বেশ কয়েক দিনের তীব্র গরম ও দাবদাহ শেষে অবশেষে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার পর জেলার আকাশ ঢেকে যায় মেঘে। রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। সেইসাথে ছিল ঝড়োহাওয়া। ঝড়োহাওয়া ও বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি নেমে আসে।
শহরের পুরানমুন্সেফি এলাকার বাসিন্দা নাটক ও সিনেমা নির্মাতা মোক্তাদির ইবনে সালাম বলেন, রমজানের শুরুতে তেমন গরম ছিল না। কিন্তু মধ্য রমজান থেকেই টানা গরম পড়েছে। এর মাঝে বিদ্যুৎও ভোগাচ্ছিল। কয়েকদিন ধরেই দৈনিক ১২-১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং করা হয়। এ অবস্থায় প্রচন্ড গরমে মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠে। বিশেষ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। তবে সামান্য বৃষ্টিই আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ামত স্বরূপ এসেছে।
শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমেদ জানান, ঈদ উপলক্ষে এলাকায় এসেছি। কিন্তু প্রচণ্ড গরম, অপরদিকে ভয়াবহ লোডশেডিং। সব মিলিয়ে মারাত্মক অসহ্য লাগছিল। এর মাঝে সামান্য বৃষ্টিই স্বস্তি দিচ্ছে।
সদর আধুনিক হাসপাতালের ডা. আবু নাঈম মাহমুদ হাসান জানান, প্রচণ্ড গরমে মানুষ ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে সকলকেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন। প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন। বৃষ্টি অবশ্যই স্বস্তি দিচ্ছে। মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল হোসেন জানান, এবারের মৌসুমের প্রথম ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। তবে এতে কোথাও তেমন ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।