ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নিরাপত্তা শঙ্কার অভিযোগ : হলে থাকতে চাচ্ছেন না ইবির সেই শিক্ষার্থী

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৯:৩০:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩
  • ১১৩২ বার পড়া হয়েছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগ শিক্ষার্র্থীকে হলের বৈধ সিট থেকে নামিয়ে দেয়ার ঘটনায় অভিযোগকারী শিক্ষার্থীকে হলে উঠিয়ে দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। তবে নিরাপত্তা শঙ্কায় হলে উঠতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থী।

সোমবার (৩ এপ্রিল) হলে উঠিয়ে দেয়ার জন্য অভিযোগকারী মাহাদী হাসানকে নিজ কার্যালয়ে ডাকেন হল হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম। এ সময় প্রভোস্টের কাছে অভিযোগ করায় তাকে ভৎসনা করা হয় বলে অভিযোগ তার।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, ‘প্রভোস্ট স্যারের ডাকে তার অফিসে গিয়ে দেখি সেখানে হল প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত আছেন। আমি সেখানে গেলে তারা, বিষয়টিকে তুচ্ছ দাবি করেন। এছাড়া এ বিষয়ে অভিযোগ করায় আমাকে ভৎসনা করেন তারা। পরে আমাকে হলে আমার বরাদ্দকৃত সিটে উঠিয়ে দেন। আমি আমার নিরাপত্তার বিষয়ে স্যারদের কাছে বললে তারা এবিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেননি।’

তিনি আরো জানান, ‘অফিস থেকে বের হয়ে ছাত্রলীগ নেতারা আমার ফোন চেক করেন। এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামের পোস্ট না করায় তারা আমাকে বলেন, তুমি কিসের ছাত্রলীগ করো, কোনো পোস্ট করো না কেন? এছাড়া আমি অভিযোগ করায় ছাত্রলীগের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে দাবি করে তারা অভিযোগ করার কারণ জানতে চান।’

তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না দেয়ায় আশঙ্কা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু ছাত্রলীগের ভাইদের বিপক্ষে অভিযোগ করেছি সেহেতু তারা তো আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। যে কোনো সময়ে আমাকে আবরারের মত শিবির আখ্যা দিয়ে মারধর করতেও পারে। তাই আমি নিরাপত্তার কথা ভেবে শহরে চলে এসেছি।’

এদিকে ভূক্তভোগীকে সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় বলে দাবি করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, প্রভোস্ট স্যার তাকে সিটে উঠিয়ে দিয়েছেন। নিরাপত্তার বিষয়ে স্যার তাকে বলেছেন। এখানে আমদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণই দেখি না। উপরন্তু ছাত্রলীগের কোনো প্রোগ্রামে পাওয়া না গেলেও সে নিজেকে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘তাকে আমরা হলে উঠিয়ে দিয়েছি এবং ছাত্রলীগের নেতাদেরকেও বলে দিয়েছি যেন তার কোনে সমস্যা না হয়। এছাড়া কোনো সমস্যা হলে আমাদের জানাতে বলেছি। শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের আমিই ডেকেছিলাম কিন্তু তারা আমার অফিসের বাইরে তাকে কি বলেছে তা আমি জানিনা।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

নিরাপত্তা শঙ্কার অভিযোগ : হলে থাকতে চাচ্ছেন না ইবির সেই শিক্ষার্থী

আপডেট সময় ০৯:৩০:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগ শিক্ষার্র্থীকে হলের বৈধ সিট থেকে নামিয়ে দেয়ার ঘটনায় অভিযোগকারী শিক্ষার্থীকে হলে উঠিয়ে দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। তবে নিরাপত্তা শঙ্কায় হলে উঠতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থী।

সোমবার (৩ এপ্রিল) হলে উঠিয়ে দেয়ার জন্য অভিযোগকারী মাহাদী হাসানকে নিজ কার্যালয়ে ডাকেন হল হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম। এ সময় প্রভোস্টের কাছে অভিযোগ করায় তাকে ভৎসনা করা হয় বলে অভিযোগ তার।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, ‘প্রভোস্ট স্যারের ডাকে তার অফিসে গিয়ে দেখি সেখানে হল প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত আছেন। আমি সেখানে গেলে তারা, বিষয়টিকে তুচ্ছ দাবি করেন। এছাড়া এ বিষয়ে অভিযোগ করায় আমাকে ভৎসনা করেন তারা। পরে আমাকে হলে আমার বরাদ্দকৃত সিটে উঠিয়ে দেন। আমি আমার নিরাপত্তার বিষয়ে স্যারদের কাছে বললে তারা এবিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেননি।’

তিনি আরো জানান, ‘অফিস থেকে বের হয়ে ছাত্রলীগ নেতারা আমার ফোন চেক করেন। এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামের পোস্ট না করায় তারা আমাকে বলেন, তুমি কিসের ছাত্রলীগ করো, কোনো পোস্ট করো না কেন? এছাড়া আমি অভিযোগ করায় ছাত্রলীগের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে দাবি করে তারা অভিযোগ করার কারণ জানতে চান।’

তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না দেয়ায় আশঙ্কা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু ছাত্রলীগের ভাইদের বিপক্ষে অভিযোগ করেছি সেহেতু তারা তো আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। যে কোনো সময়ে আমাকে আবরারের মত শিবির আখ্যা দিয়ে মারধর করতেও পারে। তাই আমি নিরাপত্তার কথা ভেবে শহরে চলে এসেছি।’

এদিকে ভূক্তভোগীকে সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় বলে দাবি করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, প্রভোস্ট স্যার তাকে সিটে উঠিয়ে দিয়েছেন। নিরাপত্তার বিষয়ে স্যার তাকে বলেছেন। এখানে আমদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণই দেখি না। উপরন্তু ছাত্রলীগের কোনো প্রোগ্রামে পাওয়া না গেলেও সে নিজেকে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘তাকে আমরা হলে উঠিয়ে দিয়েছি এবং ছাত্রলীগের নেতাদেরকেও বলে দিয়েছি যেন তার কোনে সমস্যা না হয়। এছাড়া কোনো সমস্যা হলে আমাদের জানাতে বলেছি। শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের আমিই ডেকেছিলাম কিন্তু তারা আমার অফিসের বাইরে তাকে কি বলেছে তা আমি জানিনা।’