রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র-সজ্জিত করে একটি ফ্রিগেট পাঠিয়েছেন আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরের দিকে। ইউক্রেন যুদ্ধ অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে পুতিন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন।
পুতিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বুধবার অ্যাডমিরাল গরশকভ রণতরী যাত্রা শুরুর আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোইগু ও ফ্রিগেটটির কমান্ডার ইগোর ক্রোখমালও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
যুদ্ধযাত্রা শুরুর নির্দেশ দেয়ার আগে পুতিন বলেন, ‘এই জাহাজে সর্বাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘জিরকন’ রয়েছে। এর সাথে তুলনীয় কিছু নেই।’
তিনি বলেন, আমি আশা করছি যে ক্রুরা তাদের মাতৃভূমির কল্যাণে কাজ করে যাবে।
শোইগু বলেন, ফ্রিগেটটি আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগরে যাবে।
তিনি বলেন, এটি সাগর ও স্থলভাগে শত্রুর ওপর নিখুঁত ও শক্তিশালী হামলা চালাতে সক্ষম।
তিনি বলেন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অকার্যকর করে দিতে পারে। এর পাল্লা হাজার মাইলের চেয়ে বেশি।
হাইপারসনিক অস্ত্র শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি দ্রুত এগুতে পারে।
গত বছর রাশিয়া রণতরী ও সাবমেরিন থেকে জিরকনের পরীক্ষা চালিয়েছিল। হাইপারসনিক অস্ত্র নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সাথে পাল্লা রাশিয়া জিরকন নির্মাণ করেছে।
শোইগু বলেন, এই মিশনের প্রধান লক্ষ্য হবে রাশিয়ার হুমকিগুলো মোকাবেলা করা এবং বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সাথে একত্রে মিলে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে সহায়তা করা।
সূত্র : আলজাজিরা