ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

২০০ কোটি টাকার জালনোট ছাড়ার ছক এঁকেছিল তারা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ববাজারের বর্তমান সংকটের সুযোগে ডলার ও রুপির জালনোট তৈরি করে বাজারে ছাড়ছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। কম দামে এসব জালনোট কিনে প্রতারিত হচ্ছেন অনেকেই। রাজধানীর দারুস সালামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে জালনোট, রেভিনিউ স্ট্যাম্প, ভারতীয় রুপি, মার্কিন ডলারসহ এমনই একটি চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

চক্রের মূলহোতা উজ্জ্বল দাস ওরফে সোবহান শিকদার। অন্যরা হলেন আবদুর রশিদ, মমিনুল ইসলাম ও শাহ মো. তুহিন আহমেদ ওরফে জামাল। গত বুধবার রাতে তাদের কাছ থেকে ২৭ লাখ টাকা মূল্যমানের জালনোট, এক কোটি ২০ লাখ মূল্যমানের রেভিনিউ স্ট্যাম্পসহ জালনোট তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।

চক্রের সদস্যরা সংকটের সুযোগে বাজারে জাল ডলার-রুপির ভয়ঙ্কর জাল বিছিয়েছিল। রোজাকে সামনে রেখে ২০০ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি নোট ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। এ অবস্থায় সবাইকে ব্যাংক অথবা অনুমোদিত জায়গা থেকে ডলার কেনার অনুরোধ জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবিপ্রধান বলেন, প্রায় ৮-৯ বছর ধরে চক্রটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় স্বল্পমেয়াদে বাসা ভাড়া নিয়ে এ কাজ করত চক্রের সদস্যরা। বর্তমানে

ডলার সংকট হওয়ায় তারা ভারতীয় জাল রুপি ও আমেরিকান জাল ডলার তৈরি করে বিদেশেও পাচার করছিল। তাদের সারাদেশে এজেন্ট রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১ কোটি টাকার জালনোট ১০ লাখে, এরপর ২০ লাখ ও প্রান্তিক ধাপে ৫০ লাখে বিক্রি করতেন। এজেন্টদের চাহিদা অনুযায়ী যে কোনো পরিমাণের জালনোট প্রস্তুত করে দিতেন তারা।

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সস্তায় পেয়ে তাদের কাছ থেকে ডলার কিনে অনেকে প্রতারিত হচ্ছিলেন। এর দায় যিনি কিনবে তারই। কারণ ব্যাংক অথবা কোনো অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ডলার কেনা উচিত। আমরা এই চক্রটিকে সেদিন গ্রেপ্তার না করলে পরদিনই জালনোট আর স্ট্যাম্প বাজারে চলে যেত। তাদের কিছু এজেন্টের নাম পাওয়া গেছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

২০০ কোটি টাকার জালনোট ছাড়ার ছক এঁকেছিল তারা

আপডেট সময় ১১:০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিশ্ববাজারের বর্তমান সংকটের সুযোগে ডলার ও রুপির জালনোট তৈরি করে বাজারে ছাড়ছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। কম দামে এসব জালনোট কিনে প্রতারিত হচ্ছেন অনেকেই। রাজধানীর দারুস সালামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে জালনোট, রেভিনিউ স্ট্যাম্প, ভারতীয় রুপি, মার্কিন ডলারসহ এমনই একটি চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

চক্রের মূলহোতা উজ্জ্বল দাস ওরফে সোবহান শিকদার। অন্যরা হলেন আবদুর রশিদ, মমিনুল ইসলাম ও শাহ মো. তুহিন আহমেদ ওরফে জামাল। গত বুধবার রাতে তাদের কাছ থেকে ২৭ লাখ টাকা মূল্যমানের জালনোট, এক কোটি ২০ লাখ মূল্যমানের রেভিনিউ স্ট্যাম্পসহ জালনোট তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।

চক্রের সদস্যরা সংকটের সুযোগে বাজারে জাল ডলার-রুপির ভয়ঙ্কর জাল বিছিয়েছিল। রোজাকে সামনে রেখে ২০০ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি নোট ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। এ অবস্থায় সবাইকে ব্যাংক অথবা অনুমোদিত জায়গা থেকে ডলার কেনার অনুরোধ জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবিপ্রধান বলেন, প্রায় ৮-৯ বছর ধরে চক্রটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় স্বল্পমেয়াদে বাসা ভাড়া নিয়ে এ কাজ করত চক্রের সদস্যরা। বর্তমানে

ডলার সংকট হওয়ায় তারা ভারতীয় জাল রুপি ও আমেরিকান জাল ডলার তৈরি করে বিদেশেও পাচার করছিল। তাদের সারাদেশে এজেন্ট রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১ কোটি টাকার জালনোট ১০ লাখে, এরপর ২০ লাখ ও প্রান্তিক ধাপে ৫০ লাখে বিক্রি করতেন। এজেন্টদের চাহিদা অনুযায়ী যে কোনো পরিমাণের জালনোট প্রস্তুত করে দিতেন তারা।

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সস্তায় পেয়ে তাদের কাছ থেকে ডলার কিনে অনেকে প্রতারিত হচ্ছিলেন। এর দায় যিনি কিনবে তারই। কারণ ব্যাংক অথবা কোনো অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ডলার কেনা উচিত। আমরা এই চক্রটিকে সেদিন গ্রেপ্তার না করলে পরদিনই জালনোট আর স্ট্যাম্প বাজারে চলে যেত। তাদের কিছু এজেন্টের নাম পাওয়া গেছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’