কক্সবাজারের চকরিয়ায় এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে লুট হওয়া অস্ত্রও।
মঙ্গলবার রাত ১২টার সময় উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা হাফালিয়াকাটা এলাকায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। আহত তিন পুলিশ সদস্য হলেন- হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. শামিম আল মামুন (৩৫), কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম (২৬) ও কনস্টেবল মো. মামুন (২৮)। এ হামলার ঘটনায় বুধবার ভোররাত পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
থানা পুলিশ জানায়, চকরিয়া থানার আওতাধীন উপজেলার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. শামিম আল মামুনের নেতৃত্বে তিন পুলিশ সদস্য মঙ্গলবার রাতে নিয়মিত টহল দিতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে বের হয়ে বরইতলী-মগনামা সড়কের দিকে যান। এসময় সড়কের হাফালিয়াকাটা এলাকায় পৌঁছলে ওই এলাকার রশিদ আহমদের ছেলে মো. রাকিব (২০) নামে এক যুবককে ছুরি হাতে দেখতে পায়। পুলিশ গাড়ি থামিয়ে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে দৌঁড়ে বাড়িতে চলে যায়।
এসময় পুলিশও তার পিছু নেয়। এক পর্যায়ে রাকিব চিৎকার করে বলতে থাকে- তাকে পুলিশে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এমন খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন দা-ছুরি-লোহার রড নিয়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় পুলিশের শটগানও কেড়ে নেয় তারা। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনার রাতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে খোয়া যাওয়া অস্ত্রও উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা করা হচ্ছে।