ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সেতুতে সড়কের পরিবর্তে সিঁড়ি, চলতে পারে না যানবাহন!

সড়ক থেকে প্রায় ১৫ ফুট উঁচু হওয়ায় সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নে তারাবুনিয়া খালের উপরে নির্মিত সেতুতে চলাচলের জন্য সংযোগ সড়কের পরিবর্তে সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে।

সড়ক থেকে প্রায় ১৫ ফুট উঁচু হওয়ায় সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এখন ১৫ ফুট উঁচু সিঁড়ি দিয়ে লোকজন প্রতিদিন ওঠানামা করে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, যানবাহন চলাচল না করায় এই সেতু তেমন কাজে লাগছে না। সেতু পারাপার হতে মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

বিশেষ করে বৃদ্ধ-শিশুরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই তারাবুনিয়া খালের উপর একটি সেতু নির্মাণের। কিন্তু সেই সেতু নির্মাণ হলেও দুর্ভোগ কমেনি।

সংযোগ সড়কের বদলে উঁচু সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ-ভোগান্তি বেড়েছে। সেতু হলেও এর ওপর দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিতেও পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।

সরকারের এত অর্থ ব্যয় করে সেতু হলেও তা উপকারে আসেনি বরং দুর্ভোগের কারণ হয়েছে। কয়েক বছর হলো সেতু নির্মাণ শেষ হলেও দুই পাশের সংযোগ সড়কের অভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না পাঁচ কোটি টাকার সেতু।

পুরনো সেতু ভেঙ্গেছে অনেক বছর আগে। সেই সেতু ভাঙ্গনের পরে নৌকা ছিল পারাপারের একমাত্র সম্বল। নতুন সেতু নির্মাণের পরেও ভোগান্তি দূর হবার কথা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন।

দুই পাশের সংযোগ সড়কের অভাবে হয়নি সাধারণ মানুষের ভোগান্তির সমাধান। নতুন সেতু ব্যবহার করতে দুই পাশে কাঠের সিঁড়ি তৈরি করেছে সাধারণ মানুষ।

যা নিয়ে এখন সাধারণ মানুষকে আরো বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সাধারণ মানুষের দাবি, এত টাকা খরচ করে সেতু নির্মাণ করে যদি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় তাহলে এই সেতু নির্মাণের কোন প্রয়োজন ছিল না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নে তারাবুনিয়া খালের উপরে যে পুরনো সেতুটি ছিল সেটি কয়েকবছর আগে ভেঙে পড়েছে।

নতুন সেতু তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানে চলাচলের একমাত্র সম্বল ছিল নৌকা। নতুন সেতু হওয়ার পরে নৌকায় পারাপারের সমস্যা সমাধানের আশা ছিল কিন্তু নতুন সেতু নির্মাণের পরে করা হয়নি দুইপাশের সংযোগ সড়ক।

যার ফলে এত টাকায় নির্মিত সেতু নিয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষকে আবারও নতুন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এছাড়াও সেতু নির্মাণের আগে ঠিকাদারের জনসাধারণ চলাচলের জন্য বিকল্প সেতু নির্মাণ করার কথা থাকলেও সেখানেও মানা হয়নি কোন নিয়ম নীতি। জন গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি বানারিপাড়া,স্বরূপকাঠি হয়ে পিরোজপুর এর সাথে সংযোগ হয়েছে।

বানুরিপাড়া,বাইশসাড়ি,ইলুহার,সুটিয়াকাঠি,সোহাগদল,বলদিয়া,সারেংকাঠি,দইহাড়ি ইউনিয়নের হাজার হাজার সাধারন মানুষ ও এসব ইউনিয়নের হাজার হাজার স্কুল কলেজের ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সেতুটিতে যানবাহন না চালায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

উপজেলা এলজিইডি সূত্র জনকণ্ঠকে জানান, জগন্নাথকাঠী-বৈঠাকাটা জিসি সড়কে আই.বি.আর.বি প্রকল্পের আওতায় ৪৬ মিটার লম্বা আরসিসি গার্ডার ব্রীজ যৌথ উদ্যোগে নির্মান করে মেসার্স এম এম বিল্ডার্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ার্স নামের ২টি প্রতিষ্ঠান।

৫ কোটি ৬২ লক্ষ ২২ হাজার ৭০ টাকা প্রাক্কলিত ব্যায়ে ও ৪ কোটি ৮৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ০৬৬ টাকার চুক্তিমূল্যে সেতুটি নির্মিত হয়েছে।

যার কাজ শুরু হয়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী ২৭ এবং সমাপ্তির কথা ছিল ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী। কিন্তু ২ পাশের সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহন ঝামেলায় এখনো সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।

স্থানীয় অটোরিকশাচালক আব্দুল বারেক বলেন, আমরা পুরনো সেতু ভেঙে যাওয়ার পরে নৌকায় পারাপার করতাম। এখানে নৌকা না থাকলে পারাপার সবার জন্য অন্যতম ভোগান্তির কারণ ছিল।

নতুন সেতু করে দুই পাশে সংযোগ সড়ক করেনি। আমরা নিজেরাই সেতু পারাপারের জন্য কাঠের সেতু বানিয়ে নিয়েছি।

সেতু সংলগ্ন বাড়ি ঘরের লোকজন বলেন, কবে যে এই সিঁড়ি সমস্যার সমাধান হবে আমাদের জানায়নি কর্তৃপক্ষ। সেতুর নির্মাণ কাজ শুরুর দিকে ঠিকাদারের লোকজন আমাদের বলেছে সেতুটি বেশি উচু হবে না।

এখনতো দেখি ১৫ ফুট উচু হয়েছে সড়ক থেকে। সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে গেল যে জমি দরকার তা আমাদের বাড়ি ঘর ও কবরস্থান এর উপর দিয়ে যাবে।

আমরা কি বাড়ি ঘর বিক্রি করে সড়ক বানাতে দেবো। তাহলে এমন সেতু আমাদের কি দরকার ছিল। যাহাতে আমরা কোনো সমস্যায় না পরি সেই ব্যবস্থা করবেন কর্তৃপক্ষ এমনটাই আশা আমাদের।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, ব্রিজের কাজ তো অনেক আগেই শেষ হয়েছে। দুই পাশে যাদের জমিতে সংযোগ সড়ক পড়েছে তারা জায়গা দিচ্ছে না। তবে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব, যাতে তাঁরা দ্রুত সময় কাঠের সিড়ির মতো এই মরণ ফাঁদ খুলে বিষয়টির সমাধান করেন।

নেছারাবাদ উপজেলা প্রকৌশলী শেখ তৌফিক আজিজ বলেন, কাঠের সিঁড়ি আমরা করিনি, এ বিষয়ে আমি জানিনা। তবে জমি সংক্রান্ত একটি সমস্যার কারণে দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজ আটকে আছে।

 

আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানেন এবং তারা এসে দেখে গেছেন। রিভাইস পাঠানো হয়েছে। তাদের সাথে কথা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

সেতুতে সড়কের পরিবর্তে সিঁড়ি, চলতে পারে না যানবাহন!

আপডেট সময় ১১:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

সড়ক থেকে প্রায় ১৫ ফুট উঁচু হওয়ায় সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নে তারাবুনিয়া খালের উপরে নির্মিত সেতুতে চলাচলের জন্য সংযোগ সড়কের পরিবর্তে সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে।

সড়ক থেকে প্রায় ১৫ ফুট উঁচু হওয়ায় সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এখন ১৫ ফুট উঁচু সিঁড়ি দিয়ে লোকজন প্রতিদিন ওঠানামা করে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, যানবাহন চলাচল না করায় এই সেতু তেমন কাজে লাগছে না। সেতু পারাপার হতে মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

বিশেষ করে বৃদ্ধ-শিশুরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই তারাবুনিয়া খালের উপর একটি সেতু নির্মাণের। কিন্তু সেই সেতু নির্মাণ হলেও দুর্ভোগ কমেনি।

সংযোগ সড়কের বদলে উঁচু সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ-ভোগান্তি বেড়েছে। সেতু হলেও এর ওপর দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিতেও পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।

সরকারের এত অর্থ ব্যয় করে সেতু হলেও তা উপকারে আসেনি বরং দুর্ভোগের কারণ হয়েছে। কয়েক বছর হলো সেতু নির্মাণ শেষ হলেও দুই পাশের সংযোগ সড়কের অভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না পাঁচ কোটি টাকার সেতু।

পুরনো সেতু ভেঙ্গেছে অনেক বছর আগে। সেই সেতু ভাঙ্গনের পরে নৌকা ছিল পারাপারের একমাত্র সম্বল। নতুন সেতু নির্মাণের পরেও ভোগান্তি দূর হবার কথা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন।

দুই পাশের সংযোগ সড়কের অভাবে হয়নি সাধারণ মানুষের ভোগান্তির সমাধান। নতুন সেতু ব্যবহার করতে দুই পাশে কাঠের সিঁড়ি তৈরি করেছে সাধারণ মানুষ।

যা নিয়ে এখন সাধারণ মানুষকে আরো বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সাধারণ মানুষের দাবি, এত টাকা খরচ করে সেতু নির্মাণ করে যদি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় তাহলে এই সেতু নির্মাণের কোন প্রয়োজন ছিল না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নে তারাবুনিয়া খালের উপরে যে পুরনো সেতুটি ছিল সেটি কয়েকবছর আগে ভেঙে পড়েছে।

নতুন সেতু তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানে চলাচলের একমাত্র সম্বল ছিল নৌকা। নতুন সেতু হওয়ার পরে নৌকায় পারাপারের সমস্যা সমাধানের আশা ছিল কিন্তু নতুন সেতু নির্মাণের পরে করা হয়নি দুইপাশের সংযোগ সড়ক।

যার ফলে এত টাকায় নির্মিত সেতু নিয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষকে আবারও নতুন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এছাড়াও সেতু নির্মাণের আগে ঠিকাদারের জনসাধারণ চলাচলের জন্য বিকল্প সেতু নির্মাণ করার কথা থাকলেও সেখানেও মানা হয়নি কোন নিয়ম নীতি। জন গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি বানারিপাড়া,স্বরূপকাঠি হয়ে পিরোজপুর এর সাথে সংযোগ হয়েছে।

বানুরিপাড়া,বাইশসাড়ি,ইলুহার,সুটিয়াকাঠি,সোহাগদল,বলদিয়া,সারেংকাঠি,দইহাড়ি ইউনিয়নের হাজার হাজার সাধারন মানুষ ও এসব ইউনিয়নের হাজার হাজার স্কুল কলেজের ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সেতুটিতে যানবাহন না চালায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

উপজেলা এলজিইডি সূত্র জনকণ্ঠকে জানান, জগন্নাথকাঠী-বৈঠাকাটা জিসি সড়কে আই.বি.আর.বি প্রকল্পের আওতায় ৪৬ মিটার লম্বা আরসিসি গার্ডার ব্রীজ যৌথ উদ্যোগে নির্মান করে মেসার্স এম এম বিল্ডার্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ার্স নামের ২টি প্রতিষ্ঠান।

৫ কোটি ৬২ লক্ষ ২২ হাজার ৭০ টাকা প্রাক্কলিত ব্যায়ে ও ৪ কোটি ৮৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ০৬৬ টাকার চুক্তিমূল্যে সেতুটি নির্মিত হয়েছে।

যার কাজ শুরু হয়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী ২৭ এবং সমাপ্তির কথা ছিল ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী। কিন্তু ২ পাশের সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহন ঝামেলায় এখনো সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।

স্থানীয় অটোরিকশাচালক আব্দুল বারেক বলেন, আমরা পুরনো সেতু ভেঙে যাওয়ার পরে নৌকায় পারাপার করতাম। এখানে নৌকা না থাকলে পারাপার সবার জন্য অন্যতম ভোগান্তির কারণ ছিল।

নতুন সেতু করে দুই পাশে সংযোগ সড়ক করেনি। আমরা নিজেরাই সেতু পারাপারের জন্য কাঠের সেতু বানিয়ে নিয়েছি।

সেতু সংলগ্ন বাড়ি ঘরের লোকজন বলেন, কবে যে এই সিঁড়ি সমস্যার সমাধান হবে আমাদের জানায়নি কর্তৃপক্ষ। সেতুর নির্মাণ কাজ শুরুর দিকে ঠিকাদারের লোকজন আমাদের বলেছে সেতুটি বেশি উচু হবে না।

এখনতো দেখি ১৫ ফুট উচু হয়েছে সড়ক থেকে। সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে গেল যে জমি দরকার তা আমাদের বাড়ি ঘর ও কবরস্থান এর উপর দিয়ে যাবে।

আমরা কি বাড়ি ঘর বিক্রি করে সড়ক বানাতে দেবো। তাহলে এমন সেতু আমাদের কি দরকার ছিল। যাহাতে আমরা কোনো সমস্যায় না পরি সেই ব্যবস্থা করবেন কর্তৃপক্ষ এমনটাই আশা আমাদের।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, ব্রিজের কাজ তো অনেক আগেই শেষ হয়েছে। দুই পাশে যাদের জমিতে সংযোগ সড়ক পড়েছে তারা জায়গা দিচ্ছে না। তবে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব, যাতে তাঁরা দ্রুত সময় কাঠের সিড়ির মতো এই মরণ ফাঁদ খুলে বিষয়টির সমাধান করেন।

নেছারাবাদ উপজেলা প্রকৌশলী শেখ তৌফিক আজিজ বলেন, কাঠের সিঁড়ি আমরা করিনি, এ বিষয়ে আমি জানিনা। তবে জমি সংক্রান্ত একটি সমস্যার কারণে দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজ আটকে আছে।

 

আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানেন এবং তারা এসে দেখে গেছেন। রিভাইস পাঠানো হয়েছে। তাদের সাথে কথা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।