ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিএনপির ১৩ নেতা কারাগারে

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৯:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩
  • ১১৪৪ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীসহ দলটির ১৩ নেতার আগাম জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার স্থায়ী জামিনের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন ওই ১৩ নেতা। আদালত জামিন বাতিল করে সবাইকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদের শেষ দিন আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তারা। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া নেতারা হলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল আউয়াল চৌধুরী, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল আফছার জুয়েল, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মাহমুদ, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য গিয়াস উদ্দীন, বারৈয়াহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দীন লিটন, চট্রগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি নুরুল আলম কমান্ডার, মিরসরাই উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওমর শরিফ, চট্রগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শওকত আকবর সোহাগ, মিরসরাই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন রুবেল, মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব বোরহান উদ্দীন সবুজ ও হিংঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কাজী সালেহ আহম্মদ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় আগাম জামিন বাতিল করে সিনিয়র নেতাদের কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানাই। অবিলম্বে তাদের মুক্তি না দিলে উত্তর জেলা বিএনপি রাজপথে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। পুলিশ ও আদালতকে দলীয়করণ করে দমনপীড়ন চালিয়ে কখনো কোনো অবৈধ সরকারের শেষ রক্ষা হয়নি। এই সরকারেরও হবে না। সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার। মামলা-হামলা-গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাকর্মীরা ভয় পায় না। আগামীতে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।’

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরে ওই মামলা দায়ের করে পুলিশ। এ ঘটনায় চারটি মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

বিএনপির ১৩ নেতা কারাগারে

আপডেট সময় ০৯:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রাম মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীসহ দলটির ১৩ নেতার আগাম জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার স্থায়ী জামিনের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন ওই ১৩ নেতা। আদালত জামিন বাতিল করে সবাইকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদের শেষ দিন আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তারা। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া নেতারা হলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল আউয়াল চৌধুরী, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল আফছার জুয়েল, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মাহমুদ, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য গিয়াস উদ্দীন, বারৈয়াহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দীন লিটন, চট্রগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি নুরুল আলম কমান্ডার, মিরসরাই উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওমর শরিফ, চট্রগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শওকত আকবর সোহাগ, মিরসরাই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন রুবেল, মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব বোরহান উদ্দীন সবুজ ও হিংঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কাজী সালেহ আহম্মদ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় আগাম জামিন বাতিল করে সিনিয়র নেতাদের কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানাই। অবিলম্বে তাদের মুক্তি না দিলে উত্তর জেলা বিএনপি রাজপথে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। পুলিশ ও আদালতকে দলীয়করণ করে দমনপীড়ন চালিয়ে কখনো কোনো অবৈধ সরকারের শেষ রক্ষা হয়নি। এই সরকারেরও হবে না। সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার। মামলা-হামলা-গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাকর্মীরা ভয় পায় না। আগামীতে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।’

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরে ওই মামলা দায়ের করে পুলিশ। এ ঘটনায় চারটি মামলায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।