ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কমেছে সবজি মুরগি ও চালের দাম

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৪১ বার পড়া হয়েছে

দীর্ঘদিন ধরে বাড়তে থাকা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বাজারে অনেক শীতের সবজির সরবরাহ থাকায় কমেছে সবজির দামও। মুরগির দামও কমেছে কেজিতে ১০-২০ টাকা। কৃষকের গোলায় নতুন ধান ওঠায় চালের দামও কিছুটা কমেছে। এতে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন পেঁয়াজ আসায় নতুন-পুরনো সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে, পেঁয়াজ কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি ও ফুলকপি প্রতিটি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, দেশী পাকা টমেটো কেজি ৫০ থেকে ৬০, শিম ৪০ থেকে ৫০, বেগুন মানভেদে ৪০ থেকে ৫০, শসা ৫০, করলা ৬০, নতুন বড় আলু ৩০, মুলা ৩০, গাজর ৫০ থেকে ৬০, কাঁচা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ ও কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আমন ধানের নতুন চাল পাইকারি বাজারে আসতে শুরু করায় দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে এখন মোটা চাল ব্রি-২৮, পাইজাম ও স্বর্ণা বস্তায় (৫০ কেজি) ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে, ব্রি-২৮ নতুন চালের বস্তা (৫০ কেজি) বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৪৫০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৭৫০ টাকা, পাইজাম ও স্বর্ণা নতুন চালের বস্তা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ৩৫০ টাকা, আগে এর দাম ছিল দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৫৫০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে বর্তমানে পর্যাপ্ত চালের মজুদ আছে, সামনে চালের দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই, আগের তুলনায় নতুন মোটা চাল এখন বস্তায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কমেছে, পাশাপাশি নতুন সুগন্ধি চালের দামও বস্তায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কমেছে।

বাজারে খোলা আটা কেজি ৬০ টাকা ও প্যাকেট আটা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, দেশী চিকন মসুর ডাল ১৪০ ও মোটা মসুর ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, খোলা চিনি এখনো সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে আট থেকে ১৩ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে, খোলা চিনি কেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫০ ও সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, দেশী মুরগি প্রতিটি ৪৬০ থেকে ৪৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে, গত সপ্তাহে ডিমের ডজন ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৬৮০-৭২০ টাকা এবং খাসির গোশত ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে। পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকা, কক মুরগি ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা পিস।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ আকার ভেদে বিক্রি করা হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়। পাঙ্গাশ মাছ প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। দেড় কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতি কেজি ২২০ টাকা, বড় রুইয়ের কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় কাতলা মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, শিং মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০, বোয়াল মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪৫০, পাবদা মাছ আকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, কাঁচকি মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের কই মাছ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

কমেছে সবজি মুরগি ও চালের দাম

আপডেট সময় ১১:০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

দীর্ঘদিন ধরে বাড়তে থাকা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বাজারে অনেক শীতের সবজির সরবরাহ থাকায় কমেছে সবজির দামও। মুরগির দামও কমেছে কেজিতে ১০-২০ টাকা। কৃষকের গোলায় নতুন ধান ওঠায় চালের দামও কিছুটা কমেছে। এতে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন পেঁয়াজ আসায় নতুন-পুরনো সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে, পেঁয়াজ কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি ও ফুলকপি প্রতিটি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, দেশী পাকা টমেটো কেজি ৫০ থেকে ৬০, শিম ৪০ থেকে ৫০, বেগুন মানভেদে ৪০ থেকে ৫০, শসা ৫০, করলা ৬০, নতুন বড় আলু ৩০, মুলা ৩০, গাজর ৫০ থেকে ৬০, কাঁচা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ ও কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আমন ধানের নতুন চাল পাইকারি বাজারে আসতে শুরু করায় দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে এখন মোটা চাল ব্রি-২৮, পাইজাম ও স্বর্ণা বস্তায় (৫০ কেজি) ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হচ্ছে, ব্রি-২৮ নতুন চালের বস্তা (৫০ কেজি) বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৪৫০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৭৫০ টাকা, পাইজাম ও স্বর্ণা নতুন চালের বস্তা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ৩৫০ টাকা, আগে এর দাম ছিল দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৫৫০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে বর্তমানে পর্যাপ্ত চালের মজুদ আছে, সামনে চালের দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই, আগের তুলনায় নতুন মোটা চাল এখন বস্তায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কমেছে, পাশাপাশি নতুন সুগন্ধি চালের দামও বস্তায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কমেছে।

বাজারে খোলা আটা কেজি ৬০ টাকা ও প্যাকেট আটা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, দেশী চিকন মসুর ডাল ১৪০ ও মোটা মসুর ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, খোলা চিনি এখনো সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে আট থেকে ১৩ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে, খোলা চিনি কেজি ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫০ ও সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, দেশী মুরগি প্রতিটি ৪৬০ থেকে ৪৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে, গত সপ্তাহে ডিমের ডজন ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৬৮০-৭২০ টাকা এবং খাসির গোশত ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে। পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকা, কক মুরগি ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা পিস।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ আকার ভেদে বিক্রি করা হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়। পাঙ্গাশ মাছ প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। দেড় কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতি কেজি ২২০ টাকা, বড় রুইয়ের কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় কাতলা মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, শিং মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০, বোয়াল মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪৫০, পাবদা মাছ আকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, কাঁচকি মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের কই মাছ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।