ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আরসা প্রধানসহ ৮ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিলে ১০ লাখ টাকা পুরষ্কার

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩
  • ১১২২ বার পড়া হয়েছে

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিসহ আট সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে টেকনাফের নেচার পার্ক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পোস্টার লাগানো হয়েছে। এই আট সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়। সচেতন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ব্যানারে এসব পোস্টার লাগানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফের দমমিয়া নেচার পার্কসহ বিভিন্ন ক্যাম্পে এ ধরনের পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা ১৬-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জামাল পাশা।

তিনি জানান, ‘ওসব পোস্টার বিভিন্ন ক্যাম্পে দেয়া হয়েছে। তবে তা আমরা প্রকাশ করিনি। পোস্টারে থাকা ব্যক্তিরা আরসা সন্ত্রাসী। আমরা তাদের ধরার চেষ্টা করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থানে আমাদের নজরদারি আছে। গোয়েন্দা তৎপরতাও রয়েছে। তাদের দেখা গেছে, এমন খবর এলে গ্রেফতার করা হবে।’

পোস্টারে থাকা ব্যক্তিরা হলেন আরকান রোহিঙ্গা স্যালভ্যাশন আর্মির প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি, মাওলানা আকিজ, শামসু উদ্দিন, মৌলভী মোস্তাক আহমেদ, রহমত উল্লাহ মুসা, নুর কামাল ওরফে সমি উদ্দিন, মৌলভী মোস্তাক আহমেদ ও ওস্তাদ খালেদ।

রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, পোস্টারে বার্মিজ ভাষায় লেখা ছিল, তারা সন্ত্রাসী। এদের ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান রইল। যদি কোনো ক্যাম্পে কেউ তাদের দেখতে পায়, তাহলে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করার জন্য বলা হলো। তাদের ক্যাম্পে দেখার তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে পাঁচ লাখ এবং ধরিয়ে দিলে ১০ লাখ টাকা দেয়া হবে।

স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ নুর বলেন, ‘আজ সকাল থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পের ব্লকে ব্লকে এ ধরনের পোস্টার দেখেছি। যেখানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরেও এসেছে।’

নেচার পার্ক ক্যাম্পের বাসিন্দা নুর আলম বলেন, ‘পোস্টারে যাদের ছবি আছে, তারা সবাই আরসা সন্ত্রাসী। বিশেষ করে তারা উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের গ্রেফতার করতে পারলে ক্যাম্পে শান্তি ফিরবে। আমরাও চেষ্টা করছি তাদের ধরিয়ে দিতে। ক্যাম্পের অর্ধেক অপরাধ এদের মাধ্যমে চলে। বিভিন্ন সময় মহড়া দেখেছি তাদের।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

আরসা প্রধানসহ ৮ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিলে ১০ লাখ টাকা পুরষ্কার

আপডেট সময় ০৭:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিসহ আট সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে টেকনাফের নেচার পার্ক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পোস্টার লাগানো হয়েছে। এই আট সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়। সচেতন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ব্যানারে এসব পোস্টার লাগানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফের দমমিয়া নেচার পার্কসহ বিভিন্ন ক্যাম্পে এ ধরনের পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা ১৬-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জামাল পাশা।

তিনি জানান, ‘ওসব পোস্টার বিভিন্ন ক্যাম্পে দেয়া হয়েছে। তবে তা আমরা প্রকাশ করিনি। পোস্টারে থাকা ব্যক্তিরা আরসা সন্ত্রাসী। আমরা তাদের ধরার চেষ্টা করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থানে আমাদের নজরদারি আছে। গোয়েন্দা তৎপরতাও রয়েছে। তাদের দেখা গেছে, এমন খবর এলে গ্রেফতার করা হবে।’

পোস্টারে থাকা ব্যক্তিরা হলেন আরকান রোহিঙ্গা স্যালভ্যাশন আর্মির প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি, মাওলানা আকিজ, শামসু উদ্দিন, মৌলভী মোস্তাক আহমেদ, রহমত উল্লাহ মুসা, নুর কামাল ওরফে সমি উদ্দিন, মৌলভী মোস্তাক আহমেদ ও ওস্তাদ খালেদ।

রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, পোস্টারে বার্মিজ ভাষায় লেখা ছিল, তারা সন্ত্রাসী। এদের ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান রইল। যদি কোনো ক্যাম্পে কেউ তাদের দেখতে পায়, তাহলে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করার জন্য বলা হলো। তাদের ক্যাম্পে দেখার তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে পাঁচ লাখ এবং ধরিয়ে দিলে ১০ লাখ টাকা দেয়া হবে।

স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ নুর বলেন, ‘আজ সকাল থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পের ব্লকে ব্লকে এ ধরনের পোস্টার দেখেছি। যেখানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরেও এসেছে।’

নেচার পার্ক ক্যাম্পের বাসিন্দা নুর আলম বলেন, ‘পোস্টারে যাদের ছবি আছে, তারা সবাই আরসা সন্ত্রাসী। বিশেষ করে তারা উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তাদের গ্রেফতার করতে পারলে ক্যাম্পে শান্তি ফিরবে। আমরাও চেষ্টা করছি তাদের ধরিয়ে দিতে। ক্যাম্পের অর্ধেক অপরাধ এদের মাধ্যমে চলে। বিভিন্ন সময় মহড়া দেখেছি তাদের।’