ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। এধরনের ঘোষণার পর এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা বা তাদের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করা যুক্তরাজ্যে ফৌজদারি অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি টেলিগ্রাফে এমন একটি খবর বেরুনোর পর লন্ডনে সরকারি সূত্রগুলো অবশ্য বলেছে, এ ঘোষণা খুব শিগগির আসছে না এবং এর অনেক খুঁটিনাটি দিক এখনো পরীক্ষা করে দেখা বাকি রয়েছে।
তবে সূত্রগুলো বলছে ‘এটা ব্যাপক অর্থে সঠিক’ খবর যে ব্রিটিশ সরকার আইজিআরসিকে নিষিদ্ধ করতে চাইছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো গত বছর ব্রিটিশ নাগরিক বা ব্রিটেনে থাকেন এমন কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১০টি পরিকল্পনার কথা উদ্ধৃত করে বলেছে যে- ইরান যুক্তরাজ্যের প্রতি সরাসরি হুমকির কারণ।
গত নভেম্বর মাসে প্রকাশিত কিছু রিপোর্টে বলা হয়, একটি ইরানি ঘাতক দল লন্ডনে ব্রিটিশ ইরানি সাংবাদিকদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করছে।
গত সপ্তাহেই আইজিআরসি ইরানে এমন সাত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে যাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক আছে । ইরান জুড়ে গত কয়েক মাসে যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে তার সঙ্গে সম্পর্কিত কারণে এদের গ্রেফতার করা হয়।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি গত মাসে ঘোষণা করেছেন যে পুরো আইজিআরসি সংগঠনটির ওপরই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেবার জন্য সরকারের ওপর পার্লামেন্টের চাপ বাড়ছিল।
ব্রিটেনে ২০০০ সালের সন্ত্রাসবিষয়ক আইনের আওতায় এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করা হয়ে থাকে।
এ ক্ষেত্রে সরকার যে শুধু কোন সংগঠনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই পর্যালোচনা করবে তা নয়- যুক্তরাজ্য এবং বিদেশে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকদের প্রতি সুনির্দিষ্টভাবে কী হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে তাও বিবেচনা করা হয়।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ইসলামিক রিভোলিউশনারি গার্ড কোর বা আইজিআরসি-কে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করেছে।
এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন বাহিনীকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে ঘোষণা করে।