ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মানবজাতির জন্য আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০১:০০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
  • ১১০২ বার পড়া হয়েছে
মানুষের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ অপরিসীম। পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব তাঁর দয়া ও অনুগ্রহের ওপর টিকে আছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ গণনা করলে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না। আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমাপরায়ণ, পরম দয়ালু।

’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১৮) 

নবী-রাসুলগণ আল্লাহর অনুগ্রহ

আল্লাহর অসংখ্য অনুগ্রহের মধ্যে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হলো পৃথিবীতে নবী-রাসুল প্রেরণ করা। কেননা তাঁদের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর পরিচয় ও নৈকট্য লাভ করতে পারে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করেছেন যে তিনি তাদের নিজেদের মধ্যে থেকে তাদের কাছে রাসুল প্রেরণ করেছেন, যে তার আয়াতগুলো তাদের কাছে তিলাওয়াত করে, তাদেরকে পরিশোধন করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়। যদিও তারা আগে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই ছিল।

’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৬৪) 

নবীজি (সা.) সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ

নবী-রাসুল (আ.) আল্লাহর অনুগ্রহ ছিলেন। তবে সবচেয় বড় অনুগ্রহ ছিলেন মহানবী (সা.)। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমাকে বিশ্বজগতের প্রতি কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)

যে কারণে সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ

আল্লাহ আদম (আ.)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে ইসলামচর্চার সূচনা করেছিলেন, যা যুগে যুগে নবী-রাসুলদের মাধ্যমে পূর্ণতা লাভ করতে থাকে।

আল্লাহর দ্বিন হিসেবে তা চূড়ান্ত স্তরে পৌঁছায় মহানবী (সা.)-এর মাধ্যমে। আর দ্বিনে পূর্ণতা মানবজাতির জন্য মহানুগ্রহ। আল্লাহ বলেন, ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিন পূর্ণাঙ্গ করলাম। তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বিন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩) 

আনুগত্যেই কৃতজ্ঞতা

আল্লাহ অনুগ্রহ করে পৃথিবীতে নবী-রাসুলদের পাঠিয়েছেন।

আল্লাহর এই দয়া ও অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সর্বোত্তম উপায় হলো তাদের যথাযথ আনুগত্য করে। পবিত্র কোরআনে নবী কারিম (আ.)-এর আনুগত্যের পুরস্কার ঘোষণা করে বলেছেন, ‘যারা আল্লাহ ও রাসুলের অনুগত, তারা সেসব ব্যক্তির সঙ্গী হবে, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন। তাঁরা হলেন নবী, সিদ্দিক, শহীদ ও সত্কর্মশীলরা। আর এরাই সর্বোত্তম সঙ্গী।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৬৯) 

সন্তোষ প্রকাশে কৃতজ্ঞতা

আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও দ্বিনের প্রতি সন্তোষ প্রকাশের মাধ্যমেও ব্যক্তি আল্লাহর অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে। ইরশাদ হয়েছে, ‘বোলো, এটা (কোরআন) আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়ায়; সুতরাং তাতে তারা আনন্দিত হোক। তারা যা পুঞ্জীভূত করে তার চেয়ে এটা উত্তম।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৫৮)

অবাধ্যতাই অকৃতজ্ঞতা

রাসুলের নির্দেশ অমান্য করাই আল্লাহর অনুগ্রহের প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ। আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে বিপর্যয় তাদের ওপর আপতিত হবে অথবা আপতিত হবে তাদের ওপর মর্মন্তুদ শাস্তি।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৬৩)

আল্লাহ সবাইকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

মানবজাতির জন্য আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ

আপডেট সময় ০১:০০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
মানুষের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ অপরিসীম। পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব তাঁর দয়া ও অনুগ্রহের ওপর টিকে আছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ গণনা করলে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না। আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমাপরায়ণ, পরম দয়ালু।

’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১৮) 

নবী-রাসুলগণ আল্লাহর অনুগ্রহ

আল্লাহর অসংখ্য অনুগ্রহের মধ্যে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হলো পৃথিবীতে নবী-রাসুল প্রেরণ করা। কেননা তাঁদের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর পরিচয় ও নৈকট্য লাভ করতে পারে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করেছেন যে তিনি তাদের নিজেদের মধ্যে থেকে তাদের কাছে রাসুল প্রেরণ করেছেন, যে তার আয়াতগুলো তাদের কাছে তিলাওয়াত করে, তাদেরকে পরিশোধন করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়। যদিও তারা আগে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই ছিল।

’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৬৪) 

নবীজি (সা.) সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ

নবী-রাসুল (আ.) আল্লাহর অনুগ্রহ ছিলেন। তবে সবচেয় বড় অনুগ্রহ ছিলেন মহানবী (সা.)। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমাকে বিশ্বজগতের প্রতি কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)

যে কারণে সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ

আল্লাহ আদম (আ.)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে ইসলামচর্চার সূচনা করেছিলেন, যা যুগে যুগে নবী-রাসুলদের মাধ্যমে পূর্ণতা লাভ করতে থাকে।

আল্লাহর দ্বিন হিসেবে তা চূড়ান্ত স্তরে পৌঁছায় মহানবী (সা.)-এর মাধ্যমে। আর দ্বিনে পূর্ণতা মানবজাতির জন্য মহানুগ্রহ। আল্লাহ বলেন, ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বিন পূর্ণাঙ্গ করলাম। তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বিন হিসেবে মনোনীত করলাম।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৩) 

আনুগত্যেই কৃতজ্ঞতা

আল্লাহ অনুগ্রহ করে পৃথিবীতে নবী-রাসুলদের পাঠিয়েছেন।

আল্লাহর এই দয়া ও অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সর্বোত্তম উপায় হলো তাদের যথাযথ আনুগত্য করে। পবিত্র কোরআনে নবী কারিম (আ.)-এর আনুগত্যের পুরস্কার ঘোষণা করে বলেছেন, ‘যারা আল্লাহ ও রাসুলের অনুগত, তারা সেসব ব্যক্তির সঙ্গী হবে, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন। তাঁরা হলেন নবী, সিদ্দিক, শহীদ ও সত্কর্মশীলরা। আর এরাই সর্বোত্তম সঙ্গী।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৬৯) 

সন্তোষ প্রকাশে কৃতজ্ঞতা

আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও দ্বিনের প্রতি সন্তোষ প্রকাশের মাধ্যমেও ব্যক্তি আল্লাহর অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে। ইরশাদ হয়েছে, ‘বোলো, এটা (কোরআন) আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়ায়; সুতরাং তাতে তারা আনন্দিত হোক। তারা যা পুঞ্জীভূত করে তার চেয়ে এটা উত্তম।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৫৮)

অবাধ্যতাই অকৃতজ্ঞতা

রাসুলের নির্দেশ অমান্য করাই আল্লাহর অনুগ্রহের প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ। আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে বিপর্যয় তাদের ওপর আপতিত হবে অথবা আপতিত হবে তাদের ওপর মর্মন্তুদ শাস্তি।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৬৩)

আল্লাহ সবাইকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।