ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিসকা’ আদায়

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৫:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩
  • ১১৪১ বার পড়া হয়েছে

চলতি (এপ্রিল) মাসের শুরু থেকেই রাজশাহীতে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। মৃদু তাপপ্রবাহ এখন অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। এতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রায় বিপর্যন্ত রাজশাহীর জনজীবন। একদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও অন্যদিকে প্রখর রোদ। এতে মানুষসহ প্রাণীকুলের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। ঘরে-বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। বিশেষ করে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বৃষ্টির জন্য চারদিকে হাহাকার পড়ে গেছে। দুঃসহ এই তাপদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে ‘সালাতুল ইসতিসকা’ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর তেরখাদিয়ায় শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে এই সালাতুল ইসতিসকার আয়োজন করা হয়।

জাতীয় ইমাম সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার এই বিশেষ নামাজে ইমামতি করেন সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন হামিদী। এতে নগরীর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেন।

নামাজ শেষে ইমাম আফজাল হোসেন হামিদী বলেন, ‘আমাদের কোনো ব্যক্তিগত কারণ না। এখানে বৃষ্টির জন্যই নামাজ আদায় করা হয়েছে। আল্লাহর কাছে আমরা ক্ষমা চেয়ে এই নামাজ পড়েছি। পাশাপাশি নামাজ শেষে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির জন্য দোয়া করেছি।’

তিনি আরো বলেন, নামাজ শেষে পুরো দেশ, বিশেষ করে রাজশাহী বিভাগ ও জেলাতে বৃষ্টির জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হয়েছে। বৃষ্টি না হলে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) ও পরবর্তীতে আবারো সালাতুল ইসতিসকা আদায় করা হতে পারে বলেও জানান আফজাল হোসেন হামিদী।

৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে রাজশাহী : দিনে কাটফাঁটা রোদের সাথে ভ্যাপসা গরম অনুভূতি থাকছে সারারাত। ফজরের নামাজের আগের ঘণ্টাখানেক কিছুটা স্বস্তি থাকলেও কাঁকডাকা ভোরেই দেখা মিলছে সূর্যের। এরপর আবারো কড়া রোদের ঝলসানি। বর্তমানে এমনই চিত্র রাজশাহীতে।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে দিন সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিগত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে। যা ২০১৪ সালের ২১ মে এর পর সর্বোচ্চ তাপদাহ।

তাপপ্রবাহ সাধারণত ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকেই শুরু হয়। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। এছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে উঠলেই তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। ফলে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে রাজশাহী।

ঊর্ধ্বমুখী এই তাপমাত্রায় বিপর্যন্ত রাজশাহীর জনজীবন। একদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, অন্যদিকে প্রখর রোদ। এতে মানুষসহ প্রাণীকুলের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারণে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া খুবই কষ্টকর। ঘরে-বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। বিশেষ করে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তবে ২০ এপ্রিলের পর বৃষ্টির আভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। আর বৃষ্টি হলেই কিছুটা স্বস্তি ফিরবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিসকা’ আদায়

আপডেট সময় ০৫:৫৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৩

চলতি (এপ্রিল) মাসের শুরু থেকেই রাজশাহীতে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। মৃদু তাপপ্রবাহ এখন অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। এতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রায় বিপর্যন্ত রাজশাহীর জনজীবন। একদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও অন্যদিকে প্রখর রোদ। এতে মানুষসহ প্রাণীকুলের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। ঘরে-বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। বিশেষ করে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বৃষ্টির জন্য চারদিকে হাহাকার পড়ে গেছে। দুঃসহ এই তাপদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে ‘সালাতুল ইসতিসকা’ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর তেরখাদিয়ায় শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে এই সালাতুল ইসতিসকার আয়োজন করা হয়।

জাতীয় ইমাম সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বৃষ্টির জন্য প্রার্থনার এই বিশেষ নামাজে ইমামতি করেন সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন হামিদী। এতে নগরীর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেন।

নামাজ শেষে ইমাম আফজাল হোসেন হামিদী বলেন, ‘আমাদের কোনো ব্যক্তিগত কারণ না। এখানে বৃষ্টির জন্যই নামাজ আদায় করা হয়েছে। আল্লাহর কাছে আমরা ক্ষমা চেয়ে এই নামাজ পড়েছি। পাশাপাশি নামাজ শেষে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির জন্য দোয়া করেছি।’

তিনি আরো বলেন, নামাজ শেষে পুরো দেশ, বিশেষ করে রাজশাহী বিভাগ ও জেলাতে বৃষ্টির জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হয়েছে। বৃষ্টি না হলে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) ও পরবর্তীতে আবারো সালাতুল ইসতিসকা আদায় করা হতে পারে বলেও জানান আফজাল হোসেন হামিদী।

৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে রাজশাহী : দিনে কাটফাঁটা রোদের সাথে ভ্যাপসা গরম অনুভূতি থাকছে সারারাত। ফজরের নামাজের আগের ঘণ্টাখানেক কিছুটা স্বস্তি থাকলেও কাঁকডাকা ভোরেই দেখা মিলছে সূর্যের। এরপর আবারো কড়া রোদের ঝলসানি। বর্তমানে এমনই চিত্র রাজশাহীতে।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে দিন সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিগত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে। যা ২০১৪ সালের ২১ মে এর পর সর্বোচ্চ তাপদাহ।

তাপপ্রবাহ সাধারণত ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকেই শুরু হয়। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। এছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে উঠলেই তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। ফলে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে রাজশাহী।

ঊর্ধ্বমুখী এই তাপমাত্রায় বিপর্যন্ত রাজশাহীর জনজীবন। একদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, অন্যদিকে প্রখর রোদ। এতে মানুষসহ প্রাণীকুলের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারণে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া খুবই কষ্টকর। ঘরে-বাইরে কোথাও মিলছে না স্বস্তি। বিশেষ করে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তবে ২০ এপ্রিলের পর বৃষ্টির আভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। আর বৃষ্টি হলেই কিছুটা স্বস্তি ফিরবে।