বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পার করলেও হয়নি ছাত্রলীগের কমিটি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক সাংগঠনিক ইউনিট হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃতি পেয়েছে। অথচ এখনও ছাত্রলীগ কমিটির মুখ দেখেনি এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। ২০১৯ সালের ১৭ জুন ববিতে সংক্ষিপ্ত এক সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ১১১তম সাংগঠনিক ইউনিট হবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন সময়ে এমন আশার বাণী শুনলেও গঠন হয়নি কমিটি। ফলে কমিটি গঠন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। অনেকের মনে প্রশ্ন, কবে হবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি?
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ সক্রিয়। বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী অপরটি সদর আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী। তবে এসব অনুসারীদের মধ্যে রয়েছে বিচ্ছিন্নতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়ের বিবর্তনে নেতৃত্বও পরিবর্তন হচ্ছে। আবার বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তবে প্রতিবছর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করে আসছে ছাত্রলীগ ব্যানারে। এমনকি বিভিন্ন দলীয় প্রোগ্রামে অন্যান্য সাংগঠনিক ইউনিটের মতোই কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা যায়।
অন্যদিকে ছাত্রদল ও অন্য রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের কমিটি রয়েছে কিন্তু সেগুলোর কার্যক্রম নিষ্ক্রিয়। অথচ সক্রিয় ও বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা ছাত্রলীগ কেনো হচ্ছে না কমিটি! এ নিয়ে চলছে অনেকের মধ্যে ধূম্রজাল। অনেকে বলছেন সামনে নির্বাচন। তাই, সাংগঠনিক কার্যক্রম ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্যে এখনই দরকার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। বিচ্ছিন্নতা ঠেকাতে ও ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকে সাংগঠনিক রূপ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারাও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন নেতা-কর্মীর সাথে কথা হয়। তারা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোপালগঞ্জ) কমিটি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে জীবনবৃত্তান্ত চেয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই সময়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার ছাত্রলীগ কমিটির। আর এটা এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। ববির নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে রাজনীতি করে আসছে। বিভিন্ন জাতীয় ও সাংগঠনিক প্রোগ্রামে তারা অংশগ্রহণ করছে। তাহলে কেনো এখনও কমিটি হচ্ছে না! একটা বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি নেই এটা বেশ দুঃখজনক। তারপরেও আশায় বুক বেঁধেছেন তারা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়েরও কমিটির প্রয়োজন বোধ মনে করছেন তারা।
এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এর সাথে। তিনি জানান, অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে ধাপে ধাপে ইউনিটগুলোর কমিটি দেওয়া হবে। সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সেটি জানিয়ে দেবো।