ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চায় ঢাকা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
  • ১১২২ বার পড়া হয়েছে

জাতিসংঘ, আসিয়ান এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর কাছে পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্পকে সমর্থন করার এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসিত হতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত মিয়ানমারবিষয়ক নিরাপত্তা পরিষদের আররিয়া-ফর্মুলা বৈঠকে বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান। গত শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যুক্তরাজ্যের আহ্বানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সাম্প্রতিক সংলাপের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত নিরাপত্তা পরিষদকে জানান, উভয় পক্ষ একটি পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার অধীনে একদল যাচাইকৃত মিয়ানমারের নাগরিক প্রথম ব্যাচে তাদের দেশে ফিরে যাবে। প্রত্যাবাসন অব্যাহত থাকবে এবং পর্যায়ক্রমে অতিরিক্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা হবে। তিনি আরও জানান, গত ৫ মে মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা দেখতে ২০ জন রোহিঙ্গার একটি দল রাখাইন রাজ্যে গিয়েছিল।

পাইলট প্রকল্পটিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় পরিবারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। রাষ্ট্রদূত মুহিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সজাগ থাকার আহ্বান জানান, যাতে পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবর্তনকারীরা আরও নিপীড়নের সম্মুখীন না হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘রাখাইনে কনফিডেন্স বিল্ডিং পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মানবিক ও উন্নয়ন অংশীদারদের উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য এবং এ লক্ষ্যে আমরা আঞ্চলিক সদস্য দেশগুলোকেও রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে সহায়তা করার আহ্বান জানাই।’ এ বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য এবং আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রগুলো অংশগ্রহণ করে।

সভায় উপস্থিত সদস্যরা ঘূর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের বর্তমান মানবিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। তারা মিয়ানমারের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আসিয়ানের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। তারা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং রাখাইনের অবস্থার উন্নতির জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চায় ঢাকা

আপডেট সময় ১১:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

জাতিসংঘ, আসিয়ান এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর কাছে পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্পকে সমর্থন করার এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসিত হতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত মিয়ানমারবিষয়ক নিরাপত্তা পরিষদের আররিয়া-ফর্মুলা বৈঠকে বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান। গত শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যুক্তরাজ্যের আহ্বানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সাম্প্রতিক সংলাপের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত নিরাপত্তা পরিষদকে জানান, উভয় পক্ষ একটি পাইলট প্রত্যাবাসন প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার অধীনে একদল যাচাইকৃত মিয়ানমারের নাগরিক প্রথম ব্যাচে তাদের দেশে ফিরে যাবে। প্রত্যাবাসন অব্যাহত থাকবে এবং পর্যায়ক্রমে অতিরিক্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা হবে। তিনি আরও জানান, গত ৫ মে মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা দেখতে ২০ জন রোহিঙ্গার একটি দল রাখাইন রাজ্যে গিয়েছিল।

পাইলট প্রকল্পটিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় পরিবারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। রাষ্ট্রদূত মুহিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সজাগ থাকার আহ্বান জানান, যাতে পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রত্যাবর্তনকারীরা আরও নিপীড়নের সম্মুখীন না হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘রাখাইনে কনফিডেন্স বিল্ডিং পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মানবিক ও উন্নয়ন অংশীদারদের উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য এবং এ লক্ষ্যে আমরা আঞ্চলিক সদস্য দেশগুলোকেও রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে সহায়তা করার আহ্বান জানাই।’ এ বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য এবং আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রগুলো অংশগ্রহণ করে।

সভায় উপস্থিত সদস্যরা ঘূর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের বর্তমান মানবিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। তারা মিয়ানমারের বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আসিয়ানের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন। তারা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং রাখাইনের অবস্থার উন্নতির জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।