ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রেনুর দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৮:৫১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৫৭ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন সুরতহালের সাক্ষী কনস্টেবল এলি আক্তার। আজ মঙ্গলবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদের আদালতে ৫ জন সাক্ষ্য দেন।

অপর সাক্ষীরা হলেন- পুলিশ কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম ও মসিউর রহমান, মামুন এবং ইমাদুল ইসলাম। তাদের সাক্ষ্য শেষে আদালত আগামি ২০ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এলি আক্তার বলেন, ‘বাড্ডা থানায় কর্মরত থাকাকালে শুনতে পাই বাড্ডা উত্তর-পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে ছেলে ধরা সন্দেহে এক মহিলাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। উপপরিদর্শক গোলাম মোস্তফার সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। সেখানে শালীনতা বজায় রেখে মৃত ব্যক্তির দেহের সুরতহাল করি। এ সময় রেনুর শরীরের আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং রক্ত ঝরছিল।

এই নিয়ে মামলাটিতে ১২ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি আবুল কাশেম। সাক্ষ্য গ্রহণকালে ১৩ আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। গত ১ এপ্রিল ১৩ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন একই আদালত।

আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন। জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানদের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইজনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

রেনুর দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল

আপডেট সময় ০৮:৫১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেনুর দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন সুরতহালের সাক্ষী কনস্টেবল এলি আক্তার। আজ মঙ্গলবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদের আদালতে ৫ জন সাক্ষ্য দেন।

অপর সাক্ষীরা হলেন- পুলিশ কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম ও মসিউর রহমান, মামুন এবং ইমাদুল ইসলাম। তাদের সাক্ষ্য শেষে আদালত আগামি ২০ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এলি আক্তার বলেন, ‘বাড্ডা থানায় কর্মরত থাকাকালে শুনতে পাই বাড্ডা উত্তর-পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে ছেলে ধরা সন্দেহে এক মহিলাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। উপপরিদর্শক গোলাম মোস্তফার সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। সেখানে শালীনতা বজায় রেখে মৃত ব্যক্তির দেহের সুরতহাল করি। এ সময় রেনুর শরীরের আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং রক্ত ঝরছিল।

এই নিয়ে মামলাটিতে ১২ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি আবুল কাশেম। সাক্ষ্য গ্রহণকালে ১৩ আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। গত ১ এপ্রিল ১৩ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন একই আদালত।

আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন। জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানদের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইজনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন।