ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের নদীপাড়ায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) কালীগঞ্জ মেইন বাস্টান্ড এলাকার একটি হোমিও হল থেকে অ্যালকোহল নিয়ে পান করার
পর রাতের বিভিন্ন সময়ে মারা যান তারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ মেইন বাস্টান্ড এলাকার একটি হোমিও হল থেকে অ্যালকোহল পান করেন তিন যুবক। এরপর তারা অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। রাত ১১টার সময় আড়পাড়া নদীপাড়া গ্রামের মৃত হারুন খাঁর ছেলে ভাঙড়ী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর খাঁ (৩৮), এর আধা ঘণ্টা ব্যবধ্যানে ঝিনাইদহ সদরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একই এলাকার অনিল দাসের ছেলে রিকশাচালক বিপুল দাস (৪০)। আর মধ্যরাতে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকালে পাড়ার খোকন হোসেনের ছেলে ট্রাকড্রাইভার রাজিব হোসেন (২৪)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে শহরের নদীপাড়া ও ঢাকালেপাড়া এলাকার একাধিক ব্যাক্তির মৃত্যুর খবর পাওয় যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত্যুর সত্যতা মেলে।
নিহত জাহাঙ্গীর খাঁ রিজিয়া খাতুন জানায়, রাতে তার জাহাঙ্গীর অসুস্থ্য হলে তার বাড়িতে গিয়ে দেখেন শরীর ঘামছে। এ সময় মারাত্মক অস্বস্তিবোধ করে কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
অন্যজন বিপুল দাসের ছেলে লেগুনাচালক সজিব জানায়, বিকেল ৪টার সময় তার বাবা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে প্রথমে কালীগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ওই হাসপাতালের ডাক্তার তাকে রেফার্ড করলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেবার পর তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে ঢাকালে পাড়ার রাজীবকে প্রথমে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে তার ব্লাড প্রেসার ২৪০ থেকে ১২০ থাকায় তাকে যশোরে রিফার্ড করা হয়। যশোর সদর নেবার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার সময় তার মৃত্যু হয়। তবে নিহত তিনজনের পরিবারের সদস্যরা বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছেন।
নিহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কালীগঞ্জ থানার এসআই সেকেন্দার আলী বলেন, এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। তবে স্থানীয়দের মুখে বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে মৃত্যুর কথা শুনলেও ময়নাতদন্ত ছাড়া সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে না বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুর রহিম মোল্ল্যার বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে না বলেও জানান তিনি।