ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কুয়াশায় ঢাকা সারা দেশ, শৈত্য প্রবাহ শুরু আবারো

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৯:০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৬৩ বার পড়া হয়েছে

দেশের বিশাল অংশ মাঝারি ধরনের ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে গেছে। অন্য দিকে দেশের কয়েকটি জায়গায় আবারো শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশায় রাতে তো বটেই সকাল বেলায়ও নদী তীরবর্তী এলাকায় ১০ গজ দূরের বস্তু দেখা যাচ্ছে না, দৃষ্টিসীমা খুবই কাছে চলে এসেছে। ফলে নদীতে লঞ্চ, ফেরি ও কার্গো বোট চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রাতে যানবাহনের গতি কমে গেছে বলে দূরপাল্লার যানগুলো সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে না। ট্রাকের গতি কমে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে মালামাল পরিবহনে দেরি হয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিমানের শিডিউলেও বিপর্যয় ঘটছে।

দেশের তিন জেলায় আবারো শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এটি অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা নেমে এসেছে আরো চারটি জেলায়। শীতের পাশাপাশি আগামী কয়েক দিন দেশের নদী অববাহিকা ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বাড়তে পারে ঘন কুয়াশা। এসব অঞ্চলে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকলেও অনান্য অঞ্চলে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশের তিন জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও সিলেটে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। এ তিন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ৯ ডিগ্রি ও ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্য দিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে ১০ দশমিক ৬, নীলফামারীতে ১০ দশমিক ৮ ও রাজশাহীতে ১১ এবং রংপুরে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো: শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নয়া দিগন্তের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, কুয়াশার কারণে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া যানবাহনগুলো সময় মতো পৌঁছতে পারছে না। এমনকি দিনের বেলায়ও ঘন কুয়াশায় যান চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। শুধু দুপুরের দিকে কুয়াশা সামান্য একটু পাতলা হলেও বিকেল হতেই কুয়াশা ঘন হতে থাকে। কুয়াশায় দেশে কৃষিতে ফলন বিপর্যয়ও ঘটতে পারে যদি কুয়াশা দীর্ঘ সময় থাকে। ঋতুচক্রের এই সময়েই আমগাছে মুকুুল ধরতে শুরু করে। দীর্ঘ সময় কুয়াশা থাকলে মুকুল পরিপুষ্ট না হয়ে ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। আমচাষিদের এ সময়ে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অথবা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগাযোগ করে আমের মুকুল টিকিয়ে রাখার কৌশল জেনে নিতে হবে।

কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা গতকাল জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার থেকে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলো ঢেকে যেতে পারে ঘন কুয়াশায়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকেই চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার ওপর ঘন কুয়াশা এসে প্রবেশ করতে শুরু করে। বাংলাদেশে এই কুয়াশা আসছে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্য থেকে। সেখান থেকে পূর্ব দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার চাদর আরো বিস্তৃত হয়ে আজ মঙ্গলবার রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের সবগুলো জেলায় এবং ঢাকা ও খুলনা বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় প্রবেশ করার অশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, মাঝারি ধরনের ঘন কুয়াশা বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে কমপক্ষে তিন দিন লেগে যেতে পারে। তবে এবার বাংলাদেশের আকাশ থেকে কুয়াশা পুরোপুরি পরিষ্কার হতে পাঁচ দিন লেগে যেতে পারে। এরপর এটা পূর্ব-দক্ষিণ দিকে চলে যেতে পারে।

ঘন কুয়াশা থাকায় দিনের অধিকাংশ সময় মাটিতে সূর্যকিরণ পড়বে না। ফলে পরিবেশে যেটুকু তাপমাত্রা আছে তা শোষিত হয়ে বাড়িয়ে দেবে ঠাণ্ডা অনুভূতি। দেশব্যাপী অব্যাহত ঠাণ্ডার কারণে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সর্বত্রই মানুষ ভুগছে কাশি, জ্বর ও সর্দিতে। ঠাণ্ডার কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুতে হাসপাতালগুলো ভরে যাচ্ছে। নতুন করে সিট দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের প্রাইভেট চেম্বারেও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে আসছেন অভিভাবকরা। চিকিৎসকরা বলছেন, অসুখ হওয়ার আগেই অসুখকে প্রতিরোধ করাটাই ভালো। এই ঠাণ্ডায় নিজেকে গরমের মধ্যে রাখতে পারলে ঠাণ্ডাজনিত অসুখ হওয়ার শঙ্কা কমে যাবে। বিশেষ করে পানি পানের সময় ঠাণ্ডা পানি পান না করে গরম পানি পান করলে সবচেয়ে ভালো হবে। অন্য দিকে ঠাণ্ডাজাতীয় কোনো কিছু খেতে নিষেধ করেছেন চিকিৎসকরা। এমনকি গোসল করার সময় বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের গরম পানি দিয়ে গোসল করলে বা করালে যেমন আরাম বোধ করবে তেমনি ঠাণ্ডাজনিত রোগকে দূরে রাখবে।

গতকাল সোমবার সকাল থেকে কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজার জেলায় শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায়। চলতি শীতে পঞ্চগড় জেলায় বেশির ভাগ সময় ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আজ মঙ্গলবার তাপমাত্রার খুব বেশি পরিবর্তন না হলেও কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হতে পারে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

কুয়াশায় ঢাকা সারা দেশ, শৈত্য প্রবাহ শুরু আবারো

আপডেট সময় ০৯:০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

দেশের বিশাল অংশ মাঝারি ধরনের ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে গেছে। অন্য দিকে দেশের কয়েকটি জায়গায় আবারো শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশায় রাতে তো বটেই সকাল বেলায়ও নদী তীরবর্তী এলাকায় ১০ গজ দূরের বস্তু দেখা যাচ্ছে না, দৃষ্টিসীমা খুবই কাছে চলে এসেছে। ফলে নদীতে লঞ্চ, ফেরি ও কার্গো বোট চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রাতে যানবাহনের গতি কমে গেছে বলে দূরপাল্লার যানগুলো সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে না। ট্রাকের গতি কমে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে মালামাল পরিবহনে দেরি হয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিমানের শিডিউলেও বিপর্যয় ঘটছে।

দেশের তিন জেলায় আবারো শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এটি অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা নেমে এসেছে আরো চারটি জেলায়। শীতের পাশাপাশি আগামী কয়েক দিন দেশের নদী অববাহিকা ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বাড়তে পারে ঘন কুয়াশা। এসব অঞ্চলে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকলেও অনান্য অঞ্চলে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেশের তিন জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও সিলেটে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। এ তিন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ৯ ডিগ্রি ও ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্য দিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে ১০ দশমিক ৬, নীলফামারীতে ১০ দশমিক ৮ ও রাজশাহীতে ১১ এবং রংপুরে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো: শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নয়া দিগন্তের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, কুয়াশার কারণে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া যানবাহনগুলো সময় মতো পৌঁছতে পারছে না। এমনকি দিনের বেলায়ও ঘন কুয়াশায় যান চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। শুধু দুপুরের দিকে কুয়াশা সামান্য একটু পাতলা হলেও বিকেল হতেই কুয়াশা ঘন হতে থাকে। কুয়াশায় দেশে কৃষিতে ফলন বিপর্যয়ও ঘটতে পারে যদি কুয়াশা দীর্ঘ সময় থাকে। ঋতুচক্রের এই সময়েই আমগাছে মুকুুল ধরতে শুরু করে। দীর্ঘ সময় কুয়াশা থাকলে মুকুল পরিপুষ্ট না হয়ে ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। আমচাষিদের এ সময়ে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অথবা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগাযোগ করে আমের মুকুল টিকিয়ে রাখার কৌশল জেনে নিতে হবে।

কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা গতকাল জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার থেকে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলো ঢেকে যেতে পারে ঘন কুয়াশায়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকেই চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার ওপর ঘন কুয়াশা এসে প্রবেশ করতে শুরু করে। বাংলাদেশে এই কুয়াশা আসছে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্য থেকে। সেখান থেকে পূর্ব দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার চাদর আরো বিস্তৃত হয়ে আজ মঙ্গলবার রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের সবগুলো জেলায় এবং ঢাকা ও খুলনা বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় প্রবেশ করার অশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, মাঝারি ধরনের ঘন কুয়াশা বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে কমপক্ষে তিন দিন লেগে যেতে পারে। তবে এবার বাংলাদেশের আকাশ থেকে কুয়াশা পুরোপুরি পরিষ্কার হতে পাঁচ দিন লেগে যেতে পারে। এরপর এটা পূর্ব-দক্ষিণ দিকে চলে যেতে পারে।

ঘন কুয়াশা থাকায় দিনের অধিকাংশ সময় মাটিতে সূর্যকিরণ পড়বে না। ফলে পরিবেশে যেটুকু তাপমাত্রা আছে তা শোষিত হয়ে বাড়িয়ে দেবে ঠাণ্ডা অনুভূতি। দেশব্যাপী অব্যাহত ঠাণ্ডার কারণে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সর্বত্রই মানুষ ভুগছে কাশি, জ্বর ও সর্দিতে। ঠাণ্ডার কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুতে হাসপাতালগুলো ভরে যাচ্ছে। নতুন করে সিট দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের প্রাইভেট চেম্বারেও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে আসছেন অভিভাবকরা। চিকিৎসকরা বলছেন, অসুখ হওয়ার আগেই অসুখকে প্রতিরোধ করাটাই ভালো। এই ঠাণ্ডায় নিজেকে গরমের মধ্যে রাখতে পারলে ঠাণ্ডাজনিত অসুখ হওয়ার শঙ্কা কমে যাবে। বিশেষ করে পানি পানের সময় ঠাণ্ডা পানি পান না করে গরম পানি পান করলে সবচেয়ে ভালো হবে। অন্য দিকে ঠাণ্ডাজাতীয় কোনো কিছু খেতে নিষেধ করেছেন চিকিৎসকরা। এমনকি গোসল করার সময় বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের গরম পানি দিয়ে গোসল করলে বা করালে যেমন আরাম বোধ করবে তেমনি ঠাণ্ডাজনিত রোগকে দূরে রাখবে।

গতকাল সোমবার সকাল থেকে কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও মৌলভীবাজার জেলায় শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায়। চলতি শীতে পঞ্চগড় জেলায় বেশির ভাগ সময় ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আজ মঙ্গলবার তাপমাত্রার খুব বেশি পরিবর্তন না হলেও কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হতে পারে।