ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

৬৯০ কোটি টাকায় এক কার্গো এলএনজি আমদানি হচ্ছে

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:৫৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৩৪ বার পড়া হয়েছে

দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে জরুরি ভিত্তিতে স্পট মার্কেট থেকে আরো এক কার্গো লিকুইডিফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হচ্ছে। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে জাপানি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জেইআরএ কো: ইনকরপোরেশন থেকে এই এলএনজি আমদানি করা হবে। এক কার্গোতে এলএনজির পরিমাণ হচ্ছে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৬ দশমিক ৫০ ডলার হিসেবে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া ব্যয় হবে বাংলাদেশী মুদ্রায় ৫৯০ কোটি ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। এলএনজি আমদানিতে মোট করভার রয়েছে ১৭ শতাংশ। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ২ শতাংশ এআইটি। এই ভ্যাট-এআইটি খাতে ব্যয় ১০০ কোটি ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এর ফলে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে সর্বমোট ব্যয় হবে ৬৯০ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আগামী বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এলএনজি আমদানির এই উদ্যোগ ২০২৩ সালের দ্বিতীয়। চলতি বছর এর আগে আরো এক কার্গো এলএনজি আমদানি করা হয়। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজির মূল্য স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে বহুগুণে বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় বিশেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। গ্যাসের ঘাটতির ফলে শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্যাস সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে এবং গ্যাসের ঊর্ধ্বমূল্য বিবেচনায় প্রয়োজনে বর্ধিতমূল্যে হলেও গ্যাস সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হয়। এমতাবস্থায় স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্য বিবেচনায় নিয়ে গত ১৮ জানুয়ারি এসআরও নং-১৪ আইন/২০২৩ অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ঘনমিটার, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকা ঘনমিটার নির্ধারণ করা হয়, যা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। সে লক্ষ্যে দেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য স্পট মার্কেট থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সর্বমোট ১২ কার্গো এলএনজি আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সূত্র জানায়, দেশের বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য রাস লাফ্ফান লিকুইডিফাইড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (কাতার গ্যাস) এবং ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের (বর্তমান নাম ওকিউটি) সাথে দু’টি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি গ্রহণ করা প্রয়োজন। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে আরপিজিসিএল থেকে এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী ২০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে মার্চ মাসের জন্য স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য কয়েকটি শর্ত জুড়ে দরপ্রস্তাব আহ্বান করে ই-মেইল করা হলে এতে ৬টি প্রতিষ্ঠান সাড়া দেয়। এর মধ্যে জাপানের জেইআরএ কোং ইনকরপোরেশন প্রতি এমএমবিটিইউর দাম ১৬.৫০০ ডলার উল্লেখ করে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে রেসপন্সিভ হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

৬৯০ কোটি টাকায় এক কার্গো এলএনজি আমদানি হচ্ছে

আপডেট সময় ১০:৫৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে জরুরি ভিত্তিতে স্পট মার্কেট থেকে আরো এক কার্গো লিকুইডিফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হচ্ছে। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে জাপানি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জেইআরএ কো: ইনকরপোরেশন থেকে এই এলএনজি আমদানি করা হবে। এক কার্গোতে এলএনজির পরিমাণ হচ্ছে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৬ দশমিক ৫০ ডলার হিসেবে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া ব্যয় হবে বাংলাদেশী মুদ্রায় ৫৯০ কোটি ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। এলএনজি আমদানিতে মোট করভার রয়েছে ১৭ শতাংশ। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ২ শতাংশ এআইটি। এই ভ্যাট-এআইটি খাতে ব্যয় ১০০ কোটি ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এর ফলে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে সর্বমোট ব্যয় হবে ৬৯০ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আগামী বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এলএনজি আমদানির এই উদ্যোগ ২০২৩ সালের দ্বিতীয়। চলতি বছর এর আগে আরো এক কার্গো এলএনজি আমদানি করা হয়। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজির মূল্য স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে বহুগুণে বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় বিশেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। গ্যাসের ঘাটতির ফলে শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্যাস সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে এবং গ্যাসের ঊর্ধ্বমূল্য বিবেচনায় প্রয়োজনে বর্ধিতমূল্যে হলেও গ্যাস সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হয়। এমতাবস্থায় স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্য বিবেচনায় নিয়ে গত ১৮ জানুয়ারি এসআরও নং-১৪ আইন/২০২৩ অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ঘনমিটার, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ও শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকা ঘনমিটার নির্ধারণ করা হয়, যা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। সে লক্ষ্যে দেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য স্পট মার্কেট থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সর্বমোট ১২ কার্গো এলএনজি আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সূত্র জানায়, দেশের বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের জন্য রাস লাফ্ফান লিকুইডিফাইড ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (কাতার গ্যাস) এবং ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের (বর্তমান নাম ওকিউটি) সাথে দু’টি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি গ্রহণ করা প্রয়োজন। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে আরপিজিসিএল থেকে এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী ২০টি প্রতিষ্ঠানের কাছে মার্চ মাসের জন্য স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য কয়েকটি শর্ত জুড়ে দরপ্রস্তাব আহ্বান করে ই-মেইল করা হলে এতে ৬টি প্রতিষ্ঠান সাড়া দেয়। এর মধ্যে জাপানের জেইআরএ কোং ইনকরপোরেশন প্রতি এমএমবিটিইউর দাম ১৬.৫০০ ডলার উল্লেখ করে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে রেসপন্সিভ হয়।