সুনামগঞ্জের শাল্লায় দুই শিশুসহ এক মা পানির তীব্র স্রোতে ভেসে গেছেন। আজ সোমবার রাত সাড়ে ৮টার উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের বাহাড়ার রাস্তা দিয়ে শাল্লা সদরের সেতুতে ওঠার সময় তিনি সন্তানসহ পানিতে পড়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে শিশু ও তাদের মায়ের পরিচয় জানা যায়নি।
নিখোঁজ দুই শিশু ও তাদের মাকে উদ্ধারের পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে রাত ১০টা পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তালেব।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ রাত প্রায় সাড়ে ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে করে শাল্লা উপজেলা সদরে ফিরছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা মো. মুসতাকিন বিল্লাহ ও উপজেলার ডুমরা গ্রামের মোটরসাইকেলচালক সুব্রত দাস। তারা ওই নারীকে দুই শিশুসহ রঘুনাথপুর থেকে বাহাড়ার রোড দিয়ে পায়ে হেটে শাল্লা উপজেলা সদরে আসতে দেখেন।
মূল সড়কে ওঠার সময় একটি কালভার্টের কাছে দুই শিশুসহ ওই মা হটাৎ করে পানিতে পড়ে যান। এসময় পানির প্রবল স্রোত তাদের ভাসিয়ে দাড়াইন নদীর দিকে নিয়ে যায়। ঘটনাটি দেখে পথচারীরা উদ্ধারে এগিয়ে গেলেও ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশসহ এলাকাবাসী দাড়াইন নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে দাড়াইন নদীতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছি। এখনো খোঁজে পাওয়া যায়নি। পানিতে পড়ে যাওয়া দুই শিশু ও তাদের মায়ের কোনো ঠিকানাও পাওয়া যাচ্ছে না।’
শাল্লার ইউএনও মো. আবু তালেব বলেন, ‘ঘটনার দুইজন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্নণা মতে পানির তীব্র স্রোতে পড়ে দুই শিশুসহ ওই নারী ভেসে গেছেন। এলাকবাসী, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছি। নিখোঁজ দুই শিশু ও নারীর পরিচয় শনাক্ত করতে মসজিদে মাইকিং করতে অনুরোধ করা হয়েছে।’