ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

‘২০২৪ সালে সমস্ত ফিরঙ্গিকে বাংলাদেশে পাঠাব’ : ভারতীয় মন্ত্রী

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:০৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩
  • ১১২৩ বার পড়া হয়েছে

ভারতের ভোক্তাবিষয়ক উপমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে বলেছেন যে ২০২৪ সালে সমস্ত ‘ফিরাঙ্গিকে’ বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে বিজেপি। বিহারের রাজধানী পাটনায় রোববার এক অনুষ্ঠানে এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪ সালে বিহারের ৪০টি আসনে এই ফিরঙ্গি শাসনকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসব। সব ‘ফিরঙ্গি’ শুনুন, আমরা আপনাদের ২০২৪ সালে বাংলাদেশে পাঠাব। ২০২৫ সালে আমরা বিহারে বিজেপির শাসন প্রতিষ্ঠা করব।’ দলীয় অনুষ্ঠানে অশ্বিনী বলেন, ‘বিজেপিকে ছেড়ে আরজেডির সাথে হাত মেলানো জেডিইউর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার সময় এসে গিয়েছে।’

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে তোপ দেগে অশ্বিনী বলেন, ‘২০১৪ সালে নীতীশ কুমার বলেছিলেন যে তিনি বিজেপির সাথে হাত মেলাবেন না। আমাদের সাথে হাত মেলানোর বদলে তিনি মাটিতে মিশে যেতে চেয়েছিলেন। এরপর তিনি পাঁচ বছর আমাদের (বিজেপি) সাথে ছিলেন। আমরা তাই এখন মাটি খুঁজছি। তাকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে, সেটাই খুঁজছি। রাজনৈতিকভাবে মানুষ আপনাকে শেষ করে দেবে। তিনি বুঝেছেন যে আমরা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করব।’

ভারতের এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি কখনো ইউ-টার্ন নেয় না। অন্যদিকে নীতীশ কুমার ইউ-টার্নের পর ইউ-টার্ন নেন। তার ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে যদি বিজেপি তাকে সমর্থন না করত, তবে তিনি গরিবদের মসিহা হয়ে উঠতেন না। নীতীশ কুমার আমাদের ছেড়ে দিয়েছেন এবং তাকে এর জন্য উপযুক্ত শিক্ষা দেয়া উচিত।’

অশ্বিনী আরো বলেন, ‘আমরা নীতীশ কুমারকে একাধিকবার সমর্থন করেছি কিন্তু তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও আমাদের ত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছিলেন যে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনিই থাকবেন। এখন বিজেপি কর্মীদের প্রতিশোধ নিতে হবে। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সম্পর্কে আমি বলব, মাটিতে মিশিয়ে দেব।’

এদিকে ‘মাটিতে মিশিয়ে দেব’ মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে মুখ খুলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এক অনুষ্ঠানে নীতীশ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি সে এই কথা বলে থাকে, তবে তাকে তা করে দেখাতে বলুন। আমাকে কি কখনো এই ধরনের কথা বলতে শুনেছে কেউ? যারা এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করেন তাদের বুদ্ধি নেই। তারা যা ইচ্ছে করতে পারেন।’
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

‘২০২৪ সালে সমস্ত ফিরঙ্গিকে বাংলাদেশে পাঠাব’ : ভারতীয় মন্ত্রী

আপডেট সময় ১১:০৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩

ভারতের ভোক্তাবিষয়ক উপমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে বলেছেন যে ২০২৪ সালে সমস্ত ‘ফিরাঙ্গিকে’ বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে বিজেপি। বিহারের রাজধানী পাটনায় রোববার এক অনুষ্ঠানে এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪ সালে বিহারের ৪০টি আসনে এই ফিরঙ্গি শাসনকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসব। সব ‘ফিরঙ্গি’ শুনুন, আমরা আপনাদের ২০২৪ সালে বাংলাদেশে পাঠাব। ২০২৫ সালে আমরা বিহারে বিজেপির শাসন প্রতিষ্ঠা করব।’ দলীয় অনুষ্ঠানে অশ্বিনী বলেন, ‘বিজেপিকে ছেড়ে আরজেডির সাথে হাত মেলানো জেডিইউর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার সময় এসে গিয়েছে।’

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে তোপ দেগে অশ্বিনী বলেন, ‘২০১৪ সালে নীতীশ কুমার বলেছিলেন যে তিনি বিজেপির সাথে হাত মেলাবেন না। আমাদের সাথে হাত মেলানোর বদলে তিনি মাটিতে মিশে যেতে চেয়েছিলেন। এরপর তিনি পাঁচ বছর আমাদের (বিজেপি) সাথে ছিলেন। আমরা তাই এখন মাটি খুঁজছি। তাকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে, সেটাই খুঁজছি। রাজনৈতিকভাবে মানুষ আপনাকে শেষ করে দেবে। তিনি বুঝেছেন যে আমরা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করব।’

ভারতের এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি কখনো ইউ-টার্ন নেয় না। অন্যদিকে নীতীশ কুমার ইউ-টার্নের পর ইউ-টার্ন নেন। তার ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে যদি বিজেপি তাকে সমর্থন না করত, তবে তিনি গরিবদের মসিহা হয়ে উঠতেন না। নীতীশ কুমার আমাদের ছেড়ে দিয়েছেন এবং তাকে এর জন্য উপযুক্ত শিক্ষা দেয়া উচিত।’

অশ্বিনী আরো বলেন, ‘আমরা নীতীশ কুমারকে একাধিকবার সমর্থন করেছি কিন্তু তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও আমাদের ত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেছিলেন যে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনিই থাকবেন। এখন বিজেপি কর্মীদের প্রতিশোধ নিতে হবে। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সম্পর্কে আমি বলব, মাটিতে মিশিয়ে দেব।’

এদিকে ‘মাটিতে মিশিয়ে দেব’ মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে মুখ খুলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এক অনুষ্ঠানে নীতীশ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি সে এই কথা বলে থাকে, তবে তাকে তা করে দেখাতে বলুন। আমাকে কি কখনো এই ধরনের কথা বলতে শুনেছে কেউ? যারা এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করেন তাদের বুদ্ধি নেই। তারা যা ইচ্ছে করতে পারেন।’
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস