ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রাজপথে ছাড় না দেয়ার চিন্তা আ’লীগের

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০১:১৮:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩
  • ১১২৩ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে রাজনীতির মাঠ ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার মিত্রদের দাবিটি দীর্ঘ দিনের। দাবি আদায়ে বর্তমানে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে সরকারবিরোধীরা। তবে বিএনপি ও তার মিত্রদের রাজপথে কোনোভাবেই ছাড় না দেয়ার চিন্তা রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। এ জন্য সরকারি দলও পাল্টা এক দফা ঘোষণা করেছে। ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ শিরোনামে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ক্ষমতাসীনরা রাজধানীর রাজপথে সক্রিয় থাকবে। এ ছাড়াও তৃণমূল পর্যায়ে সতর্ক থাকতে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

দলটির নেতারা মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সরকার বাতিল করেনি, আদালতের রায়ে বাতিল হয়েছে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের যে দাবি নিয়ে রাজপথে এক দফা আন্দোলন করছে, সেটি অযৌক্তিক। ইতোমধ্যে সংশোধিত সংবিধানের আলোকে দশম জাতীয় সংসদ ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটিতে বিএনপি ও তার মিত্ররা অংশ নেয়নি, আরেকটিতে বিএনপি ও তার মিত্ররা অংশ নিয়েও নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য মাঝপথে বর্জন করেছে। আগামী নির্বাচনও সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি নেবে না, এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। প্রথমত, বিএনপির কোনো অযৌক্তিক দাবি আওয়ামী লীগ এবং সরকার মানবে না। দ্বিতীয়ত, আন্দোলন-সংগ্রাম করা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতেই পারে। তবে অযৌক্তিক কোনো দাবি নিয়ে আন্দোলনের নামে রাজপথ গরম করলে তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।

গতকাল রাজধানীর সেতুভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যে কোন পথে যাচ্ছে তা পরিষ্কার। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, তাদের যা করার তাই করবে। একটা দেশে এক দল সন্ত্রাস করবে, অফিস ভাঙবে, পুলিশকে মারতে যাবে, যেখানে সেখানে মারামারি করতে যাবে- সেখানে কি সরকার চুপ করে বসে থাকবে?

এ দিকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গতকাল সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যে তো এটি স্পষ্ট যে, উনারা সহিংসতা করতে চায়, সহিংসতা শুরু করেছে। সহিংসতা শুরু করলে সরকার বসে থাকবে না। যারা সহিংসতা করবে, দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে এবং একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলও জনগণকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকবে।

দলটির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে সরকারবিরোধী আন্দোলন করে রাজনীতির মাঠ দখলের সুযোগ দেবে না আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ গত ১০ ডিসেম্বরও বিএনপি রাজধানীতে সমাবেশের মাধ্যমে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলতে চেয়েছিল। সরকারের কাছে এমনও তথ্য ছিল ওইদিন সরকার পতনের ডাক দিয়ে রাজপথে বসে পড়বে বিএনপি ও তার মিত্ররা। এ জন্য সারা দেশ থেকে বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের কয়েকদিন আগে থেকেই জড়ো করেছিল। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে আগেভাগেই সরকার সতর্ক হয়ে গিয়েছিল এবং শেষমেশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকায় তাদের আন্দোলন দমন করতে সরকার সফল হয়েছিল। এবারও একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার ও দলের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তৃণমূল পর্যায়েও সেভাবেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অবশ্য আন্দোলনের নামে কেউ বা কোনো দল যদি সহিংসতা করে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে। পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতা হিসেবে নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থান নিয়ে তাদের এলাকায় অবস্থান করবেন।

সূত্র আরো বলছে, সরকারবিরোধী রাজপথের যেকোনো কর্মসূচি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সেভাবেই নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এক দিকে রাজপথে যেকোনো সহিংসতা মোকাবেলায় কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে সক্রিয় থাকবে। আন্দোলনের নামে কেউ সহিংসতা তৈরির চেষ্ট করলে তা কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। ইতোমধ্যে বিএনপির আন্দোলনের বিপরীতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ রাজধানীতে বড় ধরনের দু’টি সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করে শক্তির মহড়া দেয়া হয়েছে। সারা দেশেও ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ শিরোনামে নেতাকর্মীদের সভা-সমাবেশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়েও নেতাকর্মীরা সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে। এরই মাধ্যমে বিএনপিকে একটি বার্তা দেয়া হয়েছে তাহলো- সংবিধান থেকে আওয়ামী লীগ এবং সরকার একচুলও নড়বে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগ নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম নয়া দিগন্তকে বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে, সাধারণ মানুষের শান্তি বিনষ্ট করলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে। তিনি আরো বলেন, দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে এগুলো প্রতিহত করা সরকারি দল হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব। আওয়ামী লীগ সেই দায়িত্ব পালন করবে। বিএনপি আন্দোলনের নামে অতীতের মতো পেট্রল বোমা মেরে ও অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে তাদের সে সুযোগ দেয়া হবে না। কারণ রাজপথ কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। তারা যেখানেই আগুন সন্ত্রাস চালাবে, নৈরাজ্য কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, আমি মনে করি, আন্দোলন দেয়ার দরকার তাই বিএনপি দিচ্ছে। নির্বাচনের আগে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখা দরকার তাই আন্দোলনের ধোয়া তুলছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির সাথে দেশের জনগণ আছে। শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। তিনি বলেন, জনগণ বিএনপির ডাকে অতীতেও সাড়া দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না। তার পরও বিএনপি সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের নামে কোনো বিশৃঙ্খলা করলে, সহিংসতা করলে জনগণকে সাথে নিয়েই তা প্রতিহত করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

রাজপথে ছাড় না দেয়ার চিন্তা আ’লীগের

আপডেট সময় ০১:১৮:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩

জাতীয় নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে রাজনীতির মাঠ ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার মিত্রদের দাবিটি দীর্ঘ দিনের। দাবি আদায়ে বর্তমানে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে সরকারবিরোধীরা। তবে বিএনপি ও তার মিত্রদের রাজপথে কোনোভাবেই ছাড় না দেয়ার চিন্তা রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। এ জন্য সরকারি দলও পাল্টা এক দফা ঘোষণা করেছে। ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ শিরোনামে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ক্ষমতাসীনরা রাজধানীর রাজপথে সক্রিয় থাকবে। এ ছাড়াও তৃণমূল পর্যায়ে সতর্ক থাকতে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

দলটির নেতারা মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সরকার বাতিল করেনি, আদালতের রায়ে বাতিল হয়েছে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের যে দাবি নিয়ে রাজপথে এক দফা আন্দোলন করছে, সেটি অযৌক্তিক। ইতোমধ্যে সংশোধিত সংবিধানের আলোকে দশম জাতীয় সংসদ ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটিতে বিএনপি ও তার মিত্ররা অংশ নেয়নি, আরেকটিতে বিএনপি ও তার মিত্ররা অংশ নিয়েও নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য মাঝপথে বর্জন করেছে। আগামী নির্বাচনও সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি নেবে না, এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। প্রথমত, বিএনপির কোনো অযৌক্তিক দাবি আওয়ামী লীগ এবং সরকার মানবে না। দ্বিতীয়ত, আন্দোলন-সংগ্রাম করা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতেই পারে। তবে অযৌক্তিক কোনো দাবি নিয়ে আন্দোলনের নামে রাজপথ গরম করলে তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।

গতকাল রাজধানীর সেতুভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যে কোন পথে যাচ্ছে তা পরিষ্কার। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, তাদের যা করার তাই করবে। একটা দেশে এক দল সন্ত্রাস করবে, অফিস ভাঙবে, পুলিশকে মারতে যাবে, যেখানে সেখানে মারামারি করতে যাবে- সেখানে কি সরকার চুপ করে বসে থাকবে?

এ দিকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গতকাল সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যে তো এটি স্পষ্ট যে, উনারা সহিংসতা করতে চায়, সহিংসতা শুরু করেছে। সহিংসতা শুরু করলে সরকার বসে থাকবে না। যারা সহিংসতা করবে, দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে এবং একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলও জনগণকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকবে।

দলটির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে সরকারবিরোধী আন্দোলন করে রাজনীতির মাঠ দখলের সুযোগ দেবে না আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ গত ১০ ডিসেম্বরও বিএনপি রাজধানীতে সমাবেশের মাধ্যমে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলতে চেয়েছিল। সরকারের কাছে এমনও তথ্য ছিল ওইদিন সরকার পতনের ডাক দিয়ে রাজপথে বসে পড়বে বিএনপি ও তার মিত্ররা। এ জন্য সারা দেশ থেকে বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের কয়েকদিন আগে থেকেই জড়ো করেছিল। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে আগেভাগেই সরকার সতর্ক হয়ে গিয়েছিল এবং শেষমেশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকায় তাদের আন্দোলন দমন করতে সরকার সফল হয়েছিল। এবারও একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার ও দলের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তৃণমূল পর্যায়েও সেভাবেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অবশ্য আন্দোলনের নামে কেউ বা কোনো দল যদি সহিংসতা করে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে। পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতা হিসেবে নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থান নিয়ে তাদের এলাকায় অবস্থান করবেন।

সূত্র আরো বলছে, সরকারবিরোধী রাজপথের যেকোনো কর্মসূচি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সেভাবেই নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এক দিকে রাজপথে যেকোনো সহিংসতা মোকাবেলায় কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে সক্রিয় থাকবে। আন্দোলনের নামে কেউ সহিংসতা তৈরির চেষ্ট করলে তা কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। ইতোমধ্যে বিএনপির আন্দোলনের বিপরীতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ রাজধানীতে বড় ধরনের দু’টি সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করে শক্তির মহড়া দেয়া হয়েছে। সারা দেশেও ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ শিরোনামে নেতাকর্মীদের সভা-সমাবেশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়েও নেতাকর্মীরা সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে। এরই মাধ্যমে বিএনপিকে একটি বার্তা দেয়া হয়েছে তাহলো- সংবিধান থেকে আওয়ামী লীগ এবং সরকার একচুলও নড়বে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগ নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম নয়া দিগন্তকে বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে, সাধারণ মানুষের শান্তি বিনষ্ট করলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে। তিনি আরো বলেন, দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে এগুলো প্রতিহত করা সরকারি দল হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব। আওয়ামী লীগ সেই দায়িত্ব পালন করবে। বিএনপি আন্দোলনের নামে অতীতের মতো পেট্রল বোমা মেরে ও অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে তাদের সে সুযোগ দেয়া হবে না। কারণ রাজপথ কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। তারা যেখানেই আগুন সন্ত্রাস চালাবে, নৈরাজ্য কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, আমি মনে করি, আন্দোলন দেয়ার দরকার তাই বিএনপি দিচ্ছে। নির্বাচনের আগে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখা দরকার তাই আন্দোলনের ধোয়া তুলছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির সাথে দেশের জনগণ আছে। শেখ হাসিনার প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। তিনি বলেন, জনগণ বিএনপির ডাকে অতীতেও সাড়া দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না। তার পরও বিএনপি সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের নামে কোনো বিশৃঙ্খলা করলে, সহিংসতা করলে জনগণকে সাথে নিয়েই তা প্রতিহত করা হবে।