ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মহাবিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ : মির্জা ফখরুল

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৪:২৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৩১ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মহাবিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক সঙ্কট কেটে যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। বরং সঙ্কট আরো ঘনীভূত হচ্ছে।

তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির প্রায় সবকয়টি সূচকই আরো দুর্বল ও প্রকট হয়ে উঠেছে। অসহনীয় মূল্যস্ফীতি, নজিরবিহীন ডলার সঙ্কট, ডলারের বিনিময়ে টাকার অভূতপূর্ব অবমূল্যায়ন, ব্যাংকিং ও আর্থিক অব্যবস্থাপনা, অপরিণামদর্শী ভ্রান্তনীতি, অদক্ষ ও দলকানা নীতি বৈষম্য, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, বিদেশে অর্থপাচার, ঋণ প্রাপ্তির অপর্যাপ্ততা, সুশাসনের অভাব, সামাজিক-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আয় বৈষম্য এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রহীনতা বর্তমান অর্থনৈতিক নৈরাজ্যের মূল কারণ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার কঠিন শর্তে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছে। বলতে গেলে সরকার এখন ব্যাংক থেকে ধার করে এবং আইএমএফের ঋণের ওপর ভর করেই চলছে।

আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে চারিদিকে শুধু হাহাকার, নাই আর নাই। সমগ্র দেশটিই যেনো এক ‘নাই’-এর রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এই হাহাকার অবশ্য সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ও সুবিধাভোগী নব্য ধনীদের জন্য নয়। সরকারের কুখ্যাত গোষ্ঠী সম্মিলিতভাবে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে দিব্যি ভালো আছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তারা দেদারসে অর্থ লোপাট করছে। ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে দিয়েছে। অর্থ পাচার করে বিদেশে গাড়ি বাড়ি ও সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। সিঙ্গাপুরসহ দেশে দেশে শ্রেষ্ঠ ধনীর তালিকাভুক্ত হচ্ছে। দেশে-বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে। আর অন্যদিকে গরিব আরো গরীব হচ্ছে। মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, করোনা উত্তরকালে প্রায় চার কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়েছে। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে বর্তমানে ৪২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উচ্চমূল্যের যাঁতাকলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। অর্থনীতি আজ মহাসঙ্কটে নিমজ্জিত। রাষ্ট্রযন্ত্র অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ব্যাংক মালিক গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদদে বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা নতুন কিছু নয়, এর আগেও ব্যাংক ঋণের নামে অর্থ লুটপাট হয়েছে। এই টাকা আর ফেরত আসবে না। ‘বাংলাদেশের যোগাযোগ ও ক্ষমতা থাকলে ব্যাংক থেকে ঋণের নামে টাকা লুটপাট এখন সবচেয়ে সহজ’ বলে মন্তব্য করেন একজন অর্থনীতিবিদ।

তিনি আরো বলেন, আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে বিদ্যুৎখাতে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গত ১০ বছরে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা দলীয় ব্যবসায়ীদের পাইয়ে দিয়েছে সরকার। পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে থেকে যদি আর কোনো নতুন চুক্তি নাও করা হয় তবুও কুইক রেন্টাল চলবে ২০২৬ পর্যন্ত এবং ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে ২০৫১ পর্যন্ত। অন্যান্য মেগা প্রজেক্ট-এর কথা নাই বা উল্লেখ করা হলো।

মহাসচিব বলেন, সঙ্কট যতটা না বৈশ্বিক তার চেয়ে বেশি আভ্যন্তরীণ। সরকার বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক রাজনীতিকে দায়ী করে থাকে যা সত্য নয়। যদিও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক সঙ্কট যতটা না বৈশ্বিক সৃষ্টি, তার চেয়ে বেশি আভ্যন্তরীণ।’ কিন্তু সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব মন্তব্য করেছেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দায় বিএনপি সরকারের ওপর চাপাতে চায়।’ তার মন্তব্য সারাদেশে হাস্যকৌতুকের উদ্রেক করেছে। গত দেড় দশক ধরে অবৈধভাবে সরকারের গদি আঁকড়ে আছে আওয়ামী লীগ। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির দায় তো আওয়ামী লীগ সরকারকেই বহন করতে হবে। কে না জানে যে করোনার প্রাদুর্ভাব এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অনেক আগ থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুলে গিয়েছিল। দুর্নীতি, বাজার সিন্ডিকেট ও অব্যবস্থাপনার ফলে দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে মানুষ ছিল পিষ্ট।

বৈশ্বিক পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে সঠিক নীতি ও পদক্ষেপ প্রণয়ন করতে ব্যর্থতার কারণেই আজকের এ সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সরকার জেনে বুঝেই দেশের সর্বনাশ ডেকে এনেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য আর্থিক খাতের সংস্কার সাধন অত্যাবশ্যক। টেকসই অর্থনীতির প্রয়োজনে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা দরকার। কর-শুল্ক, আর্থিক খাত, ব্যাংকিং সেক্টর, বাজেট ব্যবস্থাপনা এবং বাণিজ্য নীতির সংস্কার আবশ্যক। এজন্য প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত আইনের শাসন এবং প্রকৃত অর্থেই জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আশা করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও আর্থিকখাতে কার্যকর সংস্কার সাধনে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আইএমএফ বিশেষ সহযোগিতার হাত বাড়াবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কট একটি জাতীয় সঙ্কটে পরিণত হয়েছে। এই দুর্বিষহ জাতীয় সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে এই অবৈধ সরকারকে হটানোর জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে এবং বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ে দুর্বার গণ-আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, পতন ঘটাতে হবে বর্তমান গণবিরোধী নিশিরাতের সরকারকে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার, যার অধীনে এদেশের তরুণ প্রজন্মসহ সমগ্র জনগণ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশনায়ক তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত’ এর ২৭ দফা বাস্তবায়নে কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সরকার গঠন করবে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে বিজয়ের মাধ্যমে আগামী দিনে দেশের চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কট দূরীভূত করা সম্ভব হবে, ইনশা আল্লাহ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

মহাবিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৪:২৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মহাবিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক সঙ্কট কেটে যাওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। বরং সঙ্কট আরো ঘনীভূত হচ্ছে।

তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির প্রায় সবকয়টি সূচকই আরো দুর্বল ও প্রকট হয়ে উঠেছে। অসহনীয় মূল্যস্ফীতি, নজিরবিহীন ডলার সঙ্কট, ডলারের বিনিময়ে টাকার অভূতপূর্ব অবমূল্যায়ন, ব্যাংকিং ও আর্থিক অব্যবস্থাপনা, অপরিণামদর্শী ভ্রান্তনীতি, অদক্ষ ও দলকানা নীতি বৈষম্য, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, বিদেশে অর্থপাচার, ঋণ প্রাপ্তির অপর্যাপ্ততা, সুশাসনের অভাব, সামাজিক-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আয় বৈষম্য এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রহীনতা বর্তমান অর্থনৈতিক নৈরাজ্যের মূল কারণ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার কঠিন শর্তে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছে। বলতে গেলে সরকার এখন ব্যাংক থেকে ধার করে এবং আইএমএফের ঋণের ওপর ভর করেই চলছে।

আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে চারিদিকে শুধু হাহাকার, নাই আর নাই। সমগ্র দেশটিই যেনো এক ‘নাই’-এর রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এই হাহাকার অবশ্য সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ও সুবিধাভোগী নব্য ধনীদের জন্য নয়। সরকারের কুখ্যাত গোষ্ঠী সম্মিলিতভাবে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে দিব্যি ভালো আছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তারা দেদারসে অর্থ লোপাট করছে। ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে দিয়েছে। অর্থ পাচার করে বিদেশে গাড়ি বাড়ি ও সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। সিঙ্গাপুরসহ দেশে দেশে শ্রেষ্ঠ ধনীর তালিকাভুক্ত হচ্ছে। দেশে-বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে। আর অন্যদিকে গরিব আরো গরীব হচ্ছে। মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, করোনা উত্তরকালে প্রায় চার কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়েছে। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে বর্তমানে ৪২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উচ্চমূল্যের যাঁতাকলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। অর্থনীতি আজ মহাসঙ্কটে নিমজ্জিত। রাষ্ট্রযন্ত্র অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ব্যাংক মালিক গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদদে বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা নতুন কিছু নয়, এর আগেও ব্যাংক ঋণের নামে অর্থ লুটপাট হয়েছে। এই টাকা আর ফেরত আসবে না। ‘বাংলাদেশের যোগাযোগ ও ক্ষমতা থাকলে ব্যাংক থেকে ঋণের নামে টাকা লুটপাট এখন সবচেয়ে সহজ’ বলে মন্তব্য করেন একজন অর্থনীতিবিদ।

তিনি আরো বলেন, আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে বিদ্যুৎখাতে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গত ১০ বছরে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা দলীয় ব্যবসায়ীদের পাইয়ে দিয়েছে সরকার। পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে থেকে যদি আর কোনো নতুন চুক্তি নাও করা হয় তবুও কুইক রেন্টাল চলবে ২০২৬ পর্যন্ত এবং ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে ২০৫১ পর্যন্ত। অন্যান্য মেগা প্রজেক্ট-এর কথা নাই বা উল্লেখ করা হলো।

মহাসচিব বলেন, সঙ্কট যতটা না বৈশ্বিক তার চেয়ে বেশি আভ্যন্তরীণ। সরকার বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক রাজনীতিকে দায়ী করে থাকে যা সত্য নয়। যদিও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক সঙ্কট যতটা না বৈশ্বিক সৃষ্টি, তার চেয়ে বেশি আভ্যন্তরীণ।’ কিন্তু সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব মন্তব্য করেছেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দায় বিএনপি সরকারের ওপর চাপাতে চায়।’ তার মন্তব্য সারাদেশে হাস্যকৌতুকের উদ্রেক করেছে। গত দেড় দশক ধরে অবৈধভাবে সরকারের গদি আঁকড়ে আছে আওয়ামী লীগ। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির দায় তো আওয়ামী লীগ সরকারকেই বহন করতে হবে। কে না জানে যে করোনার প্রাদুর্ভাব এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অনেক আগ থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুলে গিয়েছিল। দুর্নীতি, বাজার সিন্ডিকেট ও অব্যবস্থাপনার ফলে দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে মানুষ ছিল পিষ্ট।

বৈশ্বিক পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে সঠিক নীতি ও পদক্ষেপ প্রণয়ন করতে ব্যর্থতার কারণেই আজকের এ সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সরকার জেনে বুঝেই দেশের সর্বনাশ ডেকে এনেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য আর্থিক খাতের সংস্কার সাধন অত্যাবশ্যক। টেকসই অর্থনীতির প্রয়োজনে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা দরকার। কর-শুল্ক, আর্থিক খাত, ব্যাংকিং সেক্টর, বাজেট ব্যবস্থাপনা এবং বাণিজ্য নীতির সংস্কার আবশ্যক। এজন্য প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত আইনের শাসন এবং প্রকৃত অর্থেই জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আশা করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও আর্থিকখাতে কার্যকর সংস্কার সাধনে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আইএমএফ বিশেষ সহযোগিতার হাত বাড়াবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কট একটি জাতীয় সঙ্কটে পরিণত হয়েছে। এই দুর্বিষহ জাতীয় সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে এই অবৈধ সরকারকে হটানোর জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে এবং বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ে দুর্বার গণ-আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, পতন ঘটাতে হবে বর্তমান গণবিরোধী নিশিরাতের সরকারকে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার, যার অধীনে এদেশের তরুণ প্রজন্মসহ সমগ্র জনগণ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশনায়ক তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত’ এর ২৭ দফা বাস্তবায়নে কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সরকার গঠন করবে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে বিজয়ের মাধ্যমে আগামী দিনে দেশের চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কট দূরীভূত করা সম্ভব হবে, ইনশা আল্লাহ।