ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রাজধানীতে তীব্র গ্যাস সঙ্কট

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৯:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৭১ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীতে তীব্র গ্যাস সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী। চুলা না জ্বলায় খেয়ে-না খেয়ে থাকতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাগে মিলছে না টিফিন। অনেকে না খেয়েই অফিসের পথ ধরছেন। হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন বেশির ভাগ মানুষ।

রাজধানীতে কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহের পর সূর্যের দেখা মিলেছে। এতে বেড়েছে তাপমাত্রা। কিন্তু সেই তাপমাত্রা গৃহিনীদের মনে উষ্ণতা আনতে পারেনি। কারণ গত কয়েক দিনে বাইরের শীতল পরিবেশের মতো গ্যাসের চুলাতেও যেন শীতলতা চলছে। বর্তমানে সূর্যের তাপে বাইরের শীতলতা কিছুটা কাটলেও গ্যাস সঙ্কট অব্যাহত থাকায় এখনো ঘরের ভেতরের শীতল অবস্থা কাটেনি। গ্যাস সঙ্কটে এখনো চুলায় জ্বলছে না আগুন। ফলে ঘরে ঘরে চলছে হাহাকার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মানিকনগর, মুগদা, বাসাবো, খিলগাঁও, বনশ্রী, রামপুরা, মিরপুর, মহাখালী, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে গ্যাস সঙ্কট চলছে। বাসিন্দারা জানান, সারা দিনই গ্যাসের চাপ থাকে না। রাতে কোথাও কোথাও সামান্য গ্যাসের দেখা মেলে। কিন্তু তাতেও চুলা জ্বালাতে হিমশিম খেতে হয়।

মুগদার বাসিন্দা আহমেদুল কবির জাকির নয়া দিগন্তকে বলেন, এলাকায় সারা দিনই গ্যাস থাকে না। রাত ১১/১২ টার পর গ্যাস আসে। তাও চাপ খুবই কম থাকে। পানি পড়ে। গত এক সপ্তাহ ধরেই এ অবস্থা চলছে। গ্যাস না থাকায় বাড়ির মহিলাদের রাত জেগে রান্না করতে হয়। দিনের বেলা বাচ্চা ও বয়স্কদের খাবার রান্না করা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। হোটেল থেকে খাবার কিনে আনতে হচ্ছে। এলাকার মানুষ মসজিদ-মাদরাসায় খাবার দেয়। তাও দিতে পারছি না। তিনি আরো বলেন, তিতাস কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা বলে জাতীয় সঙ্কট। কিন্তু আমরা দেখি কোনো কোনো জায়গায় গ্যাস ঠিকই আছে। আবার কোনো কোনো এলাকায় গ্যাস নেই। এটা কিভাবে হয়?

বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় গ্যাস সঙ্কট চলছে। আর গ্যাস না থাকায় নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি আমরা। একদিকে শীত অন্যদিকে গ্যাস সঙ্কট আমাদের জীবনকে কঠিন সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। বাইরে থেকে খাবার কিনে আর কত চলা যায়? আর যাদের বাসায় আত্মীয়স্বজন আছে তাদের অবস্থা তো আরো ভয়াবহ।

তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন তিতাস গ্যাসের পরিচালক (অপারেশন) অধ্যাপক মো: সেলিম মিয়া। তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকায় গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে ২/৩ দিন আগের তুলনায় গতকাল মঙ্গলবার গ্যাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে বলে তিনি জানান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

রাজধানীতে তীব্র গ্যাস সঙ্কট

আপডেট সময় ০৯:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

রাজধানীতে তীব্র গ্যাস সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী। চুলা না জ্বলায় খেয়ে-না খেয়ে থাকতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাগে মিলছে না টিফিন। অনেকে না খেয়েই অফিসের পথ ধরছেন। হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন বেশির ভাগ মানুষ।

রাজধানীতে কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহের পর সূর্যের দেখা মিলেছে। এতে বেড়েছে তাপমাত্রা। কিন্তু সেই তাপমাত্রা গৃহিনীদের মনে উষ্ণতা আনতে পারেনি। কারণ গত কয়েক দিনে বাইরের শীতল পরিবেশের মতো গ্যাসের চুলাতেও যেন শীতলতা চলছে। বর্তমানে সূর্যের তাপে বাইরের শীতলতা কিছুটা কাটলেও গ্যাস সঙ্কট অব্যাহত থাকায় এখনো ঘরের ভেতরের শীতল অবস্থা কাটেনি। গ্যাস সঙ্কটে এখনো চুলায় জ্বলছে না আগুন। ফলে ঘরে ঘরে চলছে হাহাকার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মানিকনগর, মুগদা, বাসাবো, খিলগাঁও, বনশ্রী, রামপুরা, মিরপুর, মহাখালী, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে গ্যাস সঙ্কট চলছে। বাসিন্দারা জানান, সারা দিনই গ্যাসের চাপ থাকে না। রাতে কোথাও কোথাও সামান্য গ্যাসের দেখা মেলে। কিন্তু তাতেও চুলা জ্বালাতে হিমশিম খেতে হয়।

মুগদার বাসিন্দা আহমেদুল কবির জাকির নয়া দিগন্তকে বলেন, এলাকায় সারা দিনই গ্যাস থাকে না। রাত ১১/১২ টার পর গ্যাস আসে। তাও চাপ খুবই কম থাকে। পানি পড়ে। গত এক সপ্তাহ ধরেই এ অবস্থা চলছে। গ্যাস না থাকায় বাড়ির মহিলাদের রাত জেগে রান্না করতে হয়। দিনের বেলা বাচ্চা ও বয়স্কদের খাবার রান্না করা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। হোটেল থেকে খাবার কিনে আনতে হচ্ছে। এলাকার মানুষ মসজিদ-মাদরাসায় খাবার দেয়। তাও দিতে পারছি না। তিনি আরো বলেন, তিতাস কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা বলে জাতীয় সঙ্কট। কিন্তু আমরা দেখি কোনো কোনো জায়গায় গ্যাস ঠিকই আছে। আবার কোনো কোনো এলাকায় গ্যাস নেই। এটা কিভাবে হয়?

বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় গ্যাস সঙ্কট চলছে। আর গ্যাস না থাকায় নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি আমরা। একদিকে শীত অন্যদিকে গ্যাস সঙ্কট আমাদের জীবনকে কঠিন সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। বাইরে থেকে খাবার কিনে আর কত চলা যায়? আর যাদের বাসায় আত্মীয়স্বজন আছে তাদের অবস্থা তো আরো ভয়াবহ।

তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন তিতাস গ্যাসের পরিচালক (অপারেশন) অধ্যাপক মো: সেলিম মিয়া। তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকায় গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে ২/৩ দিন আগের তুলনায় গতকাল মঙ্গলবার গ্যাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে বলে তিনি জানান।