ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সিলেটে রোডমার্চে বাধা দিলে যে পরিকল্পনা বিএনপির

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১২০০ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির রোডমার্চ আজ বৃহস্পতিবার সিলেট অভিমুখে রওনা হবে। রোডমার্চকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সিলেট বিএনপি ছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ। তারা গত এক সপ্তাহ ধরে মিছিল-সমাবেশ করছে। ঘন ঘন রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসছেন দায়িত্বশীল নেতারা।

বিএনপির দায়িত্বশীল এক কেন্দ্রীয় নেতা যুগান্তরকে জানান, অনুমতি নিয়ে আন্দোলন করা, বাধা দিয়ে আন্দোলন দমানো এসব এখন অনেকটা অতীত। মাঠ-মাটি না পেলে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে মঞ্চ করব, সমাবেশ করব। তার পরও কর্মসূচি পালন করবই।

অনুরূপ আভাস দিয়েছেন সিলেটের একাধিক শীর্ষ দায়িত্বশীল নেতাও।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, রোডমার্চে আগত নেতাকর্মীদের স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত। নগরজুড়ে দুদিন ধরে মাইকিং চলছে। সমাবেশে জনতার ঢল নামবে। তবে পুলিশ প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে না বলে জানান তিনি।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ব্যাপক প্রচারণা হচ্ছে। বিএনপির ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতিমূলক বৈঠক, গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, মাইকিংসহ প্রচারণামূলক নানা কর্মসূচি পালন করছেন।

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন গতকাল সন্ধ্যায় জানান, আমরা পুলিশের কাছে লিখিত দিয়েছি। প্রচারণা ও মাঠের সমাবেশের ব্যাপারে। প্রচারণায় যেহেতু কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না সমাবেশেও বাধা আসবে বলে মনে হয় না। আর সমাবেশে এখন আগের মতো তেমন বাধা দেওয়া হয় না।

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী গতরাত যুগান্তরকে বলেন, রোডমার্চকে স্বাগত জানাতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। রাতেই আলিয়া মাঠ পরিদর্শনে যাব। সকালে মঞ্চ তৈরি শুরু হবে। এতে কোনো বাধা এলে বিকল্প মঞ্চের ব্যবস্থা করব।

বিএনপি পরিবারের এসব বড় ইভেন্টে অভিভাবকের মতো সব কিছু মনিটরিং করে থাকেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক মো. আবদুর রাজ্জাক। এবারও তাই করছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। তিনি বলেন, রোডমার্চ-সমাবেশ সবই হবে। বাধা আসলে বিকল্পব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাঠের মঞ্চ ট্রাকে উঠবে এটুকুই।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ, বিপিএম (বার), পিপিএম গতরাত যুগান্তরকে বলেন, কোনো বিশৃঙ্খলা না হলে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ বাধা দেয় না।  আর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবারই আছে।

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার হয়ে সিলেট পৌঁছাবে বিএনপির এ রোডমার্চ। রোডমার্চ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর। রোডমার্চ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ে, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারের শেরপুরে সমাবেশ হবে। এ ছাড়া সর্বশেষ সমাবেশ হবে সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে। জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশ বিকাল ৪টায় শুরু করার কথা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

সিলেটে রোডমার্চে বাধা দিলে যে পরিকল্পনা বিএনপির

আপডেট সময় ১১:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিএনপির রোডমার্চ আজ বৃহস্পতিবার সিলেট অভিমুখে রওনা হবে। রোডমার্চকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সিলেট বিএনপি ছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ। তারা গত এক সপ্তাহ ধরে মিছিল-সমাবেশ করছে। ঘন ঘন রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসছেন দায়িত্বশীল নেতারা।

বিএনপির দায়িত্বশীল এক কেন্দ্রীয় নেতা যুগান্তরকে জানান, অনুমতি নিয়ে আন্দোলন করা, বাধা দিয়ে আন্দোলন দমানো এসব এখন অনেকটা অতীত। মাঠ-মাটি না পেলে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে মঞ্চ করব, সমাবেশ করব। তার পরও কর্মসূচি পালন করবই।

অনুরূপ আভাস দিয়েছেন সিলেটের একাধিক শীর্ষ দায়িত্বশীল নেতাও।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, রোডমার্চে আগত নেতাকর্মীদের স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত। নগরজুড়ে দুদিন ধরে মাইকিং চলছে। সমাবেশে জনতার ঢল নামবে। তবে পুলিশ প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে না বলে জানান তিনি।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ব্যাপক প্রচারণা হচ্ছে। বিএনপির ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতিমূলক বৈঠক, গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ, মাইকিংসহ প্রচারণামূলক নানা কর্মসূচি পালন করছেন।

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন গতকাল সন্ধ্যায় জানান, আমরা পুলিশের কাছে লিখিত দিয়েছি। প্রচারণা ও মাঠের সমাবেশের ব্যাপারে। প্রচারণায় যেহেতু কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না সমাবেশেও বাধা আসবে বলে মনে হয় না। আর সমাবেশে এখন আগের মতো তেমন বাধা দেওয়া হয় না।

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী গতরাত যুগান্তরকে বলেন, রোডমার্চকে স্বাগত জানাতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। রাতেই আলিয়া মাঠ পরিদর্শনে যাব। সকালে মঞ্চ তৈরি শুরু হবে। এতে কোনো বাধা এলে বিকল্প মঞ্চের ব্যবস্থা করব।

বিএনপি পরিবারের এসব বড় ইভেন্টে অভিভাবকের মতো সব কিছু মনিটরিং করে থাকেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক মো. আবদুর রাজ্জাক। এবারও তাই করছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। তিনি বলেন, রোডমার্চ-সমাবেশ সবই হবে। বাধা আসলে বিকল্পব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাঠের মঞ্চ ট্রাকে উঠবে এটুকুই।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ, বিপিএম (বার), পিপিএম গতরাত যুগান্তরকে বলেন, কোনো বিশৃঙ্খলা না হলে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ বাধা দেয় না।  আর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবারই আছে।

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার হয়ে সিলেট পৌঁছাবে বিএনপির এ রোডমার্চ। রোডমার্চ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর। রোডমার্চ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ে, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারের শেরপুরে সমাবেশ হবে। এ ছাড়া সর্বশেষ সমাবেশ হবে সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে। জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশ বিকাল ৪টায় শুরু করার কথা।