ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

শীতে কাঁপছে দেশ, তাপমাত্রা আরো কমার আশঙ্কা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১১১১ বার পড়া হয়েছে

ঘন কুয়াশায় মুড়িয়ে আছে চারদিক। তাপমাত্রা কমতে থাকায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে, কাঁপছে দেশ। উত্তরাঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত। পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন সাত দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। আর কুড়িগ্রামে তামপমাত্রা নেমেছে ১০ দশমিক পাঁচে। আভাস রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের। আর গাইবান্ধায় তাপমাত্রা ১২ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ বুধবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। দিনে কুয়াশা কমে রোদের দেখা পাওয়া গেলেও সন্ধ্যার পর শীত আরো বাড়তে পারে। উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এদিকে দেশের বেশিরভাগ এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা কমে ও কুয়াশা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি হিমেল বাতাস বইতে শুরু করেছে। এতে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌপথে চলাচলে দূরের জিনিস কম দেখা যাচ্ছে। এতে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। উড়োজাহাজ চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুর ইসলাম বলেন, দেশের শীতলতম মাস জানুয়ারি। শীতকালে এই মাসে তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে। দেশের উত্তরাঞ্চলে আজ বুধবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার থেকে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে কুয়াশার কারণে বিকেল থেকে পরের দিন ভোর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে।

উত্তরাঞ্চলে শীত বাড়ায় অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বয়স্ক ও শিশুদের অবস্থা বেশি খারাপ। পেটের দায়ে অনেক শ্রমজীবী মানুষ কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যেই কাজে বের হচ্ছেন। প্রভাব পড়েছে জীববৈচিত্র্যেও। অনেকে গবাদি পশুকে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রাসেল শাহ বলেন, বুধবার সকাল ৯টায় চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন সাত দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সর্বনিম্ন ছয় থেকে আট এর মধ্যে থাকলে এবং তা কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা স্থায়ী হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তবে সকাল ৮টার মধ্যে সূর্যের দেখা মিলেছে। মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রাও কমে রেকর্ড করা হয় ১৭ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে তাপমাত্রা আরো কমতে থাকবে। শৈত্যপ্রবাহ কবে নাগাদ হতে পারে তা দুপুরের মধ্যে জানানো যাবে।

রংপুর আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিদিনই গাইবান্ধা জেলার তাপমাত্রা কমে আসছে। কয়েকদিন থেকে গাইবান্ধা জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

শীতে কাঁপছে দেশ, তাপমাত্রা আরো কমার আশঙ্কা

আপডেট সময় ১১:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

ঘন কুয়াশায় মুড়িয়ে আছে চারদিক। তাপমাত্রা কমতে থাকায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে, কাঁপছে দেশ। উত্তরাঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত। পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন সাত দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। আর কুড়িগ্রামে তামপমাত্রা নেমেছে ১০ দশমিক পাঁচে। আভাস রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের। আর গাইবান্ধায় তাপমাত্রা ১২ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ বুধবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। দিনে কুয়াশা কমে রোদের দেখা পাওয়া গেলেও সন্ধ্যার পর শীত আরো বাড়তে পারে। উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এদিকে দেশের বেশিরভাগ এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা কমে ও কুয়াশা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি হিমেল বাতাস বইতে শুরু করেছে। এতে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌপথে চলাচলে দূরের জিনিস কম দেখা যাচ্ছে। এতে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। উড়োজাহাজ চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুর ইসলাম বলেন, দেশের শীতলতম মাস জানুয়ারি। শীতকালে এই মাসে তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে। দেশের উত্তরাঞ্চলে আজ বুধবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার থেকে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে কুয়াশার কারণে বিকেল থেকে পরের দিন ভোর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে।

উত্তরাঞ্চলে শীত বাড়ায় অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বয়স্ক ও শিশুদের অবস্থা বেশি খারাপ। পেটের দায়ে অনেক শ্রমজীবী মানুষ কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যেই কাজে বের হচ্ছেন। প্রভাব পড়েছে জীববৈচিত্র্যেও। অনেকে গবাদি পশুকে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রাসেল শাহ বলেন, বুধবার সকাল ৯টায় চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন সাত দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সর্বনিম্ন ছয় থেকে আট এর মধ্যে থাকলে এবং তা কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা স্থায়ী হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তবে সকাল ৮টার মধ্যে সূর্যের দেখা মিলেছে। মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রাও কমে রেকর্ড করা হয় ১৭ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে তাপমাত্রা আরো কমতে থাকবে। শৈত্যপ্রবাহ কবে নাগাদ হতে পারে তা দুপুরের মধ্যে জানানো যাবে।

রংপুর আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিদিনই গাইবান্ধা জেলার তাপমাত্রা কমে আসছে। কয়েকদিন থেকে গাইবান্ধা জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে।