ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

হজ কী ও কেন?

হজের শাব্দিক অর্থ ‘কোনো মহৎ কাজের ইচ্ছা করা’। পরিভাষায় ‘নির্দিষ্ট দিনে হজের নিয়তে ইহরাম অবস্থায় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা এবং বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করা।’ (শামি-২/৪৫৪)
সর্বপ্রথম পৃথিবীতে হজ পালন করেন হজরত আদম আ:। বিভিন্ন তাফসির গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে, হজরত আদম আ: আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে ফেরেশতাদের মাধ্যমে পবিত্র মক্কা নগরীতে এসে বায়তুল্লাহর ভিত্তি স্থাপন করেন এবং হজ পালন করেন। এর পর থেকেই হজের ধারাবাহিকতা চলতে থাকে। (আইয়ানুল হাজ্জাজ : পৃষ্ঠা ২২-২৪) আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘হজরত আদম আ: যখন পৃথিবীতে অবতরণ করেন তখন তিনি কাবাঘর সাতবার তাওয়াফ করেন। অতঃপর বর্তমানে যেটি মাকামে ইবরাহিম সেখানে দু’রাকাত সালাত আদায় করেন এবং কাকুতি-মিনতি করে প্রভুর দরবারে দোয়া করেন।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ-১/১৮৩)

কাবাগৃহ পুনঃনির্মাণ ও হজের ঘোষণা : হজরত নূহ আ:-এর প্লাবনের পর আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে হজরত জিবরাইল আ:-এর মাধ্যমে হজরত ইবরাহিম আ: ও হজরত ইসমাঈল আ: পুনরায় কাবাগৃহ নির্মাণ করেন। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে মাকামে ইবরাহিমে দাঁড়িয়ে হজের ঘোষণা করেন। তার এই ঘোষণা তখন দুনিয়ায় বিদ্যমান এবং কিয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী সব মানুষের কানে পৌঁছে দেয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত পর্যন্ত যাদের হজ পালন করার সৌভাগ্য লিখে রেখেছেন তারা সবাই সে দিন ইবরাহিম আ:-এর ওই অহ্বানে সাড়া দিয়ে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ বলেছিলেন। যা কুরআনে এভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে- ‘আর আপনি মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করেন তারা আপনার কাছে অনেক দূর-দূরান্ত এলাকা থেকে হেঁটে ও দুর্বল বাহনের উপর আরোহণ করে আসবে।’ ( সূরা হজ-২৭)

হজ ফরজ হওয়ার সময় : হজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। যা নবম হিজরিতে ফরজ হয়। ‘আর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এই গৃহের হজ করা সেসব লোকদের ওপর কর্তব্য যারা সফর করার আর্থিক সামর্থ্য রাখে।’ (সূরা আলে ইমরান-৯৭)
হজ জীবনে একবারই ফরজ। আর তা তৎক্ষণাতেই আদায় করা কর্তব্য, বিলম্বে নয়। বারবার হজ ফরজ নয়, হ্যাঁ তবে যদি কেউ নফল হিসেবে করতে চায় তাহলে তার ব্যাপার ভিন্ন। ইবনে আব্বাস রা: ইরশাদ করেন, একবার রাসূলে করিম সা: আমাদেরকে সম্বোধন করে ইরশাদ করেন, ‘হে লোকসকল! আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন।’ তখন হজরত আকরাহ ইবনে হাবেস রা: দাঁড়িয়ে আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! হজ কি আমাদের ওপর প্রত্যেক বছরই ফরজ? নবী করিম সা: বললেন, ‘যদি আমি হ্যাঁ বলে দিতাম তাহলে তা প্রত্যেক বছরই তোমাদের ওপর ফরজ হয়ে যেত। কিন্তু তা সাধ্যাতীত হওয়ায় তোমরা তাতে আমল করতে না। সুতরাং তোমাদের যাদের সামর্থ্য রয়েছে তার ওপর একবার হজ ফরজ, বাকি নফল।’ (আবু দাউদ-১৭২১)

হজের গুরুত্ব ও তাৎর্পয : হজ ইসলামের স্তম্ভগুলোর মধ্য থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। যা প্রভুভক্তির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যাদের ওপর হজের সামর্থ্য রয়েছে তাদের ওপর একান্ত জরুরি হলো যাবতীয় প্রয়োজন পরিত্যাগ করে প্রভু প্রেমে সাড়া দিয়ে হজ করা। এ ক্ষেত্রে বিলম্বের কোনো অবকাশ নেই। কারণ রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করার ইচ্ছে করে সে যেন তা তাড়াতাড়ি আদায় করে নেয়। কারণ যেকোনো সময় সে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে বা বাহনের ব্যবস্থাও না থাকতে পারে অথবা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।’ (আবু দাউদ-১৭৩২)
হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- আমি নবী করিম সা:-কে বলতে শুনেছি- ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুটির উদ্দেশ্যে হজ করল এবং অশ্লীল কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত থাকল সে ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ থেকে ফিরে আসবে যে দিন মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল।’ (বুখারি-১৫২১) অন্যত্র আছে- ‘যে ব্যক্তি হজের উদ্দেশ্যে বের হলো, অতঃপর মৃত্যুবরণ করল, কিয়ামত পর্যন্ত তার হজের সওয়াব লেখা হবে।’ (তাবরানি-৫৪৮০)

তালবিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আল্লাহ পাকের কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় আমল। আবু বকর সিদ্দিক রা: থেকে বর্ণিত- নবী করিম সা:-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন হজ সর্বোত্তম? তিনি বললেন, ‘যে হজে উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করা হয় এবং কোরবানি করা হয়।’ (তিরমিজি-৮২৭)
বায়তুল্লাহর তাওয়াফের ফজিলত : তাওয়াফ হজের একটি অন্যতম বিধান। তাওয়াফ হলো, বায়তুল্লাহ শরিফকে সাতবার প্রদক্ষিণ করা। ইবনে ওমর রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, আমি রাসূল সা:-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি যথাযথভাবে সাতবার বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে এবং দুই রাকাত সালাত আদায় করে তার একটি গোলাম আজাদ করার সমান সওয়াব হয়। তাওয়াফের প্রতি কদমে আল্লাহ তায়ালা তার একটি করে গুনাহ মাফ করেন, একটি করে নেকি লেখেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।’ (আহমাদ-৪৪৬২)

হজের অন্যতম আরেকটি আমল হলো হাজরে আসওয়াদকে চুমু খাওয়া ও রুকনে ইয়ামানি স্পর্শ করা। ইবনে ওমর রা: বর্ণনা করেন, আমি রাসূল সা:-কে বলতে শুনেছি, ‘হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানির স্পর্শ পাপগুলোকে মুছে দেয়।’ (তিরমিজি-৯৫৯)
আরাফার ময়দানে অবস্থান : হজের অন্যতম আরেকটি কাজ হলো আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। ধনী-গরিব সবাই এক কাপড়ে প্রভুর প্রেমে আসক্ত হয়ে তার সান্নিধ্য লাভের আশায় আরাফার খোলা প্রান্তরে ধ্যানমগ্ন থাকেন। হজরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: বলেছেন, ‘আরাফার দিন অপেক্ষা এমন কোনো দিন নেই যে দিন আল্লাহ তায়ালা অত্যধিক পরিমাণে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন এবং তিনি নিকটবর্তী হন। আর ফেরেশতাদের নিয়ে গর্ব করে বলেন, এরা কী চায়?’ (মুসলিম-১৩৪৮)

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

হজ কী ও কেন?

আপডেট সময় ০৯:৫১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩

হজের শাব্দিক অর্থ ‘কোনো মহৎ কাজের ইচ্ছা করা’। পরিভাষায় ‘নির্দিষ্ট দিনে হজের নিয়তে ইহরাম অবস্থায় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা এবং বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করা।’ (শামি-২/৪৫৪)
সর্বপ্রথম পৃথিবীতে হজ পালন করেন হজরত আদম আ:। বিভিন্ন তাফসির গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে, হজরত আদম আ: আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে ফেরেশতাদের মাধ্যমে পবিত্র মক্কা নগরীতে এসে বায়তুল্লাহর ভিত্তি স্থাপন করেন এবং হজ পালন করেন। এর পর থেকেই হজের ধারাবাহিকতা চলতে থাকে। (আইয়ানুল হাজ্জাজ : পৃষ্ঠা ২২-২৪) আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘হজরত আদম আ: যখন পৃথিবীতে অবতরণ করেন তখন তিনি কাবাঘর সাতবার তাওয়াফ করেন। অতঃপর বর্তমানে যেটি মাকামে ইবরাহিম সেখানে দু’রাকাত সালাত আদায় করেন এবং কাকুতি-মিনতি করে প্রভুর দরবারে দোয়া করেন।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ-১/১৮৩)

কাবাগৃহ পুনঃনির্মাণ ও হজের ঘোষণা : হজরত নূহ আ:-এর প্লাবনের পর আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে হজরত জিবরাইল আ:-এর মাধ্যমে হজরত ইবরাহিম আ: ও হজরত ইসমাঈল আ: পুনরায় কাবাগৃহ নির্মাণ করেন। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে মাকামে ইবরাহিমে দাঁড়িয়ে হজের ঘোষণা করেন। তার এই ঘোষণা তখন দুনিয়ায় বিদ্যমান এবং কিয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী সব মানুষের কানে পৌঁছে দেয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা কিয়ামত পর্যন্ত যাদের হজ পালন করার সৌভাগ্য লিখে রেখেছেন তারা সবাই সে দিন ইবরাহিম আ:-এর ওই অহ্বানে সাড়া দিয়ে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ বলেছিলেন। যা কুরআনে এভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে- ‘আর আপনি মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করেন তারা আপনার কাছে অনেক দূর-দূরান্ত এলাকা থেকে হেঁটে ও দুর্বল বাহনের উপর আরোহণ করে আসবে।’ ( সূরা হজ-২৭)

হজ ফরজ হওয়ার সময় : হজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। যা নবম হিজরিতে ফরজ হয়। ‘আর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এই গৃহের হজ করা সেসব লোকদের ওপর কর্তব্য যারা সফর করার আর্থিক সামর্থ্য রাখে।’ (সূরা আলে ইমরান-৯৭)
হজ জীবনে একবারই ফরজ। আর তা তৎক্ষণাতেই আদায় করা কর্তব্য, বিলম্বে নয়। বারবার হজ ফরজ নয়, হ্যাঁ তবে যদি কেউ নফল হিসেবে করতে চায় তাহলে তার ব্যাপার ভিন্ন। ইবনে আব্বাস রা: ইরশাদ করেন, একবার রাসূলে করিম সা: আমাদেরকে সম্বোধন করে ইরশাদ করেন, ‘হে লোকসকল! আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন।’ তখন হজরত আকরাহ ইবনে হাবেস রা: দাঁড়িয়ে আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! হজ কি আমাদের ওপর প্রত্যেক বছরই ফরজ? নবী করিম সা: বললেন, ‘যদি আমি হ্যাঁ বলে দিতাম তাহলে তা প্রত্যেক বছরই তোমাদের ওপর ফরজ হয়ে যেত। কিন্তু তা সাধ্যাতীত হওয়ায় তোমরা তাতে আমল করতে না। সুতরাং তোমাদের যাদের সামর্থ্য রয়েছে তার ওপর একবার হজ ফরজ, বাকি নফল।’ (আবু দাউদ-১৭২১)

হজের গুরুত্ব ও তাৎর্পয : হজ ইসলামের স্তম্ভগুলোর মধ্য থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। যা প্রভুভক্তির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যাদের ওপর হজের সামর্থ্য রয়েছে তাদের ওপর একান্ত জরুরি হলো যাবতীয় প্রয়োজন পরিত্যাগ করে প্রভু প্রেমে সাড়া দিয়ে হজ করা। এ ক্ষেত্রে বিলম্বের কোনো অবকাশ নেই। কারণ রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজ করার ইচ্ছে করে সে যেন তা তাড়াতাড়ি আদায় করে নেয়। কারণ যেকোনো সময় সে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে বা বাহনের ব্যবস্থাও না থাকতে পারে অথবা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।’ (আবু দাউদ-১৭৩২)
হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- আমি নবী করিম সা:-কে বলতে শুনেছি- ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুটির উদ্দেশ্যে হজ করল এবং অশ্লীল কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত থাকল সে ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ থেকে ফিরে আসবে যে দিন মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল।’ (বুখারি-১৫২১) অন্যত্র আছে- ‘যে ব্যক্তি হজের উদ্দেশ্যে বের হলো, অতঃপর মৃত্যুবরণ করল, কিয়ামত পর্যন্ত তার হজের সওয়াব লেখা হবে।’ (তাবরানি-৫৪৮০)

তালবিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আল্লাহ পাকের কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় আমল। আবু বকর সিদ্দিক রা: থেকে বর্ণিত- নবী করিম সা:-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন হজ সর্বোত্তম? তিনি বললেন, ‘যে হজে উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করা হয় এবং কোরবানি করা হয়।’ (তিরমিজি-৮২৭)
বায়তুল্লাহর তাওয়াফের ফজিলত : তাওয়াফ হজের একটি অন্যতম বিধান। তাওয়াফ হলো, বায়তুল্লাহ শরিফকে সাতবার প্রদক্ষিণ করা। ইবনে ওমর রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, আমি রাসূল সা:-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি যথাযথভাবে সাতবার বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে এবং দুই রাকাত সালাত আদায় করে তার একটি গোলাম আজাদ করার সমান সওয়াব হয়। তাওয়াফের প্রতি কদমে আল্লাহ তায়ালা তার একটি করে গুনাহ মাফ করেন, একটি করে নেকি লেখেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।’ (আহমাদ-৪৪৬২)

হজের অন্যতম আরেকটি আমল হলো হাজরে আসওয়াদকে চুমু খাওয়া ও রুকনে ইয়ামানি স্পর্শ করা। ইবনে ওমর রা: বর্ণনা করেন, আমি রাসূল সা:-কে বলতে শুনেছি, ‘হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানির স্পর্শ পাপগুলোকে মুছে দেয়।’ (তিরমিজি-৯৫৯)
আরাফার ময়দানে অবস্থান : হজের অন্যতম আরেকটি কাজ হলো আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। ধনী-গরিব সবাই এক কাপড়ে প্রভুর প্রেমে আসক্ত হয়ে তার সান্নিধ্য লাভের আশায় আরাফার খোলা প্রান্তরে ধ্যানমগ্ন থাকেন। হজরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: বলেছেন, ‘আরাফার দিন অপেক্ষা এমন কোনো দিন নেই যে দিন আল্লাহ তায়ালা অত্যধিক পরিমাণে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন এবং তিনি নিকটবর্তী হন। আর ফেরেশতাদের নিয়ে গর্ব করে বলেন, এরা কী চায়?’ (মুসলিম-১৩৪৮)