ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

হিট এলার্ট জারি চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৬:১৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • ১১০১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা বেশ কয়েকদিন একই রকম ৪০ ছুঁই ছুঁই অবস্থা। আজও চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। টানা চারদিন একই তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এই জেলা দিয়ে।

৩ এপ্রিল বুধবারও দে‌শের স‌র্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশ‌মিক ৫ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হ‌য়ে‌ছিল। এদিকে আবহাওয়া অদফতর থে‌কে চুয়াডাঙ্গাসহ চার বিভাগে আবহাওয়া সতর্কবার্তা বা হিট এলার্ট জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় এ তথ্য নি‌শ্চিত ক‌রেন চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।

রাকিবুল হাসান জানান, গত ক‌য়েকদিন থে‌কে চুয়াডাঙ্গার উপর দি‌য়ে ব‌য়ে যা‌চ্ছে মাঝা‌রি তাপদাহ। গত ১ এপ্রিল সোমবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশ‌মিক ৫ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস, ২ এপ্রিল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্র ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস। ৩ এপ্রিল বুধবার যৌথ ভা‌বে দে‌শের স‌র্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদী‌তে ৩৮ দশ‌মিক ৫ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস রেকর্ড করা হ‌য়। এছাড়া আজ বেলা ৩টায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ এখনো অব্যাহত। এছাড়া কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী তিন দিন এই তাপমাত্রার পা‌রদ আরো বাড়‌বে। এ সময় তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। কালবৈশাখী ঝড়ের বিষয়ে আগে থেকে বোঝা যায় না। দুই-এক ঘণ্টা আগে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায়।

বাইরে রোদের তীব্র তাপ, সেই সাথে গরমে মানুষ এক প্রকার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। বাইরে না বেরিয়ে ঘরে অবস্থান করে ফ্যানের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে নিম্ন আয়ের দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রে। তারা এই তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাইরে অবস্থান করছেন।

এদিকে, তীব্র রোদ আর গরমে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই গরমে সবচাই‌তে বেশি ক‌ষ্টে আছে রোজাদার ব্যক্তিরা। বাইরে, রাস্তাঘাটে, বাজারে লোকজনের চলাচল খুবই কম। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।

চুয়াডাঙ্গা শহরের জনৈক্য বৃদ্ধ রিকশাচালক বলেন,‘কী আর বলব, এই রোদ-গরমে রোজা থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আবার বসেও থাকতে পারছি না। বসে থাকলে পেটে ভাত জুটবে না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

হিট এলার্ট জারি চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই

আপডেট সময় ০৬:১৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা বেশ কয়েকদিন একই রকম ৪০ ছুঁই ছুঁই অবস্থা। আজও চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। টানা চারদিন একই তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এই জেলা দিয়ে।

৩ এপ্রিল বুধবারও দে‌শের স‌র্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশ‌মিক ৫ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হ‌য়ে‌ছিল। এদিকে আবহাওয়া অদফতর থে‌কে চুয়াডাঙ্গাসহ চার বিভাগে আবহাওয়া সতর্কবার্তা বা হিট এলার্ট জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় এ তথ্য নি‌শ্চিত ক‌রেন চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।

রাকিবুল হাসান জানান, গত ক‌য়েকদিন থে‌কে চুয়াডাঙ্গার উপর দি‌য়ে ব‌য়ে যা‌চ্ছে মাঝা‌রি তাপদাহ। গত ১ এপ্রিল সোমবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশ‌মিক ৫ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস, ২ এপ্রিল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্র ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস। ৩ এপ্রিল বুধবার যৌথ ভা‌বে দে‌শের স‌র্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদী‌তে ৩৮ দশ‌মিক ৫ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস রেকর্ড করা হ‌য়। এছাড়া আজ বেলা ৩টায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ এখনো অব্যাহত। এছাড়া কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী তিন দিন এই তাপমাত্রার পা‌রদ আরো বাড়‌বে। এ সময় তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। কালবৈশাখী ঝড়ের বিষয়ে আগে থেকে বোঝা যায় না। দুই-এক ঘণ্টা আগে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায়।

বাইরে রোদের তীব্র তাপ, সেই সাথে গরমে মানুষ এক প্রকার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। বাইরে না বেরিয়ে ঘরে অবস্থান করে ফ্যানের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে নিম্ন আয়ের দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রে। তারা এই তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাইরে অবস্থান করছেন।

এদিকে, তীব্র রোদ আর গরমে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই গরমে সবচাই‌তে বেশি ক‌ষ্টে আছে রোজাদার ব্যক্তিরা। বাইরে, রাস্তাঘাটে, বাজারে লোকজনের চলাচল খুবই কম। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।

চুয়াডাঙ্গা শহরের জনৈক্য বৃদ্ধ রিকশাচালক বলেন,‘কী আর বলব, এই রোদ-গরমে রোজা থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আবার বসেও থাকতে পারছি না। বসে থাকলে পেটে ভাত জুটবে না।