ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ভেঙে ফেলতে হবে সরকারি ৪২ ভবন

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:১০:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
  • ১১৭০ বার পড়া হয়েছে

ভূমিকম্প ঝুঁকির কারণে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের ৪২টি সরকারি ভবন সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। চিঠি পাওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে এসব ভবন খালি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার ডাক বিভাগের এক প্রেস মেইল সার্ভিসের (ইএমএস) মাধ্যমে এ চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর দপ্তরে। দ্রুত চিঠি পৌঁছানোর জন্য ইএমএস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ভেঙে ফেলার জন্য নির্দেশনা দেওয়া ভবনগুলোর মধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩০টি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও হাসপাতালের তিনটি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের একটি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি ভবন রয়েছে। এর বাইরে ঢাকার আরও ১৮৭টি সরকারি ভবন মজবুত করতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি রাজউকের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের (ইউআরপি) আওতায় পরিচালিত এক সমীক্ষায় রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের সরকারি ভবনগুলোর মধ্যে ৩ হাজার ২৫২টিকে বিভিন্ন মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে অন্তত ৪২টি ভবনকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রাখা হয়েছে। তাই এসব ভবন ভেঙে ফেলতে হবে।

তা ছাড়া ১৮৭টি ভবনকে প্রয়োজনীয় মেরামত করে মজবুত (রেট্রোফিটিং) করতে বলা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের ভবন মজবুত করতে বলা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চারটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ‍্ববিদ্যালয়ের ১০টি, মাদ্রাসা বোর্ডের ৬টি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি এসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। আগামী সাত দিনের মধ্যে এসব ভবন খালি করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে নোটিশ টাঙিয়ে দিতে বলা হয়েছে।’

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, এসব ভবন এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ এগুলো মেরামত খরচ অনেক বেশি। তাই ভেঙে ফেলা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী কোনো ভবনের সংস্কার খরচ ৩০ শতাশের বেশি হলে সেটি ভেঙে ফেলতে হয়। যেসব ভবন ভাঙতে বলা হয়েছে, সেগুলোর সংস্কার খরচ ৩০ শতাংশের অনেক বেশি।

আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল লতিফ হেলালী আমাদের সময়কে বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে গত তিন-চার বছর ধরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবনের প্রকৌশলগত মান ও শক্তি যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। রাজউকের এলাকাধানী ঢাকা সিটিতে বেছে বেছে ৩ হাজার ২৫২টি ভবনের সার্ভে করা হয়। সেখানে ২২৯টি ভবনকে বিভিন্ন ভাগে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়। তার মধ্যে ৪২টি ভবন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। সেগুলো ভাঙতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান, তাই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তারা ভেঙে ফেলবে। ভবনগুলোতে বসবাস বা অফিস পরিচালনা করা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ভবনগুলো ভাঙার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়ে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক নগরপরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান আমাদের সময়কে বলেন, ‘যে ভবনগুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো অনেক পুরনো ভবন। আমরা জেনেছি রাজউক চিঠি দিয়েছে। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের কোন ভবন সেটি উল্লেখ করা হয়নি। আশা করি রাজউক সেটি করবে। আর ভবন ভাঙার আগে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

এই নগরপরিকল্পনাবিদ বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের ভবন ভাঙতে বলা হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠান চাইলে পুনরায় ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং এসেসমেন্ট (ডিইএ) করাতে পারবেন, এমন সুযোগ থাকা দরকার। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি চ্যালেঞ্জ করে, তাহলে অবশ্যই ডিইএ করে নিজেদের মতো মূল্যায়নটা করতে পারবে।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মাদ্রাসা, থানা, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৬ হাজার ভবন রয়েছে। আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের আওতায় মাত্র ৩ হাজার ২৫১টি ভবনের প্রাথমিক অ্যাসেসমেন্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে রাজউকের ২২৯টি সরকারি ভবনের ডিইএ করা হয়েছে। প্রকল্পের অর্থে কুলিয়ে উঠতে না পারায় মূল্যায়নের পরবর্তী ধাপ আটকে রয়েছে।

জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, গাজীপুর, সাভারসহ অন্যান্য বড় শহরেও ভবন মূল্যায়ন করা হবে। যেহেতু ভূমিকম্পের প্রবণতা হচ্ছে ১৫০ বছর পর পর বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশ এখন ভূমিকম্পের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। সে জন্য রাজউকের পক্ষ থেকে বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সর্বশেষ ১৮২২ এবং ১৯১৮ সালে মধুপুর ফল্টে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। ১৮৮৫ সালে ঢাকার কাছে মানিকগঞ্জে ৭.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের ইতিহাস রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ভেঙে ফেলতে হবে সরকারি ৪২ ভবন

আপডেট সময় ১১:১০:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

ভূমিকম্প ঝুঁকির কারণে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের ৪২টি সরকারি ভবন সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। চিঠি পাওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে এসব ভবন খালি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার ডাক বিভাগের এক প্রেস মেইল সার্ভিসের (ইএমএস) মাধ্যমে এ চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর দপ্তরে। দ্রুত চিঠি পৌঁছানোর জন্য ইএমএস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ভেঙে ফেলার জন্য নির্দেশনা দেওয়া ভবনগুলোর মধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩০টি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও হাসপাতালের তিনটি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের একটি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি ভবন রয়েছে। এর বাইরে ঢাকার আরও ১৮৭টি সরকারি ভবন মজবুত করতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি রাজউকের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের (ইউআরপি) আওতায় পরিচালিত এক সমীক্ষায় রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের সরকারি ভবনগুলোর মধ্যে ৩ হাজার ২৫২টিকে বিভিন্ন মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে অন্তত ৪২টি ভবনকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রাখা হয়েছে। তাই এসব ভবন ভেঙে ফেলতে হবে।

তা ছাড়া ১৮৭টি ভবনকে প্রয়োজনীয় মেরামত করে মজবুত (রেট্রোফিটিং) করতে বলা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের ভবন মজবুত করতে বলা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চারটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ‍্ববিদ্যালয়ের ১০টি, মাদ্রাসা বোর্ডের ৬টি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি এসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। আগামী সাত দিনের মধ্যে এসব ভবন খালি করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে নোটিশ টাঙিয়ে দিতে বলা হয়েছে।’

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, এসব ভবন এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ এগুলো মেরামত খরচ অনেক বেশি। তাই ভেঙে ফেলা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী কোনো ভবনের সংস্কার খরচ ৩০ শতাশের বেশি হলে সেটি ভেঙে ফেলতে হয়। যেসব ভবন ভাঙতে বলা হয়েছে, সেগুলোর সংস্কার খরচ ৩০ শতাংশের অনেক বেশি।

আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল লতিফ হেলালী আমাদের সময়কে বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে গত তিন-চার বছর ধরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবনের প্রকৌশলগত মান ও শক্তি যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। রাজউকের এলাকাধানী ঢাকা সিটিতে বেছে বেছে ৩ হাজার ২৫২টি ভবনের সার্ভে করা হয়। সেখানে ২২৯টি ভবনকে বিভিন্ন ভাগে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়। তার মধ্যে ৪২টি ভবন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। সেগুলো ভাঙতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান, তাই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তারা ভেঙে ফেলবে। ভবনগুলোতে বসবাস বা অফিস পরিচালনা করা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ভবনগুলো ভাঙার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়ে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক নগরপরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান আমাদের সময়কে বলেন, ‘যে ভবনগুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো অনেক পুরনো ভবন। আমরা জেনেছি রাজউক চিঠি দিয়েছে। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের কোন ভবন সেটি উল্লেখ করা হয়নি। আশা করি রাজউক সেটি করবে। আর ভবন ভাঙার আগে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

এই নগরপরিকল্পনাবিদ বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের ভবন ভাঙতে বলা হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠান চাইলে পুনরায় ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং এসেসমেন্ট (ডিইএ) করাতে পারবেন, এমন সুযোগ থাকা দরকার। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি চ্যালেঞ্জ করে, তাহলে অবশ্যই ডিইএ করে নিজেদের মতো মূল্যায়নটা করতে পারবে।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মাদ্রাসা, থানা, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৬ হাজার ভবন রয়েছে। আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের আওতায় মাত্র ৩ হাজার ২৫১টি ভবনের প্রাথমিক অ্যাসেসমেন্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে রাজউকের ২২৯টি সরকারি ভবনের ডিইএ করা হয়েছে। প্রকল্পের অর্থে কুলিয়ে উঠতে না পারায় মূল্যায়নের পরবর্তী ধাপ আটকে রয়েছে।

জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, গাজীপুর, সাভারসহ অন্যান্য বড় শহরেও ভবন মূল্যায়ন করা হবে। যেহেতু ভূমিকম্পের প্রবণতা হচ্ছে ১৫০ বছর পর পর বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশ এখন ভূমিকম্পের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। সে জন্য রাজউকের পক্ষ থেকে বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সর্বশেষ ১৮২২ এবং ১৯১৮ সালে মধুপুর ফল্টে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। ১৮৮৫ সালে ঢাকার কাছে মানিকগঞ্জে ৭.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের ইতিহাস রয়েছে।