ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রাষ্ট্রের ৫ খাতে সংস্কার চায় বিএনপিও

  • মঈন উদ্দিন খান
  • আপডেট সময় ১০:৪৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪
  • ১০৯৩ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংস্কার চায় বিএনপিও। দলটি মনে করছে, আওয়ামী লীগ সরকার বিনাভোটে ৪ দফায় ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের এসব প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে ফেলেছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের আগে এসব সেক্টরে গ্রহণযোগ্য সংস্কার আনতে হবে। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে দলটি অন্তর্বর্তী সরকারকে সবধরনের সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত রয়েছে। সরকার যদি কোনো পরামর্শ কিংবা আলোচনার ডাক দেয় তাতেও সাড়া দেবে তারা।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিনদিন পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরপর ১২ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করে বিএনপি। সেখানে নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে সময় দেয় দলটি। কারণ বিএনপি মনে করে, একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে কিছুটা সময় লাগবে। এমন অবস্থায় নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে রাষ্ট্র কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। গত রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকায় বিদেশী বিভিন্ন মিশনের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এমন একটি সময়ে এসে দেশের দায়িত্ব নিয়েছি, যখন প্রায় সব ক্ষেত্রেই চরম বিশৃঙ্খলা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের এই উদ্যোগকে খুব ইতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. ইউনুস যে খাতগুলোতে সংস্কারের কথা বলেছেন, তা অত্যন্ত ইতিবাচক। তিনি জনআকাক্সক্ষার যথার্থ প্রতিফল করেছেন।

দলটি মনে করে, বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে উত্তোরণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। কারণ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫-১৬ বছরে পুরো প্রশাসন দলীয়করণের পাশাপাশি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আগামীতে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এগুলো প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে প্রস্তুত করতে হবে। সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের মতো তারাও পাঁচ সেক্টরে প্রয়োজনীয় সংস্কার চায়।

রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে গত বছরের জুলাইয়ে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছিল বিএনপি। দলটি তখন জানিয়েছিল, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার হটানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি ‘জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐকমত্যের সরকার’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। ওই সরকারই রাষ্ট্র রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে। দফাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, একটি ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করে সব বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনগুলো পর্যালোচনাপূর্বক তা রহিত কিংবা সংশোধন করা হবে। সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।

সব মত ও পথের সমন্বয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক ‘রেইনবো নেশন’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা হবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুসমন্বয় করা হবে। পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে ‘উচ্চ-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন করা হবে। প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রশাসন সংস্কার ও পুনঃগঠন করা হবে। আইসিটি অ্যাক্ট-২০০৬, সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ এর প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট-১৯৭৪, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালাকানুন বাতিল করা হবে।

বিএনপি মনে করে, বিচার বিভাগ পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছে। দেশে আজকে যে সঙ্কট তার মূলে রয়েছে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা। আগামী দিনগুলোতে পাঁচ বছর পরপর কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিক মতৈক্য দরকার। নির্বাচন কমিশনকেও (ইসি) ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। ইসি কিভাবে গঠিত হবে, সে ব্যাপারেও প্রয়োজন রাজনৈতিক মতৈক্য। বিএনপির প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তী সরকার এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার উদ্যোগ নিবে এবং একটি ফর্মুলা বের করবে, যেটাকে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার আইনি রূপ দিবে।

বিএনপি মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে যে মনোযোগ দিয়েছে, জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার সাথে মিল রেখে সেটা সহজে, চমৎকারভাবে করতে পারবে এবং এ কাজে সফল হবে। যেটা নানান চাপের কারণে রাজনৈতিক সরকারের পক্ষে অনেক সময় করা সম্ভব নাও হতে পারে। সে কারণে রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের প্রতিটি উদ্যোগের সাথে তারা থাকবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

রাষ্ট্রের ৫ খাতে সংস্কার চায় বিএনপিও

আপডেট সময় ১০:৪৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংস্কার চায় বিএনপিও। দলটি মনে করছে, আওয়ামী লীগ সরকার বিনাভোটে ৪ দফায় ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের এসব প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে ফেলেছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের আগে এসব সেক্টরে গ্রহণযোগ্য সংস্কার আনতে হবে। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে দলটি অন্তর্বর্তী সরকারকে সবধরনের সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত রয়েছে। সরকার যদি কোনো পরামর্শ কিংবা আলোচনার ডাক দেয় তাতেও সাড়া দেবে তারা।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিনদিন পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরপর ১২ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করে বিএনপি। সেখানে নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে সময় দেয় দলটি। কারণ বিএনপি মনে করে, একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে কিছুটা সময় লাগবে। এমন অবস্থায় নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে রাষ্ট্র কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। গত রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকায় বিদেশী বিভিন্ন মিশনের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এমন একটি সময়ে এসে দেশের দায়িত্ব নিয়েছি, যখন প্রায় সব ক্ষেত্রেই চরম বিশৃঙ্খলা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের এই উদ্যোগকে খুব ইতিবাচকভাবে দেখছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. ইউনুস যে খাতগুলোতে সংস্কারের কথা বলেছেন, তা অত্যন্ত ইতিবাচক। তিনি জনআকাক্সক্ষার যথার্থ প্রতিফল করেছেন।

দলটি মনে করে, বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে উত্তোরণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। কারণ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫-১৬ বছরে পুরো প্রশাসন দলীয়করণের পাশাপাশি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আগামীতে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এগুলো প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে প্রস্তুত করতে হবে। সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের মতো তারাও পাঁচ সেক্টরে প্রয়োজনীয় সংস্কার চায়।

রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে গত বছরের জুলাইয়ে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছিল বিএনপি। দলটি তখন জানিয়েছিল, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার হটানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি ‘জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐকমত্যের সরকার’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। ওই সরকারই রাষ্ট্র রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে। দফাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, একটি ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করে সব বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনগুলো পর্যালোচনাপূর্বক তা রহিত কিংবা সংশোধন করা হবে। সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।

সব মত ও পথের সমন্বয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক ‘রেইনবো নেশন’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা হবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুসমন্বয় করা হবে। পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে ‘উচ্চ-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন করা হবে। প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রশাসন সংস্কার ও পুনঃগঠন করা হবে। আইসিটি অ্যাক্ট-২০০৬, সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ এর প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট-১৯৭৪, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালাকানুন বাতিল করা হবে।

বিএনপি মনে করে, বিচার বিভাগ পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছে। দেশে আজকে যে সঙ্কট তার মূলে রয়েছে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা। আগামী দিনগুলোতে পাঁচ বছর পরপর কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিক মতৈক্য দরকার। নির্বাচন কমিশনকেও (ইসি) ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। ইসি কিভাবে গঠিত হবে, সে ব্যাপারেও প্রয়োজন রাজনৈতিক মতৈক্য। বিএনপির প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তী সরকার এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার উদ্যোগ নিবে এবং একটি ফর্মুলা বের করবে, যেটাকে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার আইনি রূপ দিবে।

বিএনপি মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে যে মনোযোগ দিয়েছে, জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার সাথে মিল রেখে সেটা সহজে, চমৎকারভাবে করতে পারবে এবং এ কাজে সফল হবে। যেটা নানান চাপের কারণে রাজনৈতিক সরকারের পক্ষে অনেক সময় করা সম্ভব নাও হতে পারে। সে কারণে রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের প্রতিটি উদ্যোগের সাথে তারা থাকবে।