প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নিজস্ব অর্থায়নে বরিশালের বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলার ১৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের শিক্ষার্থীদের মাঝে এক কোটি টাকার শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন এক শিল্পপতি।
এছাড়াও কৃষিভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্পসহ নিজের ১৮টি প্রতিষ্ঠানে উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলার কয়েক হাজার বেকার যুবকদের চাকরি দিয়ে করেছেন প্রতিষ্ঠিত। এ দুই উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ওই শিল্পপতির দেওয়া অনুদান সবার মুখে মুখে। তরুন সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলা ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকা-ে আর্থিক অনুদান প্রদান করে তিনি হয়েছেন ব্যাপক প্রশংসিত। উজিরপুর এলাকায় প্রায় চারশ’ একর জমির ওপর নির্মিত মাছের ঘের ও ফলের বাগান সাধারণ মানুষের জন্য রেখেছেন উন্মুক্ত। এ দুই উপজেলার যেকোন গরীব ও অসহায় পরিবারের ছেলে-মেয়ের বিয়ের জন্য ওই ঘের থেকে চাহিদা অনুযায়ী সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মাছ সরবরাহ করা হচ্ছে।
লক্ষ্য তার একটাই; বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত সোনার বাংলা গড়তে দূরন্তগতিতে এগিয়ে চলা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে এলাকার অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানো। সম্পূর্ণ প্রচারবিমুখ সদাহাস্যজ¦ল মানুষটি হলেন বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাসিন্দা ও বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
গত দুইদিন (শনি ও রোববার ) বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পর পর তিনবার এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তারপরেও দেশব্যাপী বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এ আসনের সাংসদগণ কোন ভূমিকা রাখতে পারেননি। নির্বাচনী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রায় প্রতিটি সড়ক দীর্ঘদিন থেকে মরন ফাঁদে পরিনত হলেও সেদিকে কারো কোন নজরই নেই। যেকারণে খোঁদ সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেই সংসদ সদস্যর উন্নয়ন কর্মকা- নিয়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এ আসনের তৃণমূল পর্যায়ের অসংখ্য আওয়ামী লীগ সমর্থিত ভোটাররা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি রেখে বলেন, নির্বাচনী এলাকা থেকে যার নেওয়ার কিছু নেই। ইচ্ছে করলে যে প্রার্থী সরকারি অর্থায়ন ছাড়াও নিজের অর্থে এলাকার উন্নয়ন করতে পারেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়ন বঞ্ছিত বরিশাল-২ আসনে তেমনই একজন নতুন যোগ্য প্রার্থীর হাতে যেন নৌকা প্রতীক তুলে দেওয়া হয়।
উজিরপুরের সাতলা গ্রামের বাসিন্দা মৃনাল কান্তি বাড়ৈ, বানারীপাড়ার চাখার এলাকার সাইফুল ইসলামসহ অসংখ্য ব্যক্তিরা বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতিসন্নিকটে। তাই অনেক প্রার্থীরাই এখন নৌকা প্রতীকের আশায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু উন্নয়ন বঞ্ছিত বরিশাল-২ আসনে আমরা এমন একজন প্রার্থী চাই যে সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি নিজের অর্থেও উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারবেন। তারা আরো বলেন, এ আসনের উন্নয়ন করতে হলে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে যোগ্যতার বিবেচনায় এগিয়ে রয়েছেন শিল্পপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল।
এ বিষয়ে ক্যাপ্টেন (অব.) এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, জীবনে যতোদিন বেঁচে আছি ততোদিন এলাকার অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের সেবা করে যেতে চাই। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইবো। তিনি যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। নতুবা প্রধানমন্ত্রী যার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিবেন অতীতের ন্যায় তার বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করবো।