ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সেই ভয়াবহ হামলার জন্য ‘মোবাইল ফোন ব্যবহারকে’ দায়ী করল রাশিয়া

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৭১ বার পড়া হয়েছে

ইউক্রেনের দোনেৎস্কের মাকিভকায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর একটি ব্যারাকে ভয়াবহ হামলা চালায় ইউক্রেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ীই ওই হামলায় ৮৯ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। তবে ইউক্রেনের দাবি, ওইদিন একসঙ্গে ৪০০ সেনা নিহত হন।

গত ১ জানুয়ারি নতুন বছরের প্রথমদিনে হামলার ঘটনা ঘটে। কিভাবে ইউক্রেন এত শক্তিশালী হামলা চালালো সেটির কারণ খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। সেই তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, ব্যারাকে থাকা সেনারা লুকিয়ে নিষিদ্ধ মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় এ হামলা চালাতে সমর্থ হয়েছে ইউক্রেন। কারণ মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তাদের অবস্থান জেনে ফেলে ইউক্রেনীয় সেনারা।

এ ব্যাপারে একটি বিবৃতিতে তদন্ত কমিটি বলেছে, ‘কমিটি বিস্তারিত উদঘাটনের চেষ্টা করছে। কিন্তু এটি নিশ্চিত যে হামলার প্রধান কারণ ছিল মোবাইল ফোন। নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও অসংখ্য সেনা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন। যারা শত্রুদের হামলার সক্ষমতার আয়ত্বে ছিলেন।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ বিষয়টি সেনাদের অবস্থান জানতে ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে সহায়তা করেছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবহেলা প্রমাণিত হবে তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দোনেৎস্কের মাকিভকায় একটি ভোকেশনাল কলেজে নিজেদের অস্থায়ী ব্যারাক তৈরি করেছিল রাশিয়া। সেখানে রাখা হয়েছিল সদ্যই সেনাবাহিনীতে যুক্ত হওয়া সেনাদের। তাদের ওপর হঠাৎ করে ১ জানুয়ারি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইউক্রেন। এতে সেখানে অবস্থানরত বেশিরভাগই প্রাণ হারান।

নিহত ওই সেনাদের ভবনের পাশে একটি অস্ত্রের গুদাম ছিল। হামলায় সেটিও ধসে গেছে। এ ছাড়া এ হামলায় রেজিমেন্টের ডেপুটি কমান্ডার লেফটেনেন্ট কর্ণেল বাচুরিনও নিহত হয়েছেন।

রাশিয়ার সামরিক ব্লগার এবং রাজনীতিবিদরা এ হামলার পর কমান্ডারদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, এটি পুরোপুরি অবহেলার কারণে হয়েছে। এক জায়গায় একসঙ্গে এত সেনা রাখাটাও চরম ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন তারা।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

সেই ভয়াবহ হামলার জন্য ‘মোবাইল ফোন ব্যবহারকে’ দায়ী করল রাশিয়া

আপডেট সময় ১০:০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

ইউক্রেনের দোনেৎস্কের মাকিভকায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর একটি ব্যারাকে ভয়াবহ হামলা চালায় ইউক্রেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ীই ওই হামলায় ৮৯ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। তবে ইউক্রেনের দাবি, ওইদিন একসঙ্গে ৪০০ সেনা নিহত হন।

গত ১ জানুয়ারি নতুন বছরের প্রথমদিনে হামলার ঘটনা ঘটে। কিভাবে ইউক্রেন এত শক্তিশালী হামলা চালালো সেটির কারণ খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। সেই তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, ব্যারাকে থাকা সেনারা লুকিয়ে নিষিদ্ধ মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় এ হামলা চালাতে সমর্থ হয়েছে ইউক্রেন। কারণ মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তাদের অবস্থান জেনে ফেলে ইউক্রেনীয় সেনারা।

এ ব্যাপারে একটি বিবৃতিতে তদন্ত কমিটি বলেছে, ‘কমিটি বিস্তারিত উদঘাটনের চেষ্টা করছে। কিন্তু এটি নিশ্চিত যে হামলার প্রধান কারণ ছিল মোবাইল ফোন। নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও অসংখ্য সেনা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন। যারা শত্রুদের হামলার সক্ষমতার আয়ত্বে ছিলেন।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ বিষয়টি সেনাদের অবস্থান জানতে ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে সহায়তা করেছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবহেলা প্রমাণিত হবে তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দোনেৎস্কের মাকিভকায় একটি ভোকেশনাল কলেজে নিজেদের অস্থায়ী ব্যারাক তৈরি করেছিল রাশিয়া। সেখানে রাখা হয়েছিল সদ্যই সেনাবাহিনীতে যুক্ত হওয়া সেনাদের। তাদের ওপর হঠাৎ করে ১ জানুয়ারি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইউক্রেন। এতে সেখানে অবস্থানরত বেশিরভাগই প্রাণ হারান।

নিহত ওই সেনাদের ভবনের পাশে একটি অস্ত্রের গুদাম ছিল। হামলায় সেটিও ধসে গেছে। এ ছাড়া এ হামলায় রেজিমেন্টের ডেপুটি কমান্ডার লেফটেনেন্ট কর্ণেল বাচুরিনও নিহত হয়েছেন।

রাশিয়ার সামরিক ব্লগার এবং রাজনীতিবিদরা এ হামলার পর কমান্ডারদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, এটি পুরোপুরি অবহেলার কারণে হয়েছে। এক জায়গায় একসঙ্গে এত সেনা রাখাটাও চরম ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন তারা।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি