ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রমজানের বিশেষত্ব

  • আবদুল আউওয়াল
  • আপডেট সময় ০৯:৫৯:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • ১১৪১ বার পড়া হয়েছে

রমজানুল মোবারক হিজরি বর্ষের নবম মাস। এ মাসের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য অপরিসীম। এ মাসে বৃষ্টির মতো বর্ষিত হয় প্রভুর রহমধারা। মাগফিরাতের বন্যায় ভেসে যায় গুনাহের আবর্জনা। মুক্তি মেলে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে। মু’মিনের জন্য এটি বোনাসের মাস। ফসল তোলার মাস। ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মু’মিন এ মাসে পৌঁছে যায় প্রভুর বিশেষ সান্নিধ্যে। জাগতিক চাহিদা, লোভ-লালসা ও অপরাধের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে ঈমানের দীপ্ত স্বাদ অনুভব করেন বিশেষভাবে। এ মাসের রয়েছে কিছু বিশেষত্ব।

রহমতের মাস : নবীজী সা: বলেন, ‘যখন রমজান মাস আসে তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। আর শয়তানদের শৃঙ্খলিত করা হয়।’ (সহিহ বুখারি : ১৮৯৮) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘…একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকেন, ‘হে কল্যাণকামী, আগে বাড়ো! হে পাপী, এবার থামো! আর আল্লাহ তায়ালা এ মাসের প্রত্যেক রাতে অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দান করেন!’ (জামে তিরমিজি : ৬৮২)

কুরআন নাজিলের মাস : মাহে রমজান দামি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো- এ মাসেই পূর্ণ কুরআন মাজিদ ‘লাওহে মাহফুজ’ থেকে দুনিয়ার আসমানে অবতীর্ণ হয় এবং নবীজী সা:-এর ওপর এ মাসেই (প্রসিদ্ধ মতানুসারে ১৭ রমজান) প্রথম ওহি- সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত নাজিল হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘রমজান মাস এতে নাজিল হয়েছে আল-কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সুপথ প্রাপ্তির সুস্পষ্ট পথনির্দেশ ও হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন অবশ্যই এর রোজা রাখে।’ (সূরা বাকারা : ১৮৫)

সিয়াম-কিয়ামের মাস : রমজান সিয়াম-কিয়ামের মাস। সিয়াম মানে সুবহে সাদিক থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার, যৌনাচার ও যাবতীয় অশালীন কাজ থেকে বিরত থাকা। আর কিয়াম মানে রাতের নফল সালাত। তারাবিহ-তাহাজ্জুদ। সিয়াম ফরজ আর কিয়াম সুন্নাত। সিয়াম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমাদের ওপর রমজানের সিয়াম ফরজ করা হয়েছে; যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পার।’ (সূরা বাকারা : ১৮৩) নবী করিম সা: বলেন, ‘বরকতময় রমজান মাস তোমাদের কাছে এসেছে। আল্লাহ তায়ালা এ মাসের রোজা তোমাদের ওপর ফরজ করেছেন…।’ (সুনানে নাসায়ি : ২৪১৬) সিয়ামের ফজিলত সম্পর্কে নবীজী সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমান হালতে সওয়াবের নিয়তে রমজানের সিয়াম পালন করবে তার আগের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি : ৩৮) কিয়াম বা রাতের নফলের বিষয়ে হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ঈমান হালতে সওয়াবের নিয়তে রমজানের রাতে সালাতে দাঁড়াবে তার আগের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি : ৩৬)

দোয়া কবুল ও মুক্তির মাস : এ মাসের বিশেষ বিশেষ প্রহরে দোয়া যেমন কবুল হয় তেমনি জাহান্নাম থেকেও অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন মুক্তি লাভ করতে থাকে। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘আল্লাহ তায়ালা রমজানের প্রত্যেক দিন ও রাতে অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন ও প্রত্যেক মু’মিন বান্দার একটি করে দোয়া কবুল করেন।’ (মুসনাদে আহমাদ : ৭৪৫০) অপর এক হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহ তায়ালা প্রতিদিন ইফতারের সময়ে অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।’ (মুসনাদে আহমাদ : ২২২০২)

দানের মাস : দান-সদকা এমনিতেই মু’মিনের ভালো আমল, কল্যাণকর বিষয়। কিন্তু রমজানে তার বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘নবীজী সা: ছিলেন মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠদাতা। তাঁর দানের পরিমাণ রমজান মাসে অনেক বেড়ে যেত যখন জিব্রাইল আ: তাঁর সাথে এসে সাক্ষাৎ করতেন।’ (সহিহ মুসলিম : ২৩০৮)

সওয়াব বৃদ্ধির মাস : উম্মতে মুহাম্মাদির আমলের সওয়াব বেশি দেখানো ও তাদের বিশেষ মর্যাদা দিতে আল্লাহ তায়ালা এ মাসকে বিশেষ বোনাস হিসেবে তাদের দান করেছেন। হাদিসে এসেছে, ‘এ মাসে ওমরাহ করলে তা হবে হজের সমান।’ (জামে তিরমিজি : ৯৩৯)

অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, ‘রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করবে তা ফরজের সমান হবে। আর যে একটি ফরজ আদায় করবে তা সত্তরটি ফরজের সমান হবে।’ (শুআবুল ঈমান : ৩/৩০৫-৩০৬)
পাপ মোচনের মাস : এ মাসে মু’মিন তার পাপরাশি মোচন করে পূতপবিত্র হতে পারে। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘… এক রমজান থেকে আরেক রমজান মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহগুলোকে মুছে দেয় যদি সে কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।’ (সহিহ মুসলিম : ২৩৩)

এমন সুযোগ পেয়েও যে ব্যক্তি নিজের পাপগুলো ক্ষমা করাতে পারে না সে বড়ই হতভাগা। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘একবার প্রিয়নবী সা: মিম্বরের প্রথম সিঁড়িতে পা রেখে বললেন, ‘আমিন’! দ্বিতীয় ও তৃতীয় সিঁড়িতে পা রেখেও বললেন, ‘আমিন’! তখন সাহাবায়ে কেরাম অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ সা: আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু বলতে শুনেছি, যা ইতঃপূর্বে কখনো শুনিনি।’ উত্তরে তিনি বললেন, জিব্রাইল আ: আমার কাছে আগমন করেছিলেন, যখন আমি প্রথম সিঁড়িতে পা রাখলাম তখন তিনি বললেন, ‘ধ্বংস হোক ওই ব্যক্তি যে রমজান মাস পেল আর তার গুনাহ ক্ষমা করাতে পারল না। আমি তখন বললাম, ‘আমিন’! (মুসতাদরাকে হাকেম : ৭৩৩৮)

লাইলাতুল কদরের মাস : রমজানের শেষ দশকে আছে মহিমান্বিত রাত ‘লাইলাতুল কদর’। যে রাতে কেউ ইবাদত করলে মিলবে তিরাশি বছর চার মাস অপেক্ষা বেশি দিন ইবাদতের সওয়াব। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিব্রাইল আ:) তাদের পালনকর্তার আদেশক্রমে প্রত্যেক কল্যাণময় বস্তু নিয়ে দুনিয়ায় অবতরণ করেন। যে রাত পুরোটাই শান্তিতে ভরপুর থাকে ফজর হওয়া পর্যন্ত।’ (সূরা কদর : ২-৫)

হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো সে প্রকৃতপক্ষে সব কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো। একমাত্র দুর্ভাগাই এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ : ১৬৪৪)

লেখক : কবি ও কলামিস্ট, তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

রমজানের বিশেষত্ব

আপডেট সময় ০৯:৫৯:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

রমজানুল মোবারক হিজরি বর্ষের নবম মাস। এ মাসের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য অপরিসীম। এ মাসে বৃষ্টির মতো বর্ষিত হয় প্রভুর রহমধারা। মাগফিরাতের বন্যায় ভেসে যায় গুনাহের আবর্জনা। মুক্তি মেলে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে। মু’মিনের জন্য এটি বোনাসের মাস। ফসল তোলার মাস। ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মু’মিন এ মাসে পৌঁছে যায় প্রভুর বিশেষ সান্নিধ্যে। জাগতিক চাহিদা, লোভ-লালসা ও অপরাধের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে ঈমানের দীপ্ত স্বাদ অনুভব করেন বিশেষভাবে। এ মাসের রয়েছে কিছু বিশেষত্ব।

রহমতের মাস : নবীজী সা: বলেন, ‘যখন রমজান মাস আসে তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। আর শয়তানদের শৃঙ্খলিত করা হয়।’ (সহিহ বুখারি : ১৮৯৮) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘…একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকেন, ‘হে কল্যাণকামী, আগে বাড়ো! হে পাপী, এবার থামো! আর আল্লাহ তায়ালা এ মাসের প্রত্যেক রাতে অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দান করেন!’ (জামে তিরমিজি : ৬৮২)

কুরআন নাজিলের মাস : মাহে রমজান দামি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো- এ মাসেই পূর্ণ কুরআন মাজিদ ‘লাওহে মাহফুজ’ থেকে দুনিয়ার আসমানে অবতীর্ণ হয় এবং নবীজী সা:-এর ওপর এ মাসেই (প্রসিদ্ধ মতানুসারে ১৭ রমজান) প্রথম ওহি- সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত নাজিল হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘রমজান মাস এতে নাজিল হয়েছে আল-কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সুপথ প্রাপ্তির সুস্পষ্ট পথনির্দেশ ও হক-বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন অবশ্যই এর রোজা রাখে।’ (সূরা বাকারা : ১৮৫)

সিয়াম-কিয়ামের মাস : রমজান সিয়াম-কিয়ামের মাস। সিয়াম মানে সুবহে সাদিক থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার, যৌনাচার ও যাবতীয় অশালীন কাজ থেকে বিরত থাকা। আর কিয়াম মানে রাতের নফল সালাত। তারাবিহ-তাহাজ্জুদ। সিয়াম ফরজ আর কিয়াম সুন্নাত। সিয়াম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমাদের ওপর রমজানের সিয়াম ফরজ করা হয়েছে; যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পার।’ (সূরা বাকারা : ১৮৩) নবী করিম সা: বলেন, ‘বরকতময় রমজান মাস তোমাদের কাছে এসেছে। আল্লাহ তায়ালা এ মাসের রোজা তোমাদের ওপর ফরজ করেছেন…।’ (সুনানে নাসায়ি : ২৪১৬) সিয়ামের ফজিলত সম্পর্কে নবীজী সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমান হালতে সওয়াবের নিয়তে রমজানের সিয়াম পালন করবে তার আগের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি : ৩৮) কিয়াম বা রাতের নফলের বিষয়ে হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ঈমান হালতে সওয়াবের নিয়তে রমজানের রাতে সালাতে দাঁড়াবে তার আগের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি : ৩৬)

দোয়া কবুল ও মুক্তির মাস : এ মাসের বিশেষ বিশেষ প্রহরে দোয়া যেমন কবুল হয় তেমনি জাহান্নাম থেকেও অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন মুক্তি লাভ করতে থাকে। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘আল্লাহ তায়ালা রমজানের প্রত্যেক দিন ও রাতে অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন ও প্রত্যেক মু’মিন বান্দার একটি করে দোয়া কবুল করেন।’ (মুসনাদে আহমাদ : ৭৪৫০) অপর এক হাদিসে এসেছে, ‘আল্লাহ তায়ালা প্রতিদিন ইফতারের সময়ে অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।’ (মুসনাদে আহমাদ : ২২২০২)

দানের মাস : দান-সদকা এমনিতেই মু’মিনের ভালো আমল, কল্যাণকর বিষয়। কিন্তু রমজানে তার বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘নবীজী সা: ছিলেন মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠদাতা। তাঁর দানের পরিমাণ রমজান মাসে অনেক বেড়ে যেত যখন জিব্রাইল আ: তাঁর সাথে এসে সাক্ষাৎ করতেন।’ (সহিহ মুসলিম : ২৩০৮)

সওয়াব বৃদ্ধির মাস : উম্মতে মুহাম্মাদির আমলের সওয়াব বেশি দেখানো ও তাদের বিশেষ মর্যাদা দিতে আল্লাহ তায়ালা এ মাসকে বিশেষ বোনাস হিসেবে তাদের দান করেছেন। হাদিসে এসেছে, ‘এ মাসে ওমরাহ করলে তা হবে হজের সমান।’ (জামে তিরমিজি : ৯৩৯)

অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, ‘রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করবে তা ফরজের সমান হবে। আর যে একটি ফরজ আদায় করবে তা সত্তরটি ফরজের সমান হবে।’ (শুআবুল ঈমান : ৩/৩০৫-৩০৬)
পাপ মোচনের মাস : এ মাসে মু’মিন তার পাপরাশি মোচন করে পূতপবিত্র হতে পারে। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘… এক রমজান থেকে আরেক রমজান মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহগুলোকে মুছে দেয় যদি সে কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।’ (সহিহ মুসলিম : ২৩৩)

এমন সুযোগ পেয়েও যে ব্যক্তি নিজের পাপগুলো ক্ষমা করাতে পারে না সে বড়ই হতভাগা। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘একবার প্রিয়নবী সা: মিম্বরের প্রথম সিঁড়িতে পা রেখে বললেন, ‘আমিন’! দ্বিতীয় ও তৃতীয় সিঁড়িতে পা রেখেও বললেন, ‘আমিন’! তখন সাহাবায়ে কেরাম অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ সা: আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু বলতে শুনেছি, যা ইতঃপূর্বে কখনো শুনিনি।’ উত্তরে তিনি বললেন, জিব্রাইল আ: আমার কাছে আগমন করেছিলেন, যখন আমি প্রথম সিঁড়িতে পা রাখলাম তখন তিনি বললেন, ‘ধ্বংস হোক ওই ব্যক্তি যে রমজান মাস পেল আর তার গুনাহ ক্ষমা করাতে পারল না। আমি তখন বললাম, ‘আমিন’! (মুসতাদরাকে হাকেম : ৭৩৩৮)

লাইলাতুল কদরের মাস : রমজানের শেষ দশকে আছে মহিমান্বিত রাত ‘লাইলাতুল কদর’। যে রাতে কেউ ইবাদত করলে মিলবে তিরাশি বছর চার মাস অপেক্ষা বেশি দিন ইবাদতের সওয়াব। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিব্রাইল আ:) তাদের পালনকর্তার আদেশক্রমে প্রত্যেক কল্যাণময় বস্তু নিয়ে দুনিয়ায় অবতরণ করেন। যে রাত পুরোটাই শান্তিতে ভরপুর থাকে ফজর হওয়া পর্যন্ত।’ (সূরা কদর : ২-৫)

হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো সে প্রকৃতপক্ষে সব কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো। একমাত্র দুর্ভাগাই এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ : ১৬৪৪)

লেখক : কবি ও কলামিস্ট, তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ