ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

লাইলাতুল কদর

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:৩৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • ১১৩১ বার পড়া হয়েছে

সৃষ্টির শুরু থেকে আল্লাহর নির্ধারিত প্রতি বছরে ১২ মাসের মধ্যে পবিত্র রমজান মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন- ‘আমি এ কুরআনকে নাজিল করেছি কদরের রাত্রিতে; কদরের রাত্রি সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত্রি হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।’ (সূরা কদর : ১-৩)

আল্লাহ যত বড় তার ঘোষণা তত বড়। অর্থাৎ কদরের রাত্রির মর্যাদা যে কত বেশি তা আল্লাহই ভালো জানেন। আল্লাহ তার মু’মিন বান্দাদের খুব বেশি ভালোবাসেন বলেই এত মর্যাদাপূর্ণ একটি রাত্রি এই রমজান মাসে উম্মাতি মুহাম্মাদি সা:-কে দান করেছেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের আখেরি নবীর উম্মত করে শেষ জামানায় এ দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। আমাদের হায়াত খুবই কম। যেমন বেশির ভাগ মানুষ ৭০-৮০ বছরের মধ্যেই পরকালে গমন করে থাকেন অর্থাৎ মৃত্যুবরণ করে থাকেন। কিন্তু অন্যান্য নবীর উম্মতদের হায়াত অনেক বেশি ছিল। যেমন- হজরত নূহ আ:-এর উম্মতরা ৮০০ থেকে হাজার বছর হায়াত পেয়েছিলেন। সে দিক থেকে আমাদের হায়াত খুবই কম। তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দয়া করে আমাদেরকে প্রতি বছর রমজান মাসে শবেকদর নামের মহিমান্বিত রজনী দান করেছেন যা হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। যাতে করে আমরা এই শবেকদরের কদরদানি করে অর্থাৎ রমজান মাসের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শবেকদরের অন্বেষণ করার জন্য বেশি বেশি ইবাদত করে পূর্ববর্তী নবীদের উম্মতদের চেয়ে বেশি লাভবান হতে পারি। তাই প্রতি রাতে খতমে তারাবিতে অংশগ্রহণ করা, শেষ রাতে তাহাজ্জুদের সালাত পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা, জিকির করা ও রাসূল সা:-এর শানে দরুদ পাঠ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

বিশেষ করে রাসূল সা: বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ ১০ রাতের বেজোড় রাতে শবেকদরের অন্বেষণ করো।’ অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ রমজানে রাতের বেলা বেশি বেশি নফল সালাত, শেষ রাতে তাহাজ্জুদের সালাত আদায়, কুরআন তিলাওয়াত করা এবং রাসূল সা:-এর শানে সালাত ও সালাম পেশ করে শবেকদরের রাত অতিবাহিত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করা।
রাসূল সা: বলেছেন, ‘‘রোজাদারদের জন্য জান্নাতে বিশেষ একটি দরজা আছে যার নাম ‘রাইয়ান’। এই দরজা দিয়ে কেবল রোজাদাররাই প্রবেশ করবে, অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। যখন সর্বশেষ রোজাদার ব্যক্তি তা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করে ফেলবে তখন সে দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। যে সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে সে জান্নাতের পানীয় পান করবে। আর যে সেই পানীয় পান করবে সে আর কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না।’ (সুনানে নাসায়ি-১/২৪১)

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের রোজা পালন করে ও শবেকদরের কদরদানি করে ‘রাইয়ান’ নামক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করার তৌফিক দান করুন, আমিন।

লেখক :

  • এম এম আবদুল হক

অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র টিটিই (হিসাব) চট্টগ্রাম

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

লাইলাতুল কদর

আপডেট সময় ১০:৩৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

সৃষ্টির শুরু থেকে আল্লাহর নির্ধারিত প্রতি বছরে ১২ মাসের মধ্যে পবিত্র রমজান মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন- ‘আমি এ কুরআনকে নাজিল করেছি কদরের রাত্রিতে; কদরের রাত্রি সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত্রি হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।’ (সূরা কদর : ১-৩)

আল্লাহ যত বড় তার ঘোষণা তত বড়। অর্থাৎ কদরের রাত্রির মর্যাদা যে কত বেশি তা আল্লাহই ভালো জানেন। আল্লাহ তার মু’মিন বান্দাদের খুব বেশি ভালোবাসেন বলেই এত মর্যাদাপূর্ণ একটি রাত্রি এই রমজান মাসে উম্মাতি মুহাম্মাদি সা:-কে দান করেছেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের আখেরি নবীর উম্মত করে শেষ জামানায় এ দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। আমাদের হায়াত খুবই কম। যেমন বেশির ভাগ মানুষ ৭০-৮০ বছরের মধ্যেই পরকালে গমন করে থাকেন অর্থাৎ মৃত্যুবরণ করে থাকেন। কিন্তু অন্যান্য নবীর উম্মতদের হায়াত অনেক বেশি ছিল। যেমন- হজরত নূহ আ:-এর উম্মতরা ৮০০ থেকে হাজার বছর হায়াত পেয়েছিলেন। সে দিক থেকে আমাদের হায়াত খুবই কম। তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দয়া করে আমাদেরকে প্রতি বছর রমজান মাসে শবেকদর নামের মহিমান্বিত রজনী দান করেছেন যা হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। যাতে করে আমরা এই শবেকদরের কদরদানি করে অর্থাৎ রমজান মাসের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শবেকদরের অন্বেষণ করার জন্য বেশি বেশি ইবাদত করে পূর্ববর্তী নবীদের উম্মতদের চেয়ে বেশি লাভবান হতে পারি। তাই প্রতি রাতে খতমে তারাবিতে অংশগ্রহণ করা, শেষ রাতে তাহাজ্জুদের সালাত পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা, জিকির করা ও রাসূল সা:-এর শানে দরুদ পাঠ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

বিশেষ করে রাসূল সা: বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ ১০ রাতের বেজোড় রাতে শবেকদরের অন্বেষণ করো।’ অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ রমজানে রাতের বেলা বেশি বেশি নফল সালাত, শেষ রাতে তাহাজ্জুদের সালাত আদায়, কুরআন তিলাওয়াত করা এবং রাসূল সা:-এর শানে সালাত ও সালাম পেশ করে শবেকদরের রাত অতিবাহিত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করা।
রাসূল সা: বলেছেন, ‘‘রোজাদারদের জন্য জান্নাতে বিশেষ একটি দরজা আছে যার নাম ‘রাইয়ান’। এই দরজা দিয়ে কেবল রোজাদাররাই প্রবেশ করবে, অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। যখন সর্বশেষ রোজাদার ব্যক্তি তা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করে ফেলবে তখন সে দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। যে সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে সে জান্নাতের পানীয় পান করবে। আর যে সেই পানীয় পান করবে সে আর কখনো তৃষ্ণার্ত হবে না।’ (সুনানে নাসায়ি-১/২৪১)

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের রোজা পালন করে ও শবেকদরের কদরদানি করে ‘রাইয়ান’ নামক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করার তৌফিক দান করুন, আমিন।

লেখক :

  • এম এম আবদুল হক

অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র টিটিই (হিসাব) চট্টগ্রাম