ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

যে কারণে গাছে উঠে বসে ছিল গোয়েন্দা পুলিশ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:৩২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩
  • ১১৫৭ বার পড়া হয়েছে

পুলিশের কাছে তথ্য ছিল আমবাগানে হাতবদল হবে ভারত থেকে আসা ফেনসিডিলের চালন। এমন তথ্যে আগেই আমগাছে উঠে বসে ছিলেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। পরে ওই বাগানে ফেনসিডিলের চালান হাতবদলের সময় গাছ থেকে নেমে হাতেনাতে এক ভারতীয় মাদক ব্যবসায়ীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেন তারা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭৪৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

আজ বুধবার ভোররাতে জেলার বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ভারতের মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানার কাগমারি গ্রামের মৃত নুজবার শেখের ছেলে জামরুল শেখ (৩৪) ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মৃত খামেদ মন্ডলের ছেলে চপল আলী (৩৫)।

রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ জানতে পারে রাতে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে ভারত থেকে ফেনসিডিলের একটি চালান আসবে। বাংলাদেশের মাদক ব্যবসায়ীরা এই চালান বাঘার একটি আম বাগানে গ্রহণ করবে। এ তথ্য পেয়ে ওই বাগানে গিয়ে ডিবি পুলিশের সদস্যরা আমগাছে উঠে অপেক্ষা করতে থাকেন। ভোর রাতে ভারতীয় নাগরিক জামরুল ফেনসিডিলের চালন বাঘার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে হস্তান্তর করছিলেন। এ সময় ডিবি সদস্যরা তাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়লে তিন মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যান। তবে দুজনকে আটক করা সম্ভব হয়।

তিনি আরও জানান, ভারতীয় নাগরিক জামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জামরুল জানিয়েছেন এর আগেও তিনি একাধিকবার এমন ফেনসিডিলের বড় বড় চালান বাংলাদেশে এনেছেন। বর্ষাকালে নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় ফেনসিডিল আনা সুবিধা হয়। তিনি ফেনসিডিলের বস্তা টিউবের সঙ্গে বেঁধে সাঁতরে নদী পাড়ি দেন। এই চালানটিও এভাবে এনেছিলেন।

এসপি আরও জানান, বাংলাদেশি মাদক কারবারি চপল জানান দীর্ঘদিন ধরেই ফেনসিডিলের ব্যবসা করে আসছেন। তিনি বাঘা থানার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে বাঘা থানায় পাঁচটি মাদক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা রয়েছে। নতুন করে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় ভারতীয় নাগরিক জামরুলসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে জামরুলের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

যে কারণে গাছে উঠে বসে ছিল গোয়েন্দা পুলিশ

আপডেট সময় ১০:৩২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩

পুলিশের কাছে তথ্য ছিল আমবাগানে হাতবদল হবে ভারত থেকে আসা ফেনসিডিলের চালন। এমন তথ্যে আগেই আমগাছে উঠে বসে ছিলেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। পরে ওই বাগানে ফেনসিডিলের চালান হাতবদলের সময় গাছ থেকে নেমে হাতেনাতে এক ভারতীয় মাদক ব্যবসায়ীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেন তারা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭৪৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

আজ বুধবার ভোররাতে জেলার বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের একটি আমবাগান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ভারতের মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানার কাগমারি গ্রামের মৃত নুজবার শেখের ছেলে জামরুল শেখ (৩৪) ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মৃত খামেদ মন্ডলের ছেলে চপল আলী (৩৫)।

রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ জানতে পারে রাতে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে ভারত থেকে ফেনসিডিলের একটি চালান আসবে। বাংলাদেশের মাদক ব্যবসায়ীরা এই চালান বাঘার একটি আম বাগানে গ্রহণ করবে। এ তথ্য পেয়ে ওই বাগানে গিয়ে ডিবি পুলিশের সদস্যরা আমগাছে উঠে অপেক্ষা করতে থাকেন। ভোর রাতে ভারতীয় নাগরিক জামরুল ফেনসিডিলের চালন বাঘার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে হস্তান্তর করছিলেন। এ সময় ডিবি সদস্যরা তাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়লে তিন মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যান। তবে দুজনকে আটক করা সম্ভব হয়।

তিনি আরও জানান, ভারতীয় নাগরিক জামরুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জামরুল জানিয়েছেন এর আগেও তিনি একাধিকবার এমন ফেনসিডিলের বড় বড় চালান বাংলাদেশে এনেছেন। বর্ষাকালে নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় ফেনসিডিল আনা সুবিধা হয়। তিনি ফেনসিডিলের বস্তা টিউবের সঙ্গে বেঁধে সাঁতরে নদী পাড়ি দেন। এই চালানটিও এভাবে এনেছিলেন।

এসপি আরও জানান, বাংলাদেশি মাদক কারবারি চপল জানান দীর্ঘদিন ধরেই ফেনসিডিলের ব্যবসা করে আসছেন। তিনি বাঘা থানার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে বাঘা থানায় পাঁচটি মাদক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা রয়েছে। নতুন করে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় ভারতীয় নাগরিক জামরুলসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে জামরুলের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।