নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে। সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বিনাইরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- থানা পুলিশের পাঁচ সদস্য রফিকুল, নজরুল, নুরে আলম, আতিকুল ও আলমগীর। এছাড়া সাংবাদিক শাহজাহান কবির, গ্রামবাসী মিথুন ও আ: খালেক প্রমুখ।
আটকরা হলেন- ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম ও রিপন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার স্থানীয় এক মাদরাসার মাহফিলে ছোট বিনাইরচর গ্রামের এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে উজানগোপিন্দী গ্রামের লোকজন মারধর করেন। এ নিয়ে গত তিন দিন ধরে দুই গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে উজানগোপিন্দীর লোকজন কয়েকবার ছোট বিনাইরচরে হামলাও করেছেন। এর মধ্যে আজ সোমবার দুপুরে বিনাইরচরের মঞ্জুর কাজীর ছেলে মিথুন স্মার্ট কার্ড আনার জন্য উজানগোপিন্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে যান। সেখানে তাকে মারধর করেন উজানগোপিন্দীর লোকজন। একপর্যায়ে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ভুলতা-বিশনন্দী সড়কে এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
সূত্রে আরো জানা যায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত জনতা তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আট রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশের পাঁচজন সদস্য আহত হন।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার জানান, ‘পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।’