ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

‘স্বকীয়তা’ হারিয়ে ঝোঁক এখন প্রশাসন ক্যাডারে

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:২৯:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৭১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) ২৬ ধরনের ক্যাডার রয়েছে। একেক ধরনের ক্যাডারের কর্মপরিধি, পদ কিংবা দপ্তর আলাদা। তবে নানা বৈষম্যের কারণে কয়েক ধরনের ক্যাডার ‘স্বকীয়তা’ হারিয়েছে। এখন তারা ‘প্রশাসন’ ক্যাডারে একীভূত হতে চায়। অন্য ক্যাডার থেকে প্রশাসন ক্যাডারে একীভূত করার বিষয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর একটি পর্যালোচনাসভাও হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, ‘বাণিজ্য, তথ্য (সাধারণ বেতার) এবং সমবায় ক্যাডার প্রশাসন ক্যাডারে একীভূত হতে আগ্রহী। বিষয়টি নিয়ে আমরা (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) কাজ করছি। একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এক ক্যাডারের সঙ্গে অন্য ক্যাডার একীভূত করতে হয়। এটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। প্রয়োজনের নিরিখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

advertisement

বিসিএসে আগে ২৭টি ক্যাডার ছিল। এখন আছে ২৬টি। পাঁচ বছর আগে ‘ইকোনমিক’ ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারে একীভূত করা হয়।

advertisement 4

জনপ্রশাসনের ওই সভা সূত্রে জানা গেছে, ইকোনমিক ক্যাডারের মতোই বাণিজ্য ক্যাডারকে একীভূত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে প্রধান করে শিগগিরই একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির কার্যপরিধি ঠিক করে দেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, পদায়নসহ সার্বিক বিষয়ের করণীয় ঠিক করা হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আইন অনুযায়ী সাধারণ ক্যাডারের কর্মকর্তারা উভয়ে একমত হলে যে কোনো সময় তারা একীভূত হতে পারেন। টেকনিক্যাল ক্যাডারের কর্মকর্তারা সাধারণ ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত হতে পারবেন না। এ ছাড়া ক্যাডার একীভূত করার বিষয় পুরোপুরি সরকারপ্রধানের ওপর নির্ভর করে। সরকারপ্রধান অনুমোদন দিলে একীভূত হতে কোনো সমস্যা নেই। সভায় শুধু বাণিজ্য ক্যাডার একীভূত করার বিষয়ে পর্যালোচনা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং প্রশাসন ও বাণিজ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন নতুন পদ সৃষ্টি না হওয়া, পদ বিলুপ্তি, পদোন্নতি বঞ্চনাসহ নানা বৈষম্যের কারণে বাণিজ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা প্রশাসনে একীভূত হতে আবেদন করেন।

এ বিষয়ে বাণিজ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা আমাদের সময়কে জানান, দেশ এবং দেশের বাইরে ব্যবসা-বাণিজ্যে যখন প্রতিযোগিতা ও চ্যালেঞ্জ বাড়ছে, তখন বাণিজ্যসংক্রান্ত বিশেষায়িত ক্যাডার ক্রমে সংকুচিত হচ্ছে। বাণিজ্য ক্যাডারের সদস্য এখন মাত্র ২১। ১৯৯৪ সালে এ ক্যাডারে পদ ছিল ১১৬টি। বাণিজ্য ক্যাডারের পদগুলোতে এখন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হলে বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে। ফলে এখনই দক্ষ জনবল তৈরি করা জরুরি। এ জন্য বাণিজ্য ক্যাডারকে শক্তিশালী করাতে বিদ্যমান আইন, নীতিমালা, বিধি, পরিপত্র ও আদেশ সংশোধন করে সময়োপযোগী করা প্রয়োজন। কিন্তু তা যেহেতু হচ্ছে না, সে জন্য বাণিজ্য ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করাই ভালো।

বাণিজ্য ক্যাডারের মতো তথ্য (সাধারণ বেতার) ও সমবায় ক্যাডারের কর্মকর্তারাও প্রশাসনের সঙ্গে একীভূত হতে চান।

বিসিএস তথ্য (সাধারণ বেতার) কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির একজন জানান, ‘দুই বছর আগে একীভূত হওয়ার জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএসএ) নেতাদের অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো অগ্রগতি নেই।’

বিসিএস সমবায় অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত হওয়ার জন্য তারা দুবছর আগে চিঠি দিয়েছেন। সমবায় ক্যাডারের পদ আপগ্রেডেশনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বৈঠক করেছিল। তারও আর অগ্রগতি নেই। সমবায় ক্যাডারের পদ ছিল ১৯৬টি। এর মধ্যে ৭৭টি পদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন মাত্র ১১৯টি পদ আছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপসচিব থেকে ওপরের পদগুলোতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রাধান্য বেশি। তথ্য, বাণিজ্য, সমবায়সহ অনেকগুলো ক্যাডারে কর্মকর্তার সংখ্যা অনেক কম। তারা সময়মতো পদোন্নতি পান না। একই প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়ার পরও তারা মন্ত্রণালয়ে কাজের সুযোগ পান না। ফলে অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রশাসনের সঙ্গে একীভূত হলে দেরিতে হলেও তারা উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব হতে পারবেন। ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তারা একীভূত হয়ে পদোন্নতি পাওয়ার ফলে অন্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে আগ্রহ বেড়ে গেছে।

২৬টি ক্যাডারের মধ্যে ১৪টি সাধারণ ও ১২টি পেশাগত/কারিগরি। সাধারণ ক্যাডারের মধ্যে রয়েছে- প্রশাসন, আনসার, নিরীক্ষা ও হিসাব, সমবায়, শুল্ক ও আবগারি, পরিবার পরিকল্পনা, খাদ্য, পররাষ্ট্র, তথ্য, পুলিশ, ডাক, রেলওয়ে পরিবহন, কর ও বাণিজ্য। পেশাগত/কারিগরির মধ্যে রয়েছে- সড়ক ও জনপথ, গণপূর্ত, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, বন, স্বাস্থ্য, রেলওয়ে প্রকৌশল, পশুসম্পদ, মৎস্য, পরিসংখ্যান, কারিগরি শিক্ষা, কৃষি ও সাধারণ শিক্ষা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

‘স্বকীয়তা’ হারিয়ে ঝোঁক এখন প্রশাসন ক্যাডারে

আপডেট সময় ১০:২৯:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) ২৬ ধরনের ক্যাডার রয়েছে। একেক ধরনের ক্যাডারের কর্মপরিধি, পদ কিংবা দপ্তর আলাদা। তবে নানা বৈষম্যের কারণে কয়েক ধরনের ক্যাডার ‘স্বকীয়তা’ হারিয়েছে। এখন তারা ‘প্রশাসন’ ক্যাডারে একীভূত হতে চায়। অন্য ক্যাডার থেকে প্রশাসন ক্যাডারে একীভূত করার বিষয়ে গত ২৯ ডিসেম্বর একটি পর্যালোচনাসভাও হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, ‘বাণিজ্য, তথ্য (সাধারণ বেতার) এবং সমবায় ক্যাডার প্রশাসন ক্যাডারে একীভূত হতে আগ্রহী। বিষয়টি নিয়ে আমরা (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) কাজ করছি। একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এক ক্যাডারের সঙ্গে অন্য ক্যাডার একীভূত করতে হয়। এটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। প্রয়োজনের নিরিখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

advertisement

বিসিএসে আগে ২৭টি ক্যাডার ছিল। এখন আছে ২৬টি। পাঁচ বছর আগে ‘ইকোনমিক’ ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারে একীভূত করা হয়।

advertisement 4

জনপ্রশাসনের ওই সভা সূত্রে জানা গেছে, ইকোনমিক ক্যাডারের মতোই বাণিজ্য ক্যাডারকে একীভূত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে প্রধান করে শিগগিরই একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির কার্যপরিধি ঠিক করে দেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, পদায়নসহ সার্বিক বিষয়ের করণীয় ঠিক করা হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আইন অনুযায়ী সাধারণ ক্যাডারের কর্মকর্তারা উভয়ে একমত হলে যে কোনো সময় তারা একীভূত হতে পারেন। টেকনিক্যাল ক্যাডারের কর্মকর্তারা সাধারণ ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত হতে পারবেন না। এ ছাড়া ক্যাডার একীভূত করার বিষয় পুরোপুরি সরকারপ্রধানের ওপর নির্ভর করে। সরকারপ্রধান অনুমোদন দিলে একীভূত হতে কোনো সমস্যা নেই। সভায় শুধু বাণিজ্য ক্যাডার একীভূত করার বিষয়ে পর্যালোচনা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং প্রশাসন ও বাণিজ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘদিন নতুন পদ সৃষ্টি না হওয়া, পদ বিলুপ্তি, পদোন্নতি বঞ্চনাসহ নানা বৈষম্যের কারণে বাণিজ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা প্রশাসনে একীভূত হতে আবেদন করেন।

এ বিষয়ে বাণিজ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা আমাদের সময়কে জানান, দেশ এবং দেশের বাইরে ব্যবসা-বাণিজ্যে যখন প্রতিযোগিতা ও চ্যালেঞ্জ বাড়ছে, তখন বাণিজ্যসংক্রান্ত বিশেষায়িত ক্যাডার ক্রমে সংকুচিত হচ্ছে। বাণিজ্য ক্যাডারের সদস্য এখন মাত্র ২১। ১৯৯৪ সালে এ ক্যাডারে পদ ছিল ১১৬টি। বাণিজ্য ক্যাডারের পদগুলোতে এখন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হলে বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে। ফলে এখনই দক্ষ জনবল তৈরি করা জরুরি। এ জন্য বাণিজ্য ক্যাডারকে শক্তিশালী করাতে বিদ্যমান আইন, নীতিমালা, বিধি, পরিপত্র ও আদেশ সংশোধন করে সময়োপযোগী করা প্রয়োজন। কিন্তু তা যেহেতু হচ্ছে না, সে জন্য বাণিজ্য ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করাই ভালো।

বাণিজ্য ক্যাডারের মতো তথ্য (সাধারণ বেতার) ও সমবায় ক্যাডারের কর্মকর্তারাও প্রশাসনের সঙ্গে একীভূত হতে চান।

বিসিএস তথ্য (সাধারণ বেতার) কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির একজন জানান, ‘দুই বছর আগে একীভূত হওয়ার জন্য আমরা চিঠি দিয়েছি। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএসএ) নেতাদের অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো অগ্রগতি নেই।’

বিসিএস সমবায় অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত হওয়ার জন্য তারা দুবছর আগে চিঠি দিয়েছেন। সমবায় ক্যাডারের পদ আপগ্রেডেশনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বৈঠক করেছিল। তারও আর অগ্রগতি নেই। সমবায় ক্যাডারের পদ ছিল ১৯৬টি। এর মধ্যে ৭৭টি পদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন মাত্র ১১৯টি পদ আছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপসচিব থেকে ওপরের পদগুলোতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রাধান্য বেশি। তথ্য, বাণিজ্য, সমবায়সহ অনেকগুলো ক্যাডারে কর্মকর্তার সংখ্যা অনেক কম। তারা সময়মতো পদোন্নতি পান না। একই প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়ার পরও তারা মন্ত্রণালয়ে কাজের সুযোগ পান না। ফলে অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রশাসনের সঙ্গে একীভূত হলে দেরিতে হলেও তারা উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব হতে পারবেন। ইকোনমিক ক্যাডারের কর্মকর্তারা একীভূত হয়ে পদোন্নতি পাওয়ার ফলে অন্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে আগ্রহ বেড়ে গেছে।

২৬টি ক্যাডারের মধ্যে ১৪টি সাধারণ ও ১২টি পেশাগত/কারিগরি। সাধারণ ক্যাডারের মধ্যে রয়েছে- প্রশাসন, আনসার, নিরীক্ষা ও হিসাব, সমবায়, শুল্ক ও আবগারি, পরিবার পরিকল্পনা, খাদ্য, পররাষ্ট্র, তথ্য, পুলিশ, ডাক, রেলওয়ে পরিবহন, কর ও বাণিজ্য। পেশাগত/কারিগরির মধ্যে রয়েছে- সড়ক ও জনপথ, গণপূর্ত, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, বন, স্বাস্থ্য, রেলওয়ে প্রকৌশল, পশুসম্পদ, মৎস্য, পরিসংখ্যান, কারিগরি শিক্ষা, কৃষি ও সাধারণ শিক্ষা।