ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব : কুষ্টিয়ায় ২ রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:০৮:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩
  • ১১৩৭ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ বাস মালিক ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বন্দ্বের জেরে কুষ্টিয়ার সাথে খুলনা ও ফরিদপুর রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় এ ধর্মঘট।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আপাতত দু’টি রুটে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে দ্বন্দ্ব না মিটলে কুষ্টিয়ার সাথে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।

কুষ্টিয়া জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কয়েক দিন ধরেই ঝিনাইদহ শ্রমিক ইউনিয়নের ফরিদপুরে ট্রিপ নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এরই জের ধরে গত ৫ এপ্রিল মধ্যরাতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ নামক স্থানে কুষ্টিয়ার গড়াই পরিবহনের স্টাফদের মারধর করেন ঝিনাইদহ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার ভোর থেকে কুষ্টিয়া থেকে খুলনাগামী রূপসা পরিবহন এবং কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুরগামী সকল যাত্রীবাহী বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

কুষ্টিয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন লাবলু জানান, ঝিনাইদহ শ্রমিক ইউনিয়নের ট্রিপ নিয়ে তাদের অন্যায্য দাবি আমরা না মানায় তারা আমাদের শ্রমিকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর ও বাস ভাঙচুর করে। এরই প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

এদিকে, দু’টি রুটে অনির্দিষ্টকালের এই বাস ধর্মঘটের কারণে বিশেষ করে রোজার মধ্যে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধের কারণে অনেকেই বাস কাউন্টারে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

এছাড়া সকালে শহরের মজমপুর বাস ডিপো এবং শহরতলীর চৌড়হাস এলাকার বাস টার্মিনালে এই দুই রুটে যাওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেকে যাত্রীকে।

কুষ্টিয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আক্তার হোসেন জানান, ঝিনাইদহ মোটর শ্রমিক নেতারা বাসের নতুন ট্রিপ দাবি করছেন। তাদের এই অন্যায্য দাবির কারণেই মূলত দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে আমরা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বসি।

তিনি বলেন, এ সময় ঝিনাইদহ জেলার শ্রমিকরা কুষ্টিয়ার পরিবহন স্টাফদের মারধর করে এবং বাস ভাঙচুর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বাস শ্রমিক-মালিক গ্রুপ উভয় মিলে এই দুই রুটে বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

তিনি আরো বলেন, খুলনা থেকে কুষ্টিয়ায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইসাথে ফরিদপুর রুটেও বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বাসের স্টাফদের মারধরের ঘটনায় জড়িতদের আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে গ্রেফতার না করা হলে আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সূত্র : ইউএনবি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব : কুষ্টিয়ায় ২ রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট

আপডেট সময় ০৭:০৮:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ বাস মালিক ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বন্দ্বের জেরে কুষ্টিয়ার সাথে খুলনা ও ফরিদপুর রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় এ ধর্মঘট।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আপাতত দু’টি রুটে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে দ্বন্দ্ব না মিটলে কুষ্টিয়ার সাথে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।

কুষ্টিয়া জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কয়েক দিন ধরেই ঝিনাইদহ শ্রমিক ইউনিয়নের ফরিদপুরে ট্রিপ নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এরই জের ধরে গত ৫ এপ্রিল মধ্যরাতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ নামক স্থানে কুষ্টিয়ার গড়াই পরিবহনের স্টাফদের মারধর করেন ঝিনাইদহ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার ভোর থেকে কুষ্টিয়া থেকে খুলনাগামী রূপসা পরিবহন এবং কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুরগামী সকল যাত্রীবাহী বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

কুষ্টিয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন লাবলু জানান, ঝিনাইদহ শ্রমিক ইউনিয়নের ট্রিপ নিয়ে তাদের অন্যায্য দাবি আমরা না মানায় তারা আমাদের শ্রমিকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর ও বাস ভাঙচুর করে। এরই প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

এদিকে, দু’টি রুটে অনির্দিষ্টকালের এই বাস ধর্মঘটের কারণে বিশেষ করে রোজার মধ্যে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধের কারণে অনেকেই বাস কাউন্টারে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

এছাড়া সকালে শহরের মজমপুর বাস ডিপো এবং শহরতলীর চৌড়হাস এলাকার বাস টার্মিনালে এই দুই রুটে যাওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেকে যাত্রীকে।

কুষ্টিয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আক্তার হোসেন জানান, ঝিনাইদহ মোটর শ্রমিক নেতারা বাসের নতুন ট্রিপ দাবি করছেন। তাদের এই অন্যায্য দাবির কারণেই মূলত দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে আমরা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বসি।

তিনি বলেন, এ সময় ঝিনাইদহ জেলার শ্রমিকরা কুষ্টিয়ার পরিবহন স্টাফদের মারধর করে এবং বাস ভাঙচুর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বাস শ্রমিক-মালিক গ্রুপ উভয় মিলে এই দুই রুটে বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

তিনি আরো বলেন, খুলনা থেকে কুষ্টিয়ায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইসাথে ফরিদপুর রুটেও বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বাসের স্টাফদের মারধরের ঘটনায় জড়িতদের আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে গ্রেফতার না করা হলে আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সূত্র : ইউএনবি