ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মিসওয়াকের গুরুত্ব

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:২০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
  • ১১১৮ বার পড়া হয়েছে

দাঁত থেকে হলুদ বর্ণ বা এ জাতীয় ময়লা দূর করার জন্য কাঠ বা গাছের ডাল ব্যবহার করাকে মিসওয়াক বলা হয়। মিসওয়াক করা মহানবী সা:-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। এতে রয়েছে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক অনেক ফায়দা। আল্লামা ইবনে আবেদিন বলেছেন, মিসওয়াকে রয়েছে ৭০টির ঊর্ধ্বে উপকারিতা।

মিসওয়াক করার সময় : মিসওয়াক করার সময় ৯টি- ১. নামাজের সময়; ২. কুরআন তিলাওয়াতের সময়; ৩. অজুুর সময়; ৪. ঘুম থেকে জাগলে ; ৫. ঘুমানোর আগে; ৬. মুখ দুর্গন্ধযুক্ত হলে; ৭. দীর্ঘ সময় কথা বলার পর; ৮. পানাহারের পর ও ৯. দুর্গন্ধযুুক্ত খাদ্য খাওয়ার পর। অজু ও নামাজের সময় মিসওয়াক করা সুন্নাত। অন্যান্য সময় মিসওয়াক করা মুস্তাহাব।
মিসওয়াকের গুরুত্ব : মহানবী সা: থেকে মিসওয়াক প্রসঙ্গে ৪০টি হাদিস বর্ণিত আছে। তিনি বলেছেন, ‘যখনই হজরত জিবরাইল আ: আমার কাছে আসতেন, তখনই আমাকে মিসওয়াকের নির্দেশ দিতেন। এতে আমি আশঙ্কা বোধ করলাম যে, (মিসওয়াক করে) আমি আমার মুখের সামনের দিক ক্ষয় করে দেবো’ (আহমদ-২২২৬৯, মিসকাত-৩৫৫)। আয়েশা রা: বলেন, মহানবী সা: মিসওয়াক করতেন। অতঃপর মিসওয়াকটি ধৌত করার জন্য আমাকে দিতেন। আমি (ধৌত করার আগে) প্রথমে তা দিয়ে নিজে মিসওয়াক করতাম। তারপর তা ধৌত করতাম (আবু দাউদ, মিশকাত-৩৫৩)। হজরত আয়েশা রা: আরো বলেন, মহানবী সা: রাতে বা দিনে যখনই ঘুম থেকে উঠতেন তখনই অজু করার আগে মিসওয়াক করতেন। (আহমদ, আবু দাউদ, মিসকাত-৩৫২) মহানবী সা: বলেছেন, ‘নবী-রাসূলদের সুন্নাত হলো চারটি, যথা- ১. লজ্জা করা, অন্য বর্ণনায় খতনা করা; ২. সুগন্ধি ব্যবহার করা; ৩. মিসওয়াক করা; ৪. বিয়ে করা’ (তিরমিজি, মিসকাত-৩৫১)।

যা দিয়ে মিসওয়াক: তিক্ত, কাঁচা ও নরম গাছের ডাল দিয়ে মিসওয়াক করা উত্তম। মহানবী সা: জাইতুন ও খেজুর গাছের ডাল দিয়ে মিসওয়াক করতেন। পিলু গাছের মিসওয়াক ব্যবহারে মস্তিষ্ক সতেজ হয়। দাঁতের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অভাব পূরণ করে। ব্রাশ ব্যবহারে মুখ পরিষ্কার হয়, দুর্গন্ধ দূর হয় ও সুন্নাত আদায় হয় কিন্তু ডাল ব্যবহারে যে ফায়দা তা পাওয়া যায় না। মিসওয়াক নিজ হাতের আঙুুলের মতো মোটা এবং এক বিঘত পরিমাণ লম্বা হওয়া উচিত।
মিসওয়াকের নিয়ম : মিসওয়াক করার সুন্নাত পদ্ধতি হলো মুখের ডান দিক থেকে শুরু করা এবং উপর থেকে নিচে মিসওয়াক করা। দাঁতের ভেতর ও বাইরেসহ জিহ্বার গোড়া পর্যন্ত মিসওয়াক করা।

লেখক :

  • মুফতি মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম

প্রধান ফকিহ, আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা, ফেনী

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

মিসওয়াকের গুরুত্ব

আপডেট সময় ১১:২০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩

দাঁত থেকে হলুদ বর্ণ বা এ জাতীয় ময়লা দূর করার জন্য কাঠ বা গাছের ডাল ব্যবহার করাকে মিসওয়াক বলা হয়। মিসওয়াক করা মহানবী সা:-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। এতে রয়েছে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক অনেক ফায়দা। আল্লামা ইবনে আবেদিন বলেছেন, মিসওয়াকে রয়েছে ৭০টির ঊর্ধ্বে উপকারিতা।

মিসওয়াক করার সময় : মিসওয়াক করার সময় ৯টি- ১. নামাজের সময়; ২. কুরআন তিলাওয়াতের সময়; ৩. অজুুর সময়; ৪. ঘুম থেকে জাগলে ; ৫. ঘুমানোর আগে; ৬. মুখ দুর্গন্ধযুক্ত হলে; ৭. দীর্ঘ সময় কথা বলার পর; ৮. পানাহারের পর ও ৯. দুর্গন্ধযুুক্ত খাদ্য খাওয়ার পর। অজু ও নামাজের সময় মিসওয়াক করা সুন্নাত। অন্যান্য সময় মিসওয়াক করা মুস্তাহাব।
মিসওয়াকের গুরুত্ব : মহানবী সা: থেকে মিসওয়াক প্রসঙ্গে ৪০টি হাদিস বর্ণিত আছে। তিনি বলেছেন, ‘যখনই হজরত জিবরাইল আ: আমার কাছে আসতেন, তখনই আমাকে মিসওয়াকের নির্দেশ দিতেন। এতে আমি আশঙ্কা বোধ করলাম যে, (মিসওয়াক করে) আমি আমার মুখের সামনের দিক ক্ষয় করে দেবো’ (আহমদ-২২২৬৯, মিসকাত-৩৫৫)। আয়েশা রা: বলেন, মহানবী সা: মিসওয়াক করতেন। অতঃপর মিসওয়াকটি ধৌত করার জন্য আমাকে দিতেন। আমি (ধৌত করার আগে) প্রথমে তা দিয়ে নিজে মিসওয়াক করতাম। তারপর তা ধৌত করতাম (আবু দাউদ, মিশকাত-৩৫৩)। হজরত আয়েশা রা: আরো বলেন, মহানবী সা: রাতে বা দিনে যখনই ঘুম থেকে উঠতেন তখনই অজু করার আগে মিসওয়াক করতেন। (আহমদ, আবু দাউদ, মিসকাত-৩৫২) মহানবী সা: বলেছেন, ‘নবী-রাসূলদের সুন্নাত হলো চারটি, যথা- ১. লজ্জা করা, অন্য বর্ণনায় খতনা করা; ২. সুগন্ধি ব্যবহার করা; ৩. মিসওয়াক করা; ৪. বিয়ে করা’ (তিরমিজি, মিসকাত-৩৫১)।

যা দিয়ে মিসওয়াক: তিক্ত, কাঁচা ও নরম গাছের ডাল দিয়ে মিসওয়াক করা উত্তম। মহানবী সা: জাইতুন ও খেজুর গাছের ডাল দিয়ে মিসওয়াক করতেন। পিলু গাছের মিসওয়াক ব্যবহারে মস্তিষ্ক সতেজ হয়। দাঁতের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অভাব পূরণ করে। ব্রাশ ব্যবহারে মুখ পরিষ্কার হয়, দুর্গন্ধ দূর হয় ও সুন্নাত আদায় হয় কিন্তু ডাল ব্যবহারে যে ফায়দা তা পাওয়া যায় না। মিসওয়াক নিজ হাতের আঙুুলের মতো মোটা এবং এক বিঘত পরিমাণ লম্বা হওয়া উচিত।
মিসওয়াকের নিয়ম : মিসওয়াক করার সুন্নাত পদ্ধতি হলো মুখের ডান দিক থেকে শুরু করা এবং উপর থেকে নিচে মিসওয়াক করা। দাঁতের ভেতর ও বাইরেসহ জিহ্বার গোড়া পর্যন্ত মিসওয়াক করা।

লেখক :

  • মুফতি মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম

প্রধান ফকিহ, আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা, ফেনী