ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

দাওরায়ে হাদিসের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮০.৪৪ শতাংশ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩
  • ১১২৫ বার পড়া হয়েছে

কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে পাসের হার ৮০.৪৪ শতাংশ।

বুধবার দুপুরে আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা কর হয়।

বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান ফলাফল ঘোষণা করেন। পরীক্ষা মনিটরিং সেলের সদস্যবৃন্দ, পরীক্ষা উপকমিটির সদস্যবৃন্দ এবং নিরীক্ষকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এবারের পরীক্ষায় মোট দুই হাজার ২৪৮টি মাদরাসার শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ১৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৫ হাজার ৮৩৩ জন এবং ছাত্রী ১২ হাজার ১৮৫ জন।

পরীক্ষায় মুমতাজ বা স্টার মার্ক পেয়েছেন এক হাজার ১৯৭ জন। জায়্যিদ জিদ্দান (প্রথম বিভাগ) পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৭০০ জন। জায়্যিদ (দ্বিতীয় বিভাগ) পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৯১ জন। মাকবুল (তৃতীয় বিভাগ) পেয়েছেন চার হাজার ৭৫১ জন। ফেল করেছেন পাঁচ হাজার ৪৭৯ জন।

আল হাইআতুল উলয়ার নিজস্ব ওয়েবসাইটে (https://alhaiatululya.com) ফলাফল পাওয়া যাবে। মোবাইল ফোনের মেসেজের মাধ্যমেও ফলাফল পাওয়া যাবে। যেকোনো নম্বর থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে HTR (স্পেস) রোল নম্বর লিখে Send করতে হবে ২৯৯৩৩ নম্বরে।

নিচের লিংকে প্রবেশ করে ব্যক্তিগত ও মাদরাসার ফলাফল দেখা যাবে: https://hems.alhaiatululya.org https://hems.alhaiatululya.org/exam-result সকল মাদরাসার অ্যাডমিন নিজ নিজ আইডিতে প্রবেশ করে স্ব স্ব মাদরাসার ফলাফল প্রিন্ট করতে পারবেন।

গত ৫ মার্চ শুরু হয়ে ১৬ মার্চ শেষ হয় এবারের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা। মোট ২৩১টি কেন্দ্রে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

কওমি মাদরাসাগুলোর একাধিক বোর্ড থাকায় আগে ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষা নেয়া হতো। ফলাফলও ঘোষণা করা হতো ভিন্ন ভিন্নভাবে। তবে ২০১৭ সালে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে সরকার মাস্টার্সের সমমান দেয়ার পর নিয়ন্ত্রক বোর্ড হিসেবে আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে। তখন থেকে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আরবি শাবান মাসে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং শাওয়ালের শুরুতে ঘোষণা করা হয় ফলাফল।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

দাওরায়ে হাদিসের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮০.৪৪ শতাংশ

আপডেট সময় ০৭:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে পাসের হার ৮০.৪৪ শতাংশ।

বুধবার দুপুরে আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষার ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা কর হয়।

বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান ফলাফল ঘোষণা করেন। পরীক্ষা মনিটরিং সেলের সদস্যবৃন্দ, পরীক্ষা উপকমিটির সদস্যবৃন্দ এবং নিরীক্ষকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এবারের পরীক্ষায় মোট দুই হাজার ২৪৮টি মাদরাসার শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ১৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৫ হাজার ৮৩৩ জন এবং ছাত্রী ১২ হাজার ১৮৫ জন।

পরীক্ষায় মুমতাজ বা স্টার মার্ক পেয়েছেন এক হাজার ১৯৭ জন। জায়্যিদ জিদ্দান (প্রথম বিভাগ) পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৭০০ জন। জায়্যিদ (দ্বিতীয় বিভাগ) পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৯১ জন। মাকবুল (তৃতীয় বিভাগ) পেয়েছেন চার হাজার ৭৫১ জন। ফেল করেছেন পাঁচ হাজার ৪৭৯ জন।

আল হাইআতুল উলয়ার নিজস্ব ওয়েবসাইটে (https://alhaiatululya.com) ফলাফল পাওয়া যাবে। মোবাইল ফোনের মেসেজের মাধ্যমেও ফলাফল পাওয়া যাবে। যেকোনো নম্বর থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে HTR (স্পেস) রোল নম্বর লিখে Send করতে হবে ২৯৯৩৩ নম্বরে।

নিচের লিংকে প্রবেশ করে ব্যক্তিগত ও মাদরাসার ফলাফল দেখা যাবে: https://hems.alhaiatululya.org https://hems.alhaiatululya.org/exam-result সকল মাদরাসার অ্যাডমিন নিজ নিজ আইডিতে প্রবেশ করে স্ব স্ব মাদরাসার ফলাফল প্রিন্ট করতে পারবেন।

গত ৫ মার্চ শুরু হয়ে ১৬ মার্চ শেষ হয় এবারের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা। মোট ২৩১টি কেন্দ্রে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

কওমি মাদরাসাগুলোর একাধিক বোর্ড থাকায় আগে ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষা নেয়া হতো। ফলাফলও ঘোষণা করা হতো ভিন্ন ভিন্নভাবে। তবে ২০১৭ সালে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে সরকার মাস্টার্সের সমমান দেয়ার পর নিয়ন্ত্রক বোর্ড হিসেবে আল হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে। তখন থেকে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আরবি শাবান মাসে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং শাওয়ালের শুরুতে ঘোষণা করা হয় ফলাফল।