নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে নাদিম মাহমুদ (২৮) নামের এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ককে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে মনোহরদীর নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নাদিম মাহমুদ মনোহরদীর দৌলতপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক এবং ওই ইউনিয়নের কেরানীনগর এলাকার বাসিন্দা। আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. বদিউল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের নির্বাচনী প্রচারণা সভা হয়।
ওই সভায় দৌলতপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাদিম মাহমুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খান বীরুকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের ভেতর থেকে যদি আপনারা বীরুর নির্বাচন করেন… একদম সমান বানিয়ে ফেলব…। যারা বীরুর নির্বাচন করবে আমাদের ভেতর থেকে, তাদের কিন্তু একজনেরও অস্তিত্ব থাকবে না…।’
ছাত্রলীগ নেতা নাদিম মাহমুদের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তাঁর এই বক্তব্যে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব খাটানোর ইচ্ছা প্রকাশিত হয়, যা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রচার থেকে বিরত রাখার চেষ্টার শামিল, যা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৭৩ (২ খ) / ৮৪ ক-নম্বর ধারায় অপরাধ।
এ ঘটনায় জেলা রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে মনোহরদীর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাসিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ বুধবার ভোরে মনোহরদী থানায় মামলা করেন। মামলার পর নিজ বাসা থেকে নাদিম মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার নরসিংদীর ড. বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এতে কেউ বাধা দিলে বা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে আমরা কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’