হাদিগ্রা পাসের কাছে অবস্থিত।

উল্লেখ্য, এই অঞ্জো জেলার চাগলাগাম এলাকা থেকেই দু’বছর আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন দুই ভাই। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের অদূরেই এক গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তারা। চীন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ঔষধি গাছের খোঁজে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন ওই দু’জন। স্থানীয়দের দাবি ছিল, চীনের পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র হাতে বন্দি রয়েছেন তারা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে একাধিকবার নিখোঁজদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।

অঞ্জোর বিধায়ক তথা রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী দাসাংলু পুল সে সময় সংবাদ সংস্থাকে বলেছিলেন, ‘চীন এখনো সরাসরি স্বীকার করেনি ওই দুই যুবক তাদের হেফাজতে রয়েছে কি না। তবে আমাকে বলা হয়েছে, বেঁচে আছেন দু’জনেই।’ যদিও অঞ্জোতে চীনা অনুপ্রবেশ নিয়ে সে রাজ্যের কোনো মন্ত্রী এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।

ওই দুই ভাই ছাড়াও, ভারত-চীন সীমান্ত থেকে আগেও নিখোঁজ হয়েছেন একাধিক মানুষ। এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সুবানসিরি জেলা থেকে পাঁচ যুবকের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খোঁজ মেলে। এক সপ্তাহ পিএলএ-র হাতে বন্দি থাকার পর ঘরে ফেরেন তারা। ২০২২ সালেও এক কিশোর ৯ দিন চীনা সেনার হাতে বন্দি ছিলেন। আগেও একাধিকবার ভারত ভূখণ্ডে চীনা অনুপ্রবেশের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। ২০১৯ সালে চীন-অরুণাচল সীমান্তে আমাকো ক্যাম্পের কাছে দইমরু নালার উপর কাঠের অস্থায়ী ব্রিজ বানিয়েছিল চীন। ২০২০ সালে দিবং জেলাতেও ঢুকে পড়েছিল চীনা বাহিনী।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ভারতের ৬০ কিমি এলাকা দখল করে ফেলেছে চীন?

আপডেট সময় ০৯:০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারত ভূখণ্ডের ৬০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে চীনা সেনাবাহিনী? এমনটাই দাবি করছেন অরুণাচলের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, অরুণাচলের অঞ্জো জেলায় নাকি চীনা সেনাবাহিনীর ক্যাম্প দেখা গিয়েছে। এর পর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা।

স্থানীয়েরা বলছেন, অঞ্জো জেলার কাপাপু এলাকায় চীনা ক্যাম্পের খোঁজ মিলেছে। ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদনেও দাবি করা হচ্ছে, সপ্তাহখানেক আগে থেকেই নাকি ওই অঞ্চলে ডেরা বেঁধেছে চীনা সেনাসদস্যরা! ভারতীয় সেনাবাহিনীর মালবাহকেরাও এমনটাই জানাচ্ছেন। চীনা ক্যাম্পটি ম্যাকমোহন লাইন থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে হাদিগ্রা পাসের কাছে অবস্থিত।

উল্লেখ্য, এই অঞ্জো জেলার চাগলাগাম এলাকা থেকেই দু’বছর আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন দুই ভাই। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের অদূরেই এক গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তারা। চীন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ঔষধি গাছের খোঁজে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন ওই দু’জন। স্থানীয়দের দাবি ছিল, চীনের পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র হাতে বন্দি রয়েছেন তারা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে একাধিকবার নিখোঁজদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।

অঞ্জোর বিধায়ক তথা রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী দাসাংলু পুল সে সময় সংবাদ সংস্থাকে বলেছিলেন, ‘চীন এখনো সরাসরি স্বীকার করেনি ওই দুই যুবক তাদের হেফাজতে রয়েছে কি না। তবে আমাকে বলা হয়েছে, বেঁচে আছেন দু’জনেই।’ যদিও অঞ্জোতে চীনা অনুপ্রবেশ নিয়ে সে রাজ্যের কোনো মন্ত্রী এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।

ওই দুই ভাই ছাড়াও, ভারত-চীন সীমান্ত থেকে আগেও নিখোঁজ হয়েছেন একাধিক মানুষ। এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সুবানসিরি জেলা থেকে পাঁচ যুবকের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খোঁজ মেলে। এক সপ্তাহ পিএলএ-র হাতে বন্দি থাকার পর ঘরে ফেরেন তারা। ২০২২ সালেও এক কিশোর ৯ দিন চীনা সেনার হাতে বন্দি ছিলেন। আগেও একাধিকবার ভারত ভূখণ্ডে চীনা অনুপ্রবেশের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। ২০১৯ সালে চীন-অরুণাচল সীমান্তে আমাকো ক্যাম্পের কাছে দইমরু নালার উপর কাঠের অস্থায়ী ব্রিজ বানিয়েছিল চীন। ২০২০ সালে দিবং জেলাতেও ঢুকে পড়েছিল চীনা বাহিনী।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা