ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

৩২ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে আগামী বছর

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:২৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ১০৮৭ বার পড়া হয়েছে

আগামী বছর ৩২ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য দেশের চাহিদা মেটাতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত এই পরিমাণ তেল কেনা হবে। একই সাথে চলতি বছরের নভেম্বরের জন্য এক কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির সভাপতি অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় যোগদানের কারণে তিনি সেখান থেকে অনলাইনে সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভাসূত্রে জানা যায়, ২০২৫ সালের (জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর) জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে আমদানির প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা কমিটি। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের নিজস্ব তহবিল থেকে এই জ্বালানি কেনা হবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৬ সাল থেকে জ্বালানি তেলের মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ জি-টু-জি ভিত্তিতে এবং ৫০ শতাংশ উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে আমদানি করে আসছে। বিক্রয় প্রবণতা ও পর্যাপ্ত মজুদ বিবেচনায় ২০২৫ সালের জন্য জি-টু-জি ভিত্তিতে মোট আমদানির পরিমাণ গ্যাস অয়েল ১৯.১০ লাখ টন (১০%+), জেট এ-১= ৩.৬৫ লাখ টন (১০%+), মোগ্যাস ১.২৫ লাখ মে.টন (১০%+), ফার্নেস অয়েল ৪.৫০ লাখ টন (১০%+) এবং মেরিন ফুয়েল ৪৫ হাজার টন (১০%+) সহ সর্বমোট পরিশোধিত জ্বালানি তেল ২৮ লাখ ৯৫ হাজার মে.টন।

সভায়, ২০২৫ সালের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রড অয়েল) সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কতৃক জি-টু-জি ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় সৌদি আরামকো থেকে অ্যারাবিয়ান লাইট ক্রুড (এএলসি) এবং অ্যাডনক, আবুধাবি থেকে ক্রুড অয়েল আমদানি করে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে প্রক্রিয়াকরণ করে থাকে। ইআরএল ফিড ডিজাইন অনুযায়ী প্রক্রিয়াকরণের জন্য কাঁচামাল হিসেবে এই দু’টি ক্রুড অয়েল অধিক উপযোগী এবং টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানির সুযোগ নেই। ফলে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে পিপিএ ২০০৬ এর ৬৮(১) ধারা এবং পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুযায়ী ২০২৫ সালের জন্য সৌদি আরামকো, সৌদি আরব এবং অ্যাডনক, আবুধাবি থেকে ১৩ লাখ মে.টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। সৌদি আরব থেকে সাত লাখ মে.টন এবং আবুধাবি থেকে ছয় লাখ মে.টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।

এছাড়া জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য স্পট মার্কেট থেকে ১ (এক) কার্গো (১০-১১ নভেম্বর ২০২৪ সময়ের জন্য ৩০তম) এলএনজি সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। স্পট মার্কেট থেকে ১০-১১ নভেম্বর ২০২৪ (৩০তম কার্গো) সময়ের জন্য পুনঃকোটেশন আহ্বান করা হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাত্র দু’টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দাখিল করে। অপরদিকে পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ৭৩(৭)-এ কমপক্ষে তিনটি গ্রহণযোগ্য কোটেশন না পাওয়া গেলে কোটেশনগুলো বাতিল করে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি প্রয়োগ করার বিধান রয়েছে।

২ কার্গো এলএনজি ও ৩০ মে. টন সার আমদানিতে ব্যয় ১৪০২ কোটি টাকা : স্পট মার্কেট থেকে পৃথক দু’টি প্রস্তাবের মাধ্যমে দুই কার্গো এলএনজি ক্রয় এবং রাশিয়া থেকে ৩০ হজার মে.টন সার আমদানির একটি প্রস্তাবসহ মোট তিনটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৪০২ কোটি সাত লাখ ৭৭ হাজার ৪৪০ টাকা।

গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (৩-৪ নভেম্বর ২০২৪ সময়ে ২৯তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। পেট্রোবাংলা কর্তৃক ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে চারটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। চারটি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডভিত্তিক মেসার্স টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড এক কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৩.৯৪ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৬৫৭ কোটি ৬১ লাখ ১১ হাজার ৩৬০ টাকা। এক কার্গো এলএনজি সমমান ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ।

সভায়, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮; অনুসরণ করে স্পট মার্কেট হতে (১০-১১ নভেম্বর ২০২৪ সময়ে ৩০তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দেয়া হয়। পেট্রোবাংলা কর্তৃক এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পুনঃদরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে দুই প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। তাদের মধ্যে মেসার্স টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের প্রস্তাব সর্বনিম্ন দরদাতা হয়। কিন্তু কমপক্ষে তিনটি গ্রহণযোগ্য কোটেশন পাওয়া যায়নি বিধায় সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার মে.টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বিএডিসি কর্তৃক রাশিয়া হতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তি মাধ্যমে এমওপি সার আমদানি করা হয়। দেশটি থেকে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার (+১০%) মে. টন এমওপি সার আমদানিতে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যে মোট ব্যয় হবে ৮৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশী মুদ্রায় ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। প্রতি মে. টন এমওপি সারের দাম পড়বে ২৮৯.৭৫ ডলার।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

৩২ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে আগামী বছর

আপডেট সময় ১১:২৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

আগামী বছর ৩২ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য দেশের চাহিদা মেটাতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত এই পরিমাণ তেল কেনা হবে। একই সাথে চলতি বছরের নভেম্বরের জন্য এক কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির সভাপতি অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় যোগদানের কারণে তিনি সেখান থেকে অনলাইনে সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভাসূত্রে জানা যায়, ২০২৫ সালের (জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর) জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে আমদানির প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা কমিটি। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের নিজস্ব তহবিল থেকে এই জ্বালানি কেনা হবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৬ সাল থেকে জ্বালানি তেলের মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ জি-টু-জি ভিত্তিতে এবং ৫০ শতাংশ উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে আমদানি করে আসছে। বিক্রয় প্রবণতা ও পর্যাপ্ত মজুদ বিবেচনায় ২০২৫ সালের জন্য জি-টু-জি ভিত্তিতে মোট আমদানির পরিমাণ গ্যাস অয়েল ১৯.১০ লাখ টন (১০%+), জেট এ-১= ৩.৬৫ লাখ টন (১০%+), মোগ্যাস ১.২৫ লাখ মে.টন (১০%+), ফার্নেস অয়েল ৪.৫০ লাখ টন (১০%+) এবং মেরিন ফুয়েল ৪৫ হাজার টন (১০%+) সহ সর্বমোট পরিশোধিত জ্বালানি তেল ২৮ লাখ ৯৫ হাজার মে.টন।

সভায়, ২০২৫ সালের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রড অয়েল) সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কতৃক জি-টু-জি ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় সৌদি আরামকো থেকে অ্যারাবিয়ান লাইট ক্রুড (এএলসি) এবং অ্যাডনক, আবুধাবি থেকে ক্রুড অয়েল আমদানি করে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে প্রক্রিয়াকরণ করে থাকে। ইআরএল ফিড ডিজাইন অনুযায়ী প্রক্রিয়াকরণের জন্য কাঁচামাল হিসেবে এই দু’টি ক্রুড অয়েল অধিক উপযোগী এবং টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানির সুযোগ নেই। ফলে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে পিপিএ ২০০৬ এর ৬৮(১) ধারা এবং পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুযায়ী ২০২৫ সালের জন্য সৌদি আরামকো, সৌদি আরব এবং অ্যাডনক, আবুধাবি থেকে ১৩ লাখ মে.টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। সৌদি আরব থেকে সাত লাখ মে.টন এবং আবুধাবি থেকে ছয় লাখ মে.টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।

এছাড়া জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য স্পট মার্কেট থেকে ১ (এক) কার্গো (১০-১১ নভেম্বর ২০২৪ সময়ের জন্য ৩০তম) এলএনজি সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। স্পট মার্কেট থেকে ১০-১১ নভেম্বর ২০২৪ (৩০তম কার্গো) সময়ের জন্য পুনঃকোটেশন আহ্বান করা হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাত্র দু’টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব দাখিল করে। অপরদিকে পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ৭৩(৭)-এ কমপক্ষে তিনটি গ্রহণযোগ্য কোটেশন না পাওয়া গেলে কোটেশনগুলো বাতিল করে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি প্রয়োগ করার বিধান রয়েছে।

২ কার্গো এলএনজি ও ৩০ মে. টন সার আমদানিতে ব্যয় ১৪০২ কোটি টাকা : স্পট মার্কেট থেকে পৃথক দু’টি প্রস্তাবের মাধ্যমে দুই কার্গো এলএনজি ক্রয় এবং রাশিয়া থেকে ৩০ হজার মে.টন সার আমদানির একটি প্রস্তাবসহ মোট তিনটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৪০২ কোটি সাত লাখ ৭৭ হাজার ৪৪০ টাকা।

গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে (৩-৪ নভেম্বর ২০২৪ সময়ে ২৯তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। পেট্রোবাংলা কর্তৃক ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে চারটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। চারটি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডভিত্তিক মেসার্স টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড এক কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৩.৯৪ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৬৫৭ কোটি ৬১ লাখ ১১ হাজার ৩৬০ টাকা। এক কার্গো এলএনজি সমমান ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ।

সভায়, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮; অনুসরণ করে স্পট মার্কেট হতে (১০-১১ নভেম্বর ২০২৪ সময়ে ৩০তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দেয়া হয়। পেট্রোবাংলা কর্তৃক এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পুনঃদরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে দুই প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। তাদের মধ্যে মেসার্স টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের প্রস্তাব সর্বনিম্ন দরদাতা হয়। কিন্তু কমপক্ষে তিনটি গ্রহণযোগ্য কোটেশন পাওয়া যায়নি বিধায় সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার মে.টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির প্রস্তাবেও অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। বিএডিসি কর্তৃক রাশিয়া হতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তি মাধ্যমে এমওপি সার আমদানি করা হয়। দেশটি থেকে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার (+১০%) মে. টন এমওপি সার আমদানিতে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যে মোট ব্যয় হবে ৮৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশী মুদ্রায় ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। প্রতি মে. টন এমওপি সারের দাম পড়বে ২৮৯.৭৫ ডলার।