সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি জাল দলিল করে বিক্রির মামলায় এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত এবং তিনটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্তসহ আট মামলার আসামি রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং তাজহাট মেট্রোপলিটন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আলম শিপলুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিপলুকে মামলার ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, বাড়ি নির্মাণে বাধা দেয়া, ভাঙচুর, মারপিট, চাঁদাবাজির অভিযোগে ২৪৪/২২ এবং ১৮১/২২ নম্বর মামলা এবং বিদ্যুৎ কোর্টে বিল বকেয়া রাখার কারণে ৪০৫৪/২১ নম্বর মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। ওই কারণে তাকে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায়
নগরীর বিনোদপুর এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও তিনি একটি মামলার এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ওয়ারেন্টগুলো আগেই আদালত জারি করলেও প্রক্রিয়াগতভাবে ওয়ারেন্টগুলো আমাদের কাছে না থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে আদালত থেকে প্রাপ্ত হওয়ার পর পরই তাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার(৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় আটটি পুলিশ ভ্যানে করে জাকারিয়া আলম শিপলুর বিনোদপুরস্থ বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান পরিচালনা করে মেট্রোপলিটন পুলিশ। একপর্যায়ে সেখানে আনা হয় সাজোয়া যান।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযানের খবর পেয়ে শিপলু বাহিনীর লোকজন বাড়ির সামনে এসে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে অভিযান বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় অনেককে মুখে গামছা ও কাপড় বেঁধেও অবস্থান নিতে দেখা যায়।
রাত সাড়ে ৯টায় কাউন্সিলর শিপলু বাড়ির দোতলা থেকে নিচে নেমে আসেন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সেখানে অবস্থান নেয়া অধিকাংশই টোকাই এবং শিপলু বাহিনীর সদস্য। তারা সেখানে বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পুলিশকে উত্তেজিত করারও চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুলিশ ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে।
অভিযানে বাধা দেয়া প্রসঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা আবু মারুফ হোসেন জানান, অনেকেরই অনেক ফ্যান ফলোয়ার থাকে। কাউন্সিলর শিপলু সাহেবের লোকজন সেখানে জড়ো হয়েছিল। তবে তারা কোনো শক্তিপ্রয়োগ করেনি।