ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সন্ধ্যায় ‘বিদায়’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট ছাত্রলীগ নেতার, ভোরে মৃত্যু

সন্ধ্যায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার ১০ ঘণ্টা পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাবিল হায়দারের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, তার সাধারণ মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে তার ফেসবুক স্ট্যাটাস অনেকের মাঝেই ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি ভাড়া বাসায় মৃত্যু হয় নাবিল হায়দারের। তার বাড়ি ভোলায়, থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে।

নাবিলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে রাজধানীর একটি ভাড়া বাসায় তার মৃত্যু হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আজ সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তার লাশ ভাই ও বাবার হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামীকাল সকালে তার গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।

মৃত্যু না কি আত্মহত্যা এ প্রশ্নের জবাবে ঢাবি প্রক্টর বলেন, নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ফেসবুকে স্ট্যাটাসটি দেখে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে বন্ধু-বান্ধবদের অনেকের দাবি নাবিল তার মৃত্যুর বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলেন, তাই তিনি এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

নাবিলের বড় ভাই তওসিফ উদ্দিন তনয় শুক্রবার সকালে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার নাবিল খিলগাঁওয়ে তার এক বন্ধুর বাসায় ছিল। ফেসবুকে ওই স্ট্যাটাস দেখে তার সাথে যোগাযোগ করে ওই বাসায় গিয়ে দেখা করে আসি। তখন তাকে স্বাভাবিক অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। নাবিলের এমন স্ট্যাটাসে সন্দেহ হলে তাকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসতে বললে সে আসতে অস্বীকৃতি জানায়।

তিনি আরো বলেন, তখন বন্ধুরাও আমাকে আশ্বস্ত করেন যে, তারা আছেন সমস্যা নেই। পরে রাত ৮টার দিকে আমি ওই বাসা থেকে বের হয়ে আসি। তারপর ভোর রাতের দিকে তার বন্ধু আমাকে ফোন করে জানায়, নাবিল অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে নাবিলের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে ঘিরে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেক। এদিকে দীর্ঘ দিনের রাজনীতিতে যুক্ত থাকা ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগও শোক বার্তা দিয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিটে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন নাবিল হায়দার। সেখানে তিনি লিখেন, ‘বিদায়’। এ পোস্টের সাথে ভাঙা ফ্রেমের একটি চশমার ছবি যুক্ত করেন তিনি। স্ট্যাটাসের ১০ ঘণ্টা পর ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান নাবিল।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

সন্ধ্যায় ‘বিদায়’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট ছাত্রলীগ নেতার, ভোরে মৃত্যু

আপডেট সময় ০৭:১১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩

সন্ধ্যায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার ১০ ঘণ্টা পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাবিল হায়দারের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, তার সাধারণ মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে তার ফেসবুক স্ট্যাটাস অনেকের মাঝেই ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি ভাড়া বাসায় মৃত্যু হয় নাবিল হায়দারের। তার বাড়ি ভোলায়, থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে।

নাবিলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে রাজধানীর একটি ভাড়া বাসায় তার মৃত্যু হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আজ সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তার লাশ ভাই ও বাবার হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামীকাল সকালে তার গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।

মৃত্যু না কি আত্মহত্যা এ প্রশ্নের জবাবে ঢাবি প্রক্টর বলেন, নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ফেসবুকে স্ট্যাটাসটি দেখে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে বন্ধু-বান্ধবদের অনেকের দাবি নাবিল তার মৃত্যুর বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলেন, তাই তিনি এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

নাবিলের বড় ভাই তওসিফ উদ্দিন তনয় শুক্রবার সকালে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার নাবিল খিলগাঁওয়ে তার এক বন্ধুর বাসায় ছিল। ফেসবুকে ওই স্ট্যাটাস দেখে তার সাথে যোগাযোগ করে ওই বাসায় গিয়ে দেখা করে আসি। তখন তাকে স্বাভাবিক অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। নাবিলের এমন স্ট্যাটাসে সন্দেহ হলে তাকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসতে বললে সে আসতে অস্বীকৃতি জানায়।

তিনি আরো বলেন, তখন বন্ধুরাও আমাকে আশ্বস্ত করেন যে, তারা আছেন সমস্যা নেই। পরে রাত ৮টার দিকে আমি ওই বাসা থেকে বের হয়ে আসি। তারপর ভোর রাতের দিকে তার বন্ধু আমাকে ফোন করে জানায়, নাবিল অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে নাবিলের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে ঘিরে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেক। এদিকে দীর্ঘ দিনের রাজনীতিতে যুক্ত থাকা ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগও শোক বার্তা দিয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিটে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন নাবিল হায়দার। সেখানে তিনি লিখেন, ‘বিদায়’। এ পোস্টের সাথে ভাঙা ফ্রেমের একটি চশমার ছবি যুক্ত করেন তিনি। স্ট্যাটাসের ১০ ঘণ্টা পর ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান নাবিল।