ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মুম্বাই হামলায় জড়িত পাকিস্তানিকে ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষণা জাতিসঙ্ঘের

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৮:৫৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৬৮ বার পড়া হয়েছে

মুম্বাইতে ২০০৮ সালের সন্ত্রাসী হামলায় ১৬৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় পাকিস্তানে বন্দি থাকা একজন ভারতবিরোধীকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী ঘোষণা করেছে জাতিসঙ্ঘ।

পাকিস্তানি নাগরিক আবদুল রেহান মক্কিকে সন্ত্রাসী ঘোষণার একদিন পর মঙ্গলবার প্রতিবেশী ভারত স্বাগত জানিয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে ইসলামিক সম্প্রদায় নিজেই সন্ত্রাসের শিকার এবং পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।

নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈয়বা গ্রুপের ৬৮ বছর বয়সী মক্কী একজন সিনিয়র ব্যক্তিত্ব। যে গ্রুপ মূলত কাশ্মীরের বিতর্কিত হিমালয় অঞ্চলে সক্রিয়। তাকে ২০১৯ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং ‘সন্ত্রাসে’ অর্থায়নের অভিযোগে দু’টি পৃথক মামলায় নভেম্বর এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

মক্কিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্মকর্তারা বলেছেন যে তিনি এখনো কোনো ব্যাখ্যা না দিয়ে হেফাজতে রয়েছেন। মামলার সাথে জড়িত একাধিক সরকারি কর্মকর্তার মতে, তাকে তার আপিলের জন্য পাঞ্জাবে আটক রাখা হয়েছে।

আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট চরমপন্থী এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার তত্ত্বাবধানে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ কমিটি কাউন্সিলের ১৫ সদস্যের অনুমোদনের পর মক্কিকে নিষেধাজ্ঞার কালো তালিকায় রাখে।

জাতিসঙ্ঘের মূল্যায়নের আওতায়, মাক্কির সম্পদ জব্দ করা যেতে পারে এবং তিনি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞারও সম্মুখীন হবেন।

মুম্বাই হামলার পরিকল্পনার জন্য অভিযুক্ত জঙ্গি নেতা হাফিজ সাঈদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মক্কি। ৭২ বছর বয়সী সাইদ ৩১ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন এবং ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত করেছিল।

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন মুম্বাই হামলার জন্য মক্কির মতো সাঈদকে কখনো অভিযুক্ত করা হয়নি। তিনি লস্কর-ই-তৈয়বা’র প্রতিষ্ঠাতা, যেটিকে মুম্বাইয়ে হামলার জন্য ভারত দায়ী করেছিল।

চীন মক্কিকে যুক্ত করার ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার পরে সোমবারের জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত এসেছে, যারা ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল।

রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শ্রী অরিন্দম বাগচি মঙ্গলবার মক্কিকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য-সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য, যাচাইযোগ্য এবং অপরিবর্তনীয় পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দিতে থাকবে।’

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালোচ বলেছেন, ‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের শিকার এবং জাতিসঙ্ঘ ও অন্যান্য বহুপক্ষীয় ফোরামসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।’

বেলুচ এক বিবৃতিতে বলেছেন যে ‘পাকিস্তান সবসময় জাতিসঙ্ঘের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ব্যবস্থার অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্তির নিয়ম, পদ্ধতি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়াগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।’

১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তান ও ভারতের তিক্ত সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে তাদের তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দু’টিতে লড়াই করেছে। যেটিতে তারা ওই এলাকাকে উভয়েই তাদের সম্পূর্ণরূপে নিজেদের দাবি করেছে।

সূত্র : ইউএনবি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

মুম্বাই হামলায় জড়িত পাকিস্তানিকে ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষণা জাতিসঙ্ঘের

আপডেট সময় ০৮:৫৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩

মুম্বাইতে ২০০৮ সালের সন্ত্রাসী হামলায় ১৬৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় পাকিস্তানে বন্দি থাকা একজন ভারতবিরোধীকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী ঘোষণা করেছে জাতিসঙ্ঘ।

পাকিস্তানি নাগরিক আবদুল রেহান মক্কিকে সন্ত্রাসী ঘোষণার একদিন পর মঙ্গলবার প্রতিবেশী ভারত স্বাগত জানিয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে ইসলামিক সম্প্রদায় নিজেই সন্ত্রাসের শিকার এবং পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।

নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈয়বা গ্রুপের ৬৮ বছর বয়সী মক্কী একজন সিনিয়র ব্যক্তিত্ব। যে গ্রুপ মূলত কাশ্মীরের বিতর্কিত হিমালয় অঞ্চলে সক্রিয়। তাকে ২০১৯ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং ‘সন্ত্রাসে’ অর্থায়নের অভিযোগে দু’টি পৃথক মামলায় নভেম্বর এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

মক্কিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্মকর্তারা বলেছেন যে তিনি এখনো কোনো ব্যাখ্যা না দিয়ে হেফাজতে রয়েছেন। মামলার সাথে জড়িত একাধিক সরকারি কর্মকর্তার মতে, তাকে তার আপিলের জন্য পাঞ্জাবে আটক রাখা হয়েছে।

আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট চরমপন্থী এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার তত্ত্বাবধানে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ কমিটি কাউন্সিলের ১৫ সদস্যের অনুমোদনের পর মক্কিকে নিষেধাজ্ঞার কালো তালিকায় রাখে।

জাতিসঙ্ঘের মূল্যায়নের আওতায়, মাক্কির সম্পদ জব্দ করা যেতে পারে এবং তিনি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞারও সম্মুখীন হবেন।

মুম্বাই হামলার পরিকল্পনার জন্য অভিযুক্ত জঙ্গি নেতা হাফিজ সাঈদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মক্কি। ৭২ বছর বয়সী সাইদ ৩১ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন এবং ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত করেছিল।

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন মুম্বাই হামলার জন্য মক্কির মতো সাঈদকে কখনো অভিযুক্ত করা হয়নি। তিনি লস্কর-ই-তৈয়বা’র প্রতিষ্ঠাতা, যেটিকে মুম্বাইয়ে হামলার জন্য ভারত দায়ী করেছিল।

চীন মক্কিকে যুক্ত করার ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার পরে সোমবারের জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত এসেছে, যারা ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল।

রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শ্রী অরিন্দম বাগচি মঙ্গলবার মক্কিকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনোনীত হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য-সহনশীলতার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য, যাচাইযোগ্য এবং অপরিবর্তনীয় পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দিতে থাকবে।’

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালোচ বলেছেন, ‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের শিকার এবং জাতিসঙ্ঘ ও অন্যান্য বহুপক্ষীয় ফোরামসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।’

বেলুচ এক বিবৃতিতে বলেছেন যে ‘পাকিস্তান সবসময় জাতিসঙ্ঘের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ব্যবস্থার অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্তির নিয়ম, পদ্ধতি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়াগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।’

১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তান ও ভারতের তিক্ত সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে তাদের তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দু’টিতে লড়াই করেছে। যেটিতে তারা ওই এলাকাকে উভয়েই তাদের সম্পূর্ণরূপে নিজেদের দাবি করেছে।

সূত্র : ইউএনবি