ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

স্থগিত থাকছে ঢাবির ছাত্রীদের মুখ-কান খোলা রাখার নির্দেশ

সব ধরনের পরীক্ষা ও পরীক্ষা-সংক্রান্ত কাজে ছাত্রীদের মুখ ও কান বাধ্যতামূলক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেননি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

রোববার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২২ মে দিন ধার্য করেছেন।

আদালতে ঢাবির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন এবং আইনজীবী ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ।

ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন জানান, সব ধরনের পরীক্ষা ও পরীক্ষা-সংক্রান্ত কাজে ছাত্রীদের মুখ ও কান বাধ্যতামূলক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে ঢাবি বাংলা বিভাগের নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আজ (রোববার) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ না দিয়ে ২২ মে ঢাবির আবেদনটি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন।

তিনি বলেন, এই আদেশের ফলে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশই বহাল রইল।

গত ২৮ মার্চ সব ধরনের পরীক্ষা ও পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে ছাত্রীদের মুখ ও কান বাধ্যতামূলক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে ঢাবি বাংলা বিভাগের নোটিশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সাথে ঢাবির ওই বিজ্ঞপ্তিটি কেন অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা ও পরীক্ষা-সংক্রান্ত কাজে ছাত্রীদের মুখ ও কান বাধ্যতামূলক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মো: ফয়জুল্লাহ ফয়েজ এ রিট দায়ের করেন।

আইনজীবী মো: ফয়জুল্লাহ ফয়েজ বলেন, ‘কান ও মুখ খোলা রাখতে হবে’- এটা যারা পর্দা করে তাদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী। এ বিষয়ে গত ১১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেয়া হয়। জবাব না পেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১১ ডিসেম্বর নির্দেশনা সংবলিত একটি বিজ্ঞপ্তি বাংলা বিভাগের সব শিক্ষার্থীর উদ্দেশে বিভাগের নোটিশ বোর্ডে দেয়া হয়। নোটিশে বলা হয়, ‘গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/ প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।’

নোটিশে আরো বলা হয়, ‘ওই সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কোনো কোনো শিক্ষার্থী ওই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে অ্যাকাডেমিক কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

স্থগিত থাকছে ঢাবির ছাত্রীদের মুখ-কান খোলা রাখার নির্দেশ

আপডেট সময় ১০:৪৩:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

সব ধরনের পরীক্ষা ও পরীক্ষা-সংক্রান্ত কাজে ছাত্রীদের মুখ ও কান বাধ্যতামূলক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেননি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

রোববার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২২ মে দিন ধার্য করেছেন।

আদালতে ঢাবির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন এবং আইনজীবী ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ।

ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন জানান, সব ধরনের পরীক্ষা ও পরীক্ষা-সংক্রান্ত কাজে ছাত্রীদের মুখ ও কান বাধ্যতামূলক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে ঢাবি বাংলা বিভাগের নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আজ (রোববার) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ না দিয়ে ২২ মে ঢাবির আবেদনটি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন।

তিনি বলেন, এই আদেশের ফলে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশই বহাল রইল।

গত ২৮ মার্চ সব ধরনের পরীক্ষা ও পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে ছাত্রীদের মুখ ও কান বাধ্যতামূলক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে ঢাবি বাংলা বিভাগের নোটিশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সাথে ঢাবির ওই বিজ্ঞপ্তিটি কেন অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা ও পরীক্ষা-সংক্রান্ত কাজে ছাত্রীদের মুখ ও কান বাধ্যতামূলক খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী মো: ফয়জুল্লাহ ফয়েজ এ রিট দায়ের করেন।

আইনজীবী মো: ফয়জুল্লাহ ফয়েজ বলেন, ‘কান ও মুখ খোলা রাখতে হবে’- এটা যারা পর্দা করে তাদের জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থী। এ বিষয়ে গত ১১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেয়া হয়। জবাব না পেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১১ ডিসেম্বর নির্দেশনা সংবলিত একটি বিজ্ঞপ্তি বাংলা বিভাগের সব শিক্ষার্থীর উদ্দেশে বিভাগের নোটিশ বোর্ডে দেয়া হয়। নোটিশে বলা হয়, ‘গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/ প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।’

নোটিশে আরো বলা হয়, ‘ওই সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কোনো কোনো শিক্ষার্থী ওই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে অ্যাকাডেমিক কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’